পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هسالا ভেবেছিল আমার কাছে ভার দরদের শান্তি আছে, আমিও গে৷ মা ফিরিয়ে দিলাম চিনতে নেরে দেবতারে । ভিক্ষুবেশে এসেছিল রাজাধিরাজ দাসীর স্বারে । পথ ভুলে সে এসেছিল সে মোর সাধের রাজ-ভিখারী ; মা গো আমি ভিখারিণী, আমি কি তায় চিনতে পারি? তাই মা গো তার পুজার ডাল৷ নিই নি, নিই নি মণির মালা, দেবতা আমার নিজে আমায় পূজল ষোড়শ-উপচারে। পুজারীকে চিনলাম না মা, পূজা-ধূমের অন্ধকারে । আমায় চাওয়াই শেষ চাওয়া তার,মাগো আমি তা কি জানি ? ধরায় শুধু রইল ধরা রাজ-অতিথির বিদায়-বাণী । ওরে আমার ভালোবাসা ! কোথায় বেঁধেছিলি বাসা যখন আমার রাজ এসে দাঁড়িয়েছিল এই দুয়ারে ? নিঃশ্বসিয়া উঠছে ধরা—“নেইরে সে নেই, খুজিস কারে ' সে যে পথের চির-পথিক, তার কি সহে ঘরের মায় ? দূর হতে মা দূরান্তরে ডাকে তাকে পথের ছায়। মাঠের পারে বনের মাঝে চপল তাঙ্গর নুপুর বাজে, ফুলের সাথে ফুটে বেড়ায়, মেঘের সাথে যায় পাহাড়ে, ধরা দিয়েও দেয় না ধরা জানি না সে চায় কাহারে । মা গে৷ আমার শক্তি কোথায় পথ-পাগল ধরে রাখার ? তার তরে নয় ভালোবাস, সন্ধ্য।-প্রদীপ ঘরে ডাকার । ভাই ম| আমার বুকের কবাট খুলতে নাৰ্বল তার করাঘাত, এ মন তখন কেমন যেন বাস্ত ভালো আর কাহারে। আমিই দূরে ঠেলে দিলাম অভিমানী ঘর-হারারে। সোহাগে সে ধরতে যেত নিবিড় ক’রে বক্ষে চেপে, হতভাগী পালিয়ে যেতাম, ভয়ে এ বুক উঠত কেঁপে । রাজ-ভিখারীর আখির কালে দূরে থেকেই লাগত ভালো, আসলে কাছে ক্ষুধিত তার দীঘল চাওয়ার অশ্রুভারে ধ্যথায় কেমন মুম্ব ড়ে যেতাম, কুর হারতাম মনের তারে। প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, · VLLe SAAMMAAMM ee AMeAMAeM MeeMAAA AMAM MMJJAMAM MeAMMe eMAMeeMAMAMAeAM eAMAAAS f ১৩শ ভাগ,"১ম શંક AMMMAMAM MMAMMMAM MMMAAMMAAA AAAAS AAAASS আজ কেন মা তারই মতন আমারো এই বুকের ক্ষুধা চায় শুধু সেই হেলায়-হারা আদর-সোহাগ-পরশ-ক্ষুধা ৮ আজ মনে হয় তার সে বুকে এ মুখ চেপে নিবিড় থে গভীর তুখের র্কাদন কেঁদে শেষ করে দিই এই আমারে । যায় ন| কি ম আমার কঁাদন তাহার দেশের কানন-পারে ? আজ বুঝেছি এ জনমের আমার নিখিল শান্তি লারাম চুরি করে পালিয়ে গেছে চোরের রাজা সেই প্রাণারাম ! হে বসন্তের রাজা আমার ! নাও এসে মোর হার-মান হার ! আজ যে আমার বুক ফেটে যায় আৰ্ত্তনাদের হাহাকারে, দেখে যা ও আজ সেই পাষাণী কেমন করে কাদতে পারে। তোমার কথাই সত্য হ’ল পাষাণ ফেটেও রক্ত বহে, দাবানলের দারুণ দাহ তুষার-গিরি আজকে দহে । জাগল বুকে ভীষণ জোয়ার ভাঙল আগল ভাঙল কুয়ার, মুকের বুকে দেবতা এলেন মুখর মুখে ভীম পাথারে। বুক ফেটেছে মুখ ফুটেছে —ম গো মান করছ কারে ? স্বৰ্গ আমার গেছে পুড়ে তারই চ'লে যাওয়ার সাথে, এখন আমার একার বাসর দোসর-হীন এই দুঃখ-রাতে । ঘুম ভাঙাতে আসবে না সে ভোর না হ’তেই শিয়র-পাশে, আসবে ন৷ আর গভীর রাতে চুমুচুরির অভিসারে । কাদবে ফিরে তাহার সার্থী ঝড়ের-রতি বনের পারে ॥ জাজ পেলে তায় হুমুড়ি খেয়ে পড় তুম মা গো যুগল পদে, বুকে ধ’রে পদ-কোকনদ স্নান করাতাম আঁখির হ্রদে । বস্তে দিতাম আধেক আঁচল, সজল চোখের চোখ-ভরা-জল ভেজা কাজল মুছাতাম তার চোখে মুখে অধর-ধারে ; আকুল কেশে প। মুছাতাম বেঁধে বাক্ষর কারাগারে ॥ দেখবে মা গো তখন তোমার রাক্ষসী এক্ট সৰ্ব্বনাশী মুখ খুয়ে তার উদার বুকে বলত ‘আমি ভালবাসি।” বলতে গিয়ে সুখ-শরমে লাল হয়ে গাল উঠত ধেমে,