পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] . বিচ্ছিন্ন হইয়া যে যে স্থানে পতিত হইয়াছিল, তাহাই যেমন পীঠস্থানে পরিণত হইয়াছে, সেইরূপ ভক্তের মৃত্যুর পর র্তাহার দেহ বা দেহাংশ পতিত হইয়। কোন কোন স্থান বরেণ্য হইয়াছে এরূপও দেখিতে পাওয় যায় । এইরূপে বৈষ্ণবচূড়ামণি গয়াস্বরের দেহপাতকালে গয়াতে মস্তক, বৈতরণীতে নাভি এবং গোদাবরীতটে পিঠাপুর নামক স্থানে পাদদ্বয় অবস্থিত হওয়ায় এই-সকল স্থান পবিত্র তীর্থ মধ্যে গণ্য হইয়াছে। শেষোক্ত স্থান পাদগয়৷ নামে প্রসিদ্ধ। গয়াতীর্থের উৎপত্তি ও গয়াস্থর সম্বন্ধে যে-সকল বৃত্তান্ত বর্ণিত আছে, তাহ শ্রবণে বেশ আনন্দলাভ হইয় থাকে । বাহুল্য-ভয়ে তাহ লিখিতে বিরত হইলাম। বৈদ্যেশ্বর-তীর্থে জটায়ুর অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য যে চুল্লী প্রস্তুত হইয়াছিল, উহা একটি কুপে পরিণত হইয়াছে। উহা ও একটি তীর্থকূপ । পুরীতে আঠারনাল সেতুও একটি এই শ্রেণীর স্থান । পুরাকালের প্রসিদ্ধ দৈত্য-দানবাদির দেহ সম্পর্কেও কোন কোন স্থান চিরবিখ্যাত হইয়। রহিয়াছে । বৃন্দাবনের "কেশী ঘাট” ও বক্সারের "তাড়ক নালা" কেশী দৈত্যের ও তাড়ক রাক্ষসীর পতনের স্থান বলিয়া বিখ্যাত হইয়া রহিয়াছে। দশানন-ভগ্নী সুপণখার লক্ষ্মণ কর্তৃক নাসিক-ছেদের জন্য নাসিকের তীর্থখ্যাতি। রামেশ্বরের চক্ৰতীর্থও, ঐরূপ বিষ্ণু-কর্তৃক চক্র দ্বারা দুৰ্দ্দম নামক রাক্ষস বধ হওয়ায়, প্রসিদ্ধ হইয়া আছে । উক্ত সকল স্থানই যে পবিত্র বলিয়। বিবেচিত হইয় থাকে তাহার কারণ, ঐসকল দৈত্যাদির সংহারকারী দেবতাদের চরণস্পর্শে উহ! পূত হইয়াছে । দেবদেবী ও মহাপুরুষদের লীলাক্ষেত্র বলিয়া, মথুরার বিশ্রাম-ঘাট হইতে আমাদের পার্শ্বস্থ বৈদ্যবাটীর নিমাইতীর্থের ঘাট পৰ্য্যন্ত কত যে প্রসিদ্ধ পবিত্র স্থান আছে তাহার সংখ্যা নাই । আবার পক্ষাস্তরে কয়েকটি অপবিত্র বিখ্যাত নদী ও গিরি দেখিতে পাওয়া যায় । দশাননের প্রস্রাব হইতে উৎপন্ন বৈদ্যনাথের কৰ্ম্মনাশ। নদী এবং চট্টগ্রামের মুস্তনদী এই শ্রেণীর। ইহার জল কোন দেবকার্ষ্যে ব্যবহার হয় না। কামরূপে উমানন্দ দেবীর মন্দিরের নিকট কৰ্ম্মনাশ নামে এক গিরিশৃঙ্গ ভারতের উপাস্ত-বৈচিত্র্য AAAAAA AAAA AAAAMM AeM eM MMM MMMM MMAMM MMMMMMM AMAAeeeAe AAAA SSSSSSMMMMMMMAMMMMAMAMAeMMMeAMeMMMAMMAMMM AAAA S SAAAAA Re(t আছে । কথিত আছে উহার দিকে দৃষ্টিপাত করিলে তথাকার সমস্ততীর্থঙ্কল নষ্ট হইয়া যায় । পাষাণময় মানবেতর জীবমূৰ্ত্তি দেবদেবীর বাহন-রূপে আমরা বহু প্রকার জন্তুর কথা অবগত থাকিলেও, তাহার সে-কারণে আমাদের কাছে কোন পূজা পায় না। কিন্তু দেবামুগ্রহে পতিত হইয়া মানবেতর কোন কোন নিদিষ্ট জীব মানুষের চক্ষে ভক্তির পাত্র হইয়া আছে। পুরীধামের রোহিণী-কুণ্ডে ‘ভুণ্ডণ্ডীকাক’, কাশীর জ্ঞানবাপীর পাশ্বে ও রামেশ্বরে নন্দী নামক প্রস্তরময় বৃষমূৰ্ত্তি, নেপালে সুবর্ণ-মণ্ডিত নন্দী অর্থাং বৃষ-মুক্তি এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তটে অশ্বক্রান্ত দেবালয়ে অশ্বদিগের পাষাণ-মূৰ্ত্তি তীর্থপয্যটকদিগের চক্ষে আরাপ্য বলিয়। বিবেচিত হইয়া থাকে। কাশীর কালভৈরবের বাহনৰূপে তথায় মন্দিরে একটি কুকুর-যুক্তি দৃষ্টিগোচর হইয় থাকে । মহাবীর ইচ্ছুমানের মুক্তি বহু স্থানেই নিয়মিত পূজা পাইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন ভুবনেশ্বরে ও অন্যত্র আরও অনেক বৃষ-মুক্তি মহাদেবের স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। আকাশরুপী দেবতা স্বপ্রসিদ্ধ চিদম্বরম্-নামক দেবালয় স্থাপত্য-শিল্পে অতুলনীয়। স্বয়ং ব্রহ্মার অভিপ্রায়-মত এই মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে বলিয়। কথিত আছে । কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয়, এই অপূৰ্ব্ব মন্দিরে কোন দেব-মূৰ্ত্তিই ভক্তগণের নয়নগোচর না হওয়ায় তাহারা নৈরাষ্ঠ্যে ব্যথিত হন। এখানে আকাশরুপী ভগবান বিরাজমান। অভ্যন্তরে একটি প্রাচীর-গাত্রে “আকাশ-লিঙ্গ” এই কথাটি মাত্র লেখা আছে, উহাই একখানি পদার দ্বারা আচ্ছন্ন থাকে। পাণ্ডীগণ যাত্রীদিগকে ঐ যবনিকা উত্তোলন করিয়া লেখাটি দেখাইয়া থাকেন। প্রাকৃতিক অস্বাভাবিকতা হিন্দুদিগের তীর্থমধ্যে বহুতর বিচিত্র প্রকারের দৃশ্ব পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। জানি ন| এই প্রাকৃতিক বৈচিত্ৰ্যই উহাদের পূজা পাইবার, কারণ কি না। চন্দ্রনাথের অন্তর্গত গুরুধুনী তীর্থ নামে এক অদ্ভুত স্থান আছে। এখানে গিরিগাত্র হইতে সৰ্ব্বদাই অগ্নিশিখা নির্গত হইতে দেখিতে