পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ক হতে মুখ আস্ত নেমে লুটিয়ে কখন কোল-কিনারে । দেখতুম মা গো তখন কেমন মান করে সে থাকৃতে পারে। এমনি এখন কতই আগু ভালোবাসার তৃষ্ণ জাগে তার ওপর মা অভিমানে, বাথায়, রাগে, অঙ্গরাগে । চোখের জলের ঋণী করে’ সে গেছে কোন দ্বীপান্তরে » * সে বুঝি মা সাত সমুদুর তের নদীর সদর পারে ? ঝড়ের হাওয়া সেও বুঝি মা সে দূর-দেশে যেতে নাৱে ? তারে আমি ভালোবাসি সে যদি তা পায় ম| পবর, চৌচির হয়ে পড়বে কেটে আনন্দে মা তাহার কবর ! চাংকার তার উঠবে কেঁপে ধরার সাগর-অশ্র ছেপে, উঠবে ক্ষেপে অগ্নিগিরি সেই পাগলের হুহুঙ্কারে । ভূধর সাগর আকাশ বাতাস ঘূর্ণ নেচে ঘিরবে তারে? ছি মা ! তুমি ভুকুরে কেন উঠছে কেদে আমন করে’ ? তার চেয়ে মা তারই কোন শোন। কথা শুনা ও মোরে । নরওয়ের পুরাণের কথা SAMAeAeMMeMee MAAeM AM eeM MMAMMAMMM MA AMeM MeM eM AA MMA AMM MMMA AeAAA AAAASAAAA ". لاسلالا ASAAAAS AAASASAAAAAS AAAAAS AAAAAeS M S AeAS AMS eAS AeS AeeS AeS AeS AeS AMS eS eS eS eS eS eS A S A S AM AAAAS AAAAAS শুনতে শুনতে তোমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ি —ও কে খোলে দুয়ার, ওমা ? ঝড় বুঝি মা তারই মত ধাক্কা মারে ? ঝোড়ে হাওয়া! ঝোড়ো হাওয়া ! বন্ধু তোমার সাগর পারে : সে কি হেথায় আসতে পারে, আমি যথায় আছি বেঁচে, বে দেশে নেই আমার ছায়া এবার সে সেই দেশে গেছে : ভৰু কেন থাকি থাকি' ইচ্ছা করে তারেই ডাকি ! সে কথা মোর রইল বাকী হায় সে কথা শুনাই কারে ? ম। গো আমার প্রাণের বাদন আছড়ে মরে বুকের দ্বারে ! যাই তবে মা ! দেখা হলে আমার কথা ব’লে৷ তারে, রাজার পূজ।—সে কি কভু ভিখারিণী ঠেলতে পারে ? ম| গো আমি জানি জানি আসবে আমার অভিমানী সুজতে আমায় গভীর রাতে এই আমাদের কুটার-দ্বারে – ব'লে। তথন খুজতে তারেক্ট হারিয়ে গেছে অন্ধকারে । কাজী নজরুল ইসলাম নরওয়ের পুরাণের কথা কবিতার উৎপত্তি একবার স্বগের দেবতা এসির (Aesir ) এবং সাগরদেবত ও বায়ু-দেবতা ভনাসের ( Vanas ) মধ্যে যুদ্ধ হয় । দেবতাগণের মধ্যে যুদ্ধ—কাজেই ব্যাপারটাও ঘোরতর হইয়া উঠিল । উভয় দল হইতেই শক্রদের লক্ষ্য করিয়া পাহাড় পৰ্ব্বত হিমশিল ইত্যাদি নিক্ষিপ্ত হইতে লাগিল ; ক্রমে যখন তাহারা বুঝিতে পারিলেন যে যুদ্ধ দ্বারা অমঙ্গল ছাড় কখনও কল্যাণের সম্ভাবনা নাই, তথম তাঙ্গার পরস্পর শান্তি স্থাপন করিলেন । শাকির সত্ত স্থাপনের সময় দুষ্ট দল এক গুষ্টয়া সকলে একট। পাত্রের মধ্যে থুথু ফেলিলেন। সেই লাল হইতে দেবতারা কালীর ( Kvasir ) নামে এক ব্যক্তির স্বষ্টি করিলেন। এই ক্লাস’র তাহার পাণ্ডিত্য এবং সততার জন্য বিখ্যাত ছিল । পৃথিবীতে যে-কেহ তাহাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাস করিলে তাহার উত্তর দেওয়াই ছিল ক্লাসীরের কৰ্ম্ম । বামনের তাহার পাণ্ডিত্যের প্রতি ঈর্ম্যাবশতঃ একদিন নিদ্রিতাবস্থায় কাসীরকে হত্যা করিল। হত্যার পরে তাহার শরীরের সমস্ত শোণিত নিঃশেষে সংগ্ৰহ করিয়া তিনটি পাত্রে রাখিয়া তাহার সহিত মধু মিশ্রিত করিয়া এক অপূৰ্ব্ব পানীয় তৈয়ারী করিল। এই পানীয়ের এমন গুণ ছিল যে, যে-কেহ ইহার আস্বাদ গ্রহণ করিলেই কবিতাশক্তি এবং সঙ্গীতবিদ্যায় অপূর্ব পারদশিত লাভ করিতে পারিত। বামনের। এই পানীয় নিজেদের জন্যই প্রস্তুত করিয়া একস্থানে লুকাইয়া রাখিয়াছিল। কিন্তু তাহাদের নিজেদেরই হঠকারিতার দরুণ ইহা স্কট্রং ( Suttung )