পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য{ } } যুদ্ধ যে ইবেই এমন কোন কথা নাই, তবে প্রস্তুত হওয়া ভাল। আমি তোমাদিগকে শিখাইব ।” “লড়াই হয় হবে হুজুর, আমরা কি কেউ পিছপা ? আর মরণ ত এক দিন আছেই, কি বল পরামাণিক ভায় ?” * পুণ্ডরীক বিহারীলালের পিছনে পিছনে, দেখিয়া শুনিয়া হতভম্ব হইয়া গিয়াছিল। মাঠ হইতে ফিরিতে বিহারীলাল তাহাকে কহিলেন, “পুণ্ডরীক ।” “হুজুর!” পুণ্ডরীকের রসিকতাব কোঁটাটা হঠাং খালি হইয়া গিয়াছিল । “যদি যুদ্ধ হয় তাহ হইলে তোমাকে ও সাইতে হইবে।” “যেখানে তুমি সেখানে আমি।” পুণ্ডরীকের বুদ্ধি ফিরিয়া আসিতেছিল। “আমার কি ঘরে স্ত্রীপুত্র আছে যে আমি মরিলে কাদিবে ?” ۔* “তুমি উত্তম সিপাহী হইবে । যুদ্ধে দক্ষতা দেখাইলে আমার নীচে একটা সেনাপতির মত হইতে পার ।” “আমি নায়েব সেনাপতি—আমি !" পুণ্ডরীকের বুক ফুলিয়া মাছের পঢ়কার মত হইল । "এখনি নয়। তবে আমার সঙ্গে তুমি কত্তক কতক সৈন্যশিক্ষার ভার লইতে পার ।” পুণ্ডরীক ভারি খুসী। যাহাকে তাহাকে বলিয়৷ বেড়াইতে লাগিল যে বিহারীলালের পরেই সে ছোট সেনাপতি হইবে । বোঝা বোঝা অস্ত্র যখন আসিয়৷ পড়িল তখন তাহার ব্যস্তত দেখে কে । বিহারীলাল যদি অস্ত্র শিক্ষা দেন এক ঘণ্টা, ত সে শিখায় আড়াই ঘণ্টা । যুদ্ধত দূরের কথা, পুণ্ডরীকের শিক্ষার চোটে গরিব প্রজাদের প্রাণ ধায় ! তাহার তর্জন গর্জন, তাহার বিকট মুখভঙ্গী, তাহার আস্ফালন দেখিয়া শুনিয়া নূতন সৈন্যদের আত্মাপুরুষ শুকাইয়া যায়। আবার যখন তাহাদিগকে শিখাইবার জন্য পুওরীক তলওয়ার খেলা করে, বিদ্যুতের মত আসি ঘুরাইতে ঘুরাইতে মণ্ডলাকারে ঘুরিয়া বেড়ায়, তখন চাষাভূষা সৈন্তের ডাকাত পড়িয়াছে মনে করিয়৷ বিশ হাত দুরে পলায়ন করে। তাহার হুঙ্কারে তাহাদের تیمتر تابع f باید = هی=۴ چهره هماکنوج : F< xifsir ושו: छब्रखी A আসিয়া দেখেন পুণ্ডরীক বাহ্যজ্ঞানশূন্ত হইয়। তরবারি-হস্তে লাফাইতেছে। তাহাকে সে দেখিতেই পায় নাই । বিহারীলাল কহিলেন, “পুণ্ডরীক, এ কি ?” -- পুণ্ডরীক থমকিয় দাড়াইল । লজ্জিত হইয়া অসি নামাইল। কহিল, "আজ্ঞে, তরবারি যুদ্ধ শিখাইতেছি ” “প্রথমে ত শায়েস্তা কর, তার পর যুদ্ধ। আর সৈন্যের মাঝখানে কি তরবারি খেলা করা যায় ?” বিহারীলাল সৈন্যদিগকে শ্রেণীবদ্ধ করিয়া, একত্রে অগ্রসর হইতে, পিছু হটিতে, বৃহ রচনা করিতে শিথাইলেন। সেদিনকার মত শিক্ষা সমাপ্ত হইলে পুণ্ডরীককে সঙ্গে করিয়ু লইয়া গেলেন। পথে তাহাকে বলিলেন, “আমি যেমন শিখাই সেইরূপ শিখাইবে । সৈন্যদিগকে তাহাদের অসাধ্য অস্ত্র কৌশল শিপাইবার চেষ্টা করিও না । প্রথম হইতেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করাইলে তাহারা কিছুই পরিবে না।” পুণ্ডরীকের মুখ চুন হইয়া গেল। কহিল, "এবার হইতে ঠিক তোমার মত শিখাইব ।” বিহারীলাল সৈন্য সংগ্ৰহ করিতেছেন ও তাহাদিগকে অস্ত্রশিক্ষা দিতেছেন এ কথা মনসবদারের জানিতে বিলম্ব হইল ন। তিনি প্রথমে মক্‌দুম শাহকে পাঠাইলেন। শাহজী আসিয়া বিহারীলালকে বলিলেন, “চৌধুরী সাহেব, আপনি এ কি করিতেছেন ?” বিহারীলালের পূর্বের সে অলস ভাব, আলস্তজড়িত কথ। একেবারেই নাই । এখন কৰ্ম্মীর ন্যায় সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট কথা । কহিলেন, “যাহ। বলিবার স্পষ্ট করিয়া বলুন ।” “আপনি কাহার আদেশে সৈন্য সংগ্ৰহ করিতেছেন ? ইহ। ত বিদ্রোহের ব্যাপার।" . ." “আমি কি গোপনে কিছু করিতেছি ? আপনি কি এ কথা মনসবদার সাহেবের পক্ষ হইতে জিজ্ঞাস। করিতেছেন ?" “তিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন ।” "র্তাহাকে বলিবেন যে আমি আদেশ পাইয়াই এরূপ করিতেছি । আর যদি কিছু জিজ্ঞাসা করিবার থাকে তাহা হইলে যেন তিনি নিজে আসিয়া জিজ্ঞাসা

  • ו rבמה2"קאל