পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয় সংখ্যা ASAS S S AAAA S AAAA S S S S S S S S S S SSS JSSS SSS S eSe S SSS SSS SSSS AASAA S هم هة همه عه و يعه عديدة بيي প্রবাসীর আত্মিকথা ১৯১ MA AM MM S S S S S S S S S S S S S S S S S AAAA S SA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSASAMA SJS প্রবাসীর আত্মকথা (পূৰ্ব্বানুবৃত্তি ) গুজায় নামিবামাত্রই খুব গরম বোধ হইতে লাগিল ; ঐ গরমট একটু বেণী গুরুভার—ভিজা ভিজা। চীনা-পর্দার হালুক বাঁশগুল একটা চলন্ত কম্পমান ছায় বিস্তীর করিয়াছে : এই উঞ্চ ছায়ায় ন৷ পাওয়া যায় জারাম, ন পাওয়া যায় বিরাম । কতকগুলা পাথরের ধাপ দিয়৷ আমরা উপরে উঠিলাম ; “মান্দায়ীন" অর্থাৎ প্রধান কৰ্ম্মচারীর দ্বারপ্রকোষ্ঠ আমাদের সন্মুখে আবিভূর্ত হইল ; ইহার ফাটক ভারতীয় ধবর্ণের ; ফাটকের মাথায় নহবতখানীর মত একটা ঘর . দেই ঘরে প্রহরীর একটা কুলঙ্গী আছে, আর একটা ঢাক আছে । মনে হইতেছে যেন এই গৃহের সকলেই এখনো নিদ্রাভিভূত— যদিও প্রাতঃস্বৰ্য্য এরই মধ্যে স্বীয় দারুণ জ্বলন্ত কিরণে দিগ বিদিক্‌ আলোকিত করিয়াছে । এক আমরাই শুধু এই ক্ষুদ্র বাগানটিতে রহিয়াছি। বাগানটি একটু পুরাতন ধরণেব—কিন্তুতকিমাকার ধরণের। বাগানের মধ্যস্থলে অলঙ্কারস্বরূপ একথও চৌকোণ দেয়াল অবস্থিত—আনাম প্রদেশে এইরূপ ইমারতি অলঙ্কারের খুব রেওয়াজ আছে । আর একটা খুব প্রাচীন “বাস রিলীফ" মূৰ্ত্তি পাদপীঠের উপর দণ্ডায়মান। - চীনামাটির ফলকের উপর চিত্রহরিণ এবং অন্যান্ত কাল্পনিক পশুর মূৰ্ত্তি প্রদর্শিত হইয়াছে ; চীন ধরণের গাছের তলায় উহার অবস্থিত, গাছের পাতাগুলা সবুজ বিমুকে গঠিত। ছোট ছোট পথ আড়আড়ি ভাবে ঘূরিয়া ফিরিয়া গিয়াছে। বালু-মাটির উপর পেরিউইঙ্কল ফুল, ডালিমের ফুল, ঘোর কালে রঙের অতি ক্ষুদ্রকায় বঙ্গীয় গোলাপ ফুটিয়া আছে। একটা নিস্তব্ধতা ও কয্যের প্রথর তাপে দিগ বিদিক্‌ অভিভূত। গুরুভার কালো কালো প্রজাপতি উড়িয়া বেড়াইতেছে। উদ্যানের পশ্চাদ্ভাগে একটা গুহ । গুহ একেবারেই রুদ্ধ । হোয়ে মহাশয় স্বীয় বানর-কণ্ঠস্বরে ডাক দিতেছেন, কথাবাৰ্ত্ত। চালাইতেছেন, চীৎকার করিতেছেন। তখন কতকগুলা নীচাশয় ভূতা ভৗতভাবে তাড়াতাড়ি অtসিয়া ঘবের দরজা পুলিয়৷ দিল । আমরা গুহে প্রবেশ করিলাম। এই উদঘাটিত গুহ এক্ষণে একটা গভীর-পরিদর চালাঘরের মত মনে হইল । জনপ্রাণী নাই –অন্ধকার । ভূত্যের মাম্বারীনকে জাগাইতে গেল। আমরা অপেক্ষ কবিতে লাগিলাম। ইত্যবসরে এই স্থানটা ভাল করিয়া দেখিতে লাগিলাম । ন জানি কোন স্বদূর অতীত যুগের কতকগুলা অকেজে৷ স্থাবর জিনিস, রাজকীয় উৎসব-অনুষ্ঠানের জিনিস, রাজবৈভব প্রদর্শনের জিনিস, কতকগুলী চামর, কতকগুলা রাজছত্র, কতকগুলা পালুকী, অন্ধকার চাদোয়-ছাদের গায়ে, মাকড়সার জাল ও ধূলারাশির মধ্যে, ব্লকে ঝোলানো রহিয়াছে। একটা তালপাতার পর্দার আড়ালে, ঘরের একটা কোণে, তুরানের বিচারকার্য নিৰ্ব্বাহের জন্ত যাঙ্গ কিছু আবশ্যক সমস্তই রহিয়াছে—দাড়িপাল্লা, কল্লী, শাস্তির দণ্ডকাষ্ঠ, পা পিধিবার জন্ত শক্ত কাঠের সাড়াশী, প্রেতাত্মাদিগকে আবাহন করিবার জন্ত ঘণ্টা, প্রহার করিবার জন্য কতকগুলা বেত। আবাসগুহের মধ্যস্থলে, একটা সম্মানের টেবিল : টেবিলের চারিধারে খোদাই-কাজ-কর পুরাতন বেঞ্চের উপর বসিয়া আমরা থানারীনের জন্ত অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। মাদারীনের গুভাগমন মথন হুইবে কে জামে। পরিশেষে, একটা পিছনের দরজা দিয়া, চওড়া-অস্তিন-ওয়াল| নীল স্রেপের পরিচ্ছদ-পরিহিত একজন অতি বৃদ্ধ খুব কঁাপিতে কঁাপিতে ঘরে প্রবেশ করিলেন। থবি ড্র-গোব ডু। এশিয়া-খণ্ডস্থলভ মুখশ্ৰী সত্ত্বেও, মুখখান দেখিতে মন নয়। চুলের উপর যেন সাদা বরফের গুড়া ছড়ানো এবং তাহার এবড়ো-থেবাড়ে ছাগলে-দাড়ি মোঙ্গলীয় ধরণে ছাট ; মনে হয় যেন একটা হলুদে রংয়ের মুথসে লাগানো এক গুচ্ছ সাদ বালাঞ্চি ঝুলিতেছে । তিনি খুব ঘাড় ষ্টেট করিয়া চিন্‌চিন্‌ অভিবাদন করিলেন ; তাহার পর আমার প্রসারিত হস্ত গ্রহণ করিয়| শাস্তি স্থাপনের নিদর্শন স্বরূপ, ভীতিবিস্ময়সহকারে হস্তমদিন করিলেন। তাহার পর, টেবিলের চারিধারে ঘুরিয়া ঘুরিয়৷ যে-সব নাবিক আমার সহিত একত্র বসিয়াছিল সকলেরই হস্ত মৰ্দ্দন করিলেন। তাহার লম্বা লম্বা নখের দরুন এবং চওড়া আস্তিনেব ভাজের দরুণ, এইরূপ হস্তমনি করিতে র্তাহার একটু বাধে|-বাধো ঠেকিতেছিল । & এই বড় অন্ধকেরে ঘরটা ক্রমে ক্রমে লোকে ভরিয়া গেল : তাহার নিঃশব্দে প্রবেশ করিয়া, কথাবাৰ্ত্ত শুনিবার জন্য দাড়াইয়৷ রহিল। অনেকগুলি বৃদ্ধ ‘মমি’র মত পিঙ্গলবর্ণ, পরিচ্ছদ অতি দীন ধরণের ; চেীক মাথা : চুন্‌জাতিস্থলভ মুখমণ্ডল। একদল চীন, মুখে ধুৰ্ত্তামীর ভাল, প্রথম শ্রেণীর মধ্যে অনধিকার প্রবেশ কবিয়া আমাদের নিকট পৰ্য্যস্ত ঠেলিয়া আসিয়াছে। তা ছাড়া, আনাম প্রদেশের বিদ্রোহ উত্তেজক অনেক বদমায়েসও উপস্থিত আছে। এইসব এশিয়া-সুলভ মুগ্ধগুলার পশ্চাতে, গৃহের শেষ প্রান্তে এখন স্পষ্টরূপে দেখা যাইতেছে-কতকগুল ভাঙ্গা-চোর। কিন্তুতকিমাকার জিনিস সৰ্ব্বত্র ঝুলানে রহিয়াছে, যথা-ঢাক ঢোল, কতকগুলা ন্যাকৃড়া কাপড়, কতকগুলা পাঙ্গী যাহা পুরাকালে সোনার দৈত্যদানবের মূৰ্ত্তিতে বিভূষিত ছিল. এক্ষণে এই সমস্ত ধূলার ধর্ষণে ক্ষয় হইয়া গিয়াছে। মৃত জগতের এই সমস্ত পুরাতন পুতুলের মধ্যে আমার নাবিকের বিজয়ন্সলভ পাতির-নদীরদ ভাবে বসিয়া আছে, মুখে বেশ জীবন্তভাব, গর্কোন্নত ভাব, অবাধ সহজ ভাব । আপন আমি ”তুয়ান-আন” এর পশুযুদ্ধের কথা, আমাদের জয়লাভের BBS BBB BBB BBB BBBB BBBBBB BBS BBBB আরম্ভ করিলাম, তখন সকলে নিস্তব্ধ হইয়া শুনিতে লাগিল। দেশ-ভাণী আiমীর কথাগুলি ধীরে ধীরে ভাষাস্তর করিতে লাগিল ; আমাদের চারিপাশে হাত-পাথ ও চামর বাজনের লঘু শব্দ ছাড়া আর কিছুই শুন যাইতেছিল না । তথাপি, উহাদের মনোযোগপূর্ণ মুখে কোনপ্রকার আবেগের চিহ্ন দেখা গেল না। খুব সম্ভব পরাজয়ের খবরটা উইlর পূর্বেই রাজার বাৰ্ত্তাবাহকের মূপে শুনিয়াছিল। এখন কেবল উহাদের মধ্যে ইসার বিনিময় চলিতেছে, উহাদের উপরদিকে-ভোল৷ ছোট-ছোট চোখের চোপ-টেপাটপি চলিতেছে,-যেন আপনাদিগের মধ্যে এই কথা চলিতেছে —“ভালই হয়েছে : য আমরা শুনলেম তা ভালই মনে হচ্ছে ; গুর বর্ণনাটা খুব ঠিক।” অবশেষে, যখন আমার দেখা-সাক্ষাতের কাজ শেষ হইল, তখন বুদ্ধ भालांबीन् डौउ श्ब्र अप्लिल । कब्रांनी स्रांशरजन छ*ब्र छ?tछ श्रव এই কথা মনে করিয়৷ বৃদ্ধ ভয়ে কঁাপিতে লাগিল ।