পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] রৌপ্য ও তাম্র-নিৰ্ম্মিত আর দুইটি গাছ অন্যায় আছে । প্রকৃতপক্ষে ঐ গুলির নাম গরুড়-স্তম্ভ, ইহার সহিত তালগাছের কি সম্পর্ক তাহা বুঝা যায় না, কিন্তু তালগাছ বলিয়াই প্যাত । মাদ্রাজের নিকট কাঞ্চীপুর নামক স্থানে একাম্র-নাথ দেবের মন্দির-প্রাঙ্গণে একটি পুরাতন আম্রকুক্ষ আছে ; উহার চারিদিকে চারিটি শ্যপায় অস্ত্র মিষ্ট কঢ় ও তিৰু এই চারি প্রকার আস্বাদের ফল হইয় থাকে। এইরূপ জন-প্রবাদ, যে, পূৰ্ব্বে সারাবৎসর প্রত্যহ এই বৃক্ষ হইতে একটি করিয়া স্বপক্ক আম্র পাওয়া যাইত এবং উহা দেবতার এক্ষণে অার প্রত্যহ আম না হইলেও হহয়! ভোগে লাগিত । ঐ বৃক্ষে পূর্মেরই মত বিভিন্ন স্বাদের ফল উৎপন্ন আজিও দেব-মাহাত্ম্য প্রকাশ করিতেছে । মহিমা-মণ্ডিত অন্য কোন আম বা অপর ফলবুক্ষের উদাহরণ কুত্ৰাপি আছে বলিয়া শুনা যায় না । ভুবনেশ্বরের আর-একটি নাম একাম্র-কানন । এইস্থানে কোন সময় একটি মাত্র আম্রবৃক্ষ থাকায় ঐ নাম হয়, কিন্তু এই নামের সহিত কোন দেবমাহাষ্ম্যের কথা জানিতে পারা যায় না । আমাদের তীর্থ-সকলের মধ্যে মহাত্ম্যপূর্ণ অনেক কানন বা বনভূমিও দেখিতে পাওয়া যায় । পুরাণাদিবর্ণিত সুপ্রসিদ্ধ নিধুবন ও নিকুঞ্জকাননের কথা কে নী জানেন । উহা ব্রজ-মণ্ডলের অন্তর্গত । সমগ্ৰ বৃন্দারণ্যের মধ্যে মধুবন, তালবন, কুমুদবন, মহাবন, বহুলাবন, কাম্যবন, থদিরবন, ভদ্রবন, ভাণ্ডিরবন, খেলনবন, লৌহবন ও বৃন্দাবন নামক দ্বাদশটি বিখ্যাত বন আছে। উহার কোন কোনটি এক্ষণে সহরে পরিণত হইলেও পূৰ্ব্বে বনই ছিল । উহার সকলগুলিই শ্রীরাধাকৃষ্ণের লীলা-স্থান । এখনও তথায় সেই প্রেমময় ও প্রেমময়ীর বহু লীলা-চিহ্ন দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে । ইহা ভিন্ন তথায় বেলবন, কোটবন, কোকিল-বন, মাঠবন প্রভৃতি আরও কতিপয় বন আছে । হিন্দুস্থানের অপরাপর অংশেও জয়পুরের খাণ্ডব বন, গোদাবরী-নদীতীরে পঞ্চবটী বন ও বৈদ্যনাথ ধামের তপোবন বা পঞ্চবুট বনের স্যায় পবিত্র স্থানের অভাব নাই । কথিত আছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র বনবাস-কালে ভারতের উপাস্ত-বৈচিত্র্য SS SSAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASAS SSAS SSASAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASASS ২০৩ এই তপোবনে সীতাদেবী ৫ লক্ষ্মণ সহ কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন। খ্যাতনামা পবিত্র গিরিশুঙ্গাদি গিরিরাজ হিমালয় হইতে বৈদ্যনাথের ক্ষুদ্র তপোবনপাহাড় পৰ্য্যস্থ যে-সকল পবিত্র পাহাড় আছে, তাহার মধ্যে চন্দ্রনাথ ও বিন্ধ্যাচলের স্থায় অনেকগুলি একেবারে তীর্থ স্থান বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে ; গয়ার ব্রহ্মযোনি, ব্রজমগুলের গোবৰ্দ্ধন, পুষ্করের সাবিত্রী পাহাড়ের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে বহু গল্প প্রচলিত আছে । বিখ্যাত গিরি গোবৰ্দ্ধনের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে অধিক বলিবার কিছু নাই । ইহ সাক্ষণং ভগবানের স্বরূপ বলিয়া ধ্যাত। ইহাকে শ্ৰীকৃষ্ণ স্বীয় বামহস্তের কনিষ্ঠাঙ্গুলী দ্বার ধারণ করিয়ছিলেন । তীর্থের কায । দর্শন ও প্রদক্ষিণ করাই এই ব্ৰহ্মযোনি পৰ্ব্বতের উপর-দিক্‌ (१ग्नl ) সাবিত্ৰী পুষ্করতীর্থে অবস্থিত । ইহা একটি উচ্চচূড় পৰ্ব্বত । এই পৰ্ব্বতের উপর মন্দির-মধ্যে সাবিত্ৰা দেবীর শ্বেত-প্রস্তুর-নিৰ্ম্মিত মৃষ্টি বিরাজ করিতেছে । এই পৰ্ব্বত প্রারুতিক শোভায় অতি রমণীয় । গয়াধামে রামশিলা, ব্ৰহ্মযোনি ও প্রেতশিল এই তিনটি পাহাড়ই প্রধান । ব্ৰহ্মযোনি পাহাড়ের শিখরদেশে সাবিত্ৰী গায়ত্রী ও সরস্বতীর মুক্তি প্রতিষ্ঠিত অাছে। কথিত আছে বুদ্ধ। এই স্থানে ধজ্ঞ করিয়া ধে গো-দান করিয়াছিলেন সেই গাম্পদ-চিই তাজি ও দেখিতে পাওয়া