পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ:Sty করেছিলেন !—তাদের সেইসব কীৰ্ত্তির মধ্যে সাফল্যের পরিচয় আছে । যা prose ( গদ্য ) বt reasonএর (যুক্তিতর্কের । অনুগত, যে মনোভাব অতি-পরিচয়দূষিত, তাকে এড়িয়ে যাবার কি চেষ্টা ! অলঙ্কারশাস্ত্রের বিধিনিষেধ উড়িয়ে দেওয়া, ব্যক্তিগত খেয়ালখুশীর জয় ঘোষণ, অনির্দিষ্ট দেশকালের আরাধনা, অসম্ভব ও অপ্রাকৃতের সম্বৰ্দ্ধনী—এমনি কত উচ্ছ স্থল আচরণই যে তারা করেছেন, তা আমাদের দেশের ইংরেজীকাব্যপ্রিয় পাঠকমাত্রেই জানেন । জৰ্ম্মান রোমাণ্টিক ( Tieck ) টকের সম্বন্ধে একজন সমালোচক বলেছেন, “He welcomed every rebuff to coherence and probability, every violation of prose as ipso facto a gain for poetry.” offs. “$fă was, যা কিছু অসংলগ্ন, অসম্ভব ও গদ্যের পরিপন্থী তাই— ঠিক ঐ ঐ কারণেই—কাব্যের পক্ষে বিশেষ উপযোগী ।” ঐ লেখকই ফরাসী নব্য সাহিত্যিকদের কথায় বলেছেন, “Their most rebellious and defiant work was a revelation of the beauty lurking in neglected and proscribed forms of art." “উাদের সবচেয়ে বড় বিদ্রোহ ও দুঃসাহসের কাজ ছিল—যে-সব রচনারীতি নিষিদ্ধ ও অপ্রচলিত তাদের ভিতরকার মাধুরী প্রকটিত করা।” সাহিত্যরচনার এই নুতন রীতি আলোচনা করলে বেণু বোঝা যায়, যে ওই লোকোত্তর-চমৎকার"-যাকে ইংরেজী রসশাস্ত্রে wonder-spirit z5fi zvqzs-sèför öfsi * বেশী করে আঁকৃড়ে ধরেছিলেন । এইজন্যে বাস্তবকে অবাস্তব ও অবাস্তবকে বাস্তব করে তোল্বার ভার অনেকে নিয়েছিলেন। কাব্যের এই অন্তর্গত ভাব-এই Spiritএর মূল্য যে কাব্যবস্তুর চেয়ে বেশী, এটা আমাদের দেশের প্রাচীন রসিকেরা যেমন স্বীকার করেছেন, বিদেশী রসজ্ঞানীরাও তেমনি স্বীকার করেছেন। কাব্যের কোথায় সেই বাস্তবতা, কোথায় সেই লৌকিক জীবনের প্রত্যক্ষ সুখ-দুঃখ-বোধ, কোথায় স্থপরিচিতের পরিচয়--কেবলমাত্র এইসকলের সন্ধান করতে গেলে এবং তাকেই কাব্যের প্রাণ বলে প্রচার করলে, কাব্যের প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩০ AAAAAA AAAA AAAAMAMAMMAMAMSAMAMMA AMAAA AAAA AAAA AAAAMe eeM MMMeSAASAASAAAS ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড আত্মাকে অস্বীকার করা হয় f এসব যে কাব্যের বিষয় হ’তে পারবে না- এমন কথা আমি বলছি নে, প্রজ্ঞা’র সাহায্যে এগুলির মধ্যেও দিব্যমুন্দর অনুভূতির সঞ্চার করা যায়, কিন্তু সেই অতিমাত্র লৌকিকতা লুপ্ত হওয়া চাই, নইলে কবিকল্পনা রসে পরিণত হবে না । জীবনের এই প্রত্যক্ষ পরিচয়ের দিকটি কাব্যের নিকৃষ্ট দিক্ । কবির Spirit বা অন্তঃপ্রকৃতি এই প্রকৃতিপারবশ্ব থেকে মুক্তি চায় ও পায় বলেই, তার প্রতিভা “নবনবোল্লেখশালিনী” । সেইজন্তে আমি আগেই বলেছি—ভক্তি নয়, এই দিব্যশক্তি দিয়েই কবি ও কাব্যের বিচার করতে হবে । গোলাপ-কুন্দের বিবাদ সেখানে চলে না, বাণীর প্রকৃত পূজায় জাতিধৰ্ম্মের ছুংমার্গ নেই, নিজ গ্রাম-সমাজের গওঁীও নেই ; সে সাধন বীরাচারী তান্ত্রিকের সাধন — সকল গণ্ডী, সকল সঙ্কীর্ণতা, সকল সংস্কার বর্জন করে’ তবে সেই সাধনায় সিদ্ধ হওয়া যায়। গঙ্গোদক নয়— বিশ্বমানবের আকুল অতল চেতনসমূত্রে অবগাহন করে’ সৰ্ব্বজনীন রস আস্বাদন করে, তবে কবির মুক্তি হয়। কবি ও কাব্যকে এই দিক্ দিয়ে না দেখে যদি তথাকথিত ‘প্রাণের’ সন্ধান নিতে যাই, তাহলে কোনো উৎকৃষ্ট কবিতা পড়ার পর শুধু “চমৎকার! সুন্দর ” বলা ঠিক হবে না ; বলতে হবে, “ঠিক ! ঠিক্‌ !” “আহা!” “ওহে!" “হায়, হায় !” ইত্যাদি, এবং সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘশ্বাস ও অশ্রপতনও চাই। ভালে। কবিতা পড়তে পড়তে ঐ রকম উচ্ছ্বাস যে না হয় তা বলছিনে, যাদের রস-বোধ অপরিণত র্তাদের ঐ রকম অবস্থাই হয় ; কিন্তু তাই দিয়ে কবির কাব্য বা পাঠকের রসজ্ঞতার যাচাই হয় না। সেই wwwęfs–ni ‘too deep for tears–zi co এই রকমের লৌকিক সহানুভূতি নয়, তা ওই কবিবাক্যের প্রয়োগস্থল থেকেই বোঝা যায় । কবি বলেছেন, একটি সামান্য ফুল দেখেও তার ঐ-রকম রসাবেশ হয়। ফুলের সঙ্গে সেই মানবীয় সহানুভূতি, সেই 'প্রাণের সম্পর্ক ত নেই-ই, বরং আধুনিকতম বাংলা কবিতার 'কুড়ানী'কুষাণী' প্রভৃতি কাব্যবধু-( “Brides of Hong" )-দের সঙ্গে সে সম্পর্ক আছে । তাই মনে হয়, এই-সকল সমালোচকদের রসবিচারের খুব গোড়ার দিকে একটা ভুল অাছে। جمعیت