পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ob কালীয়-ত্বদ, শী মদনমোহনের পাশ্বস্থ টিল্প হইতে ( সুন্দালন ) সরোবর প্রস্তুত করিয়াছিলেন । শান্তন-কুণ্ড-তীরে বসিয়৷ শাহুমুনি তপস্যা করিয়া বঞ্চিত ফল লাভ করিয়াছিলেন ; তদবধি এই তীর্থের নাম শান্তনকুণ্ড হইয়াছে। কালীয়হ্রদে কালীয় নামক স্বপ্রসিন্ধ নাগের বাসস্থান ছিল বলিয়া কথিত আছে। কলীয়দমনের উপাথ্যান অনেকেই জ্ঞাত আছেন । মথুরার মধ্যে কুষ্ণগঙ্গ। গোকুলে মধুক গু ও পোংবাকু ণ্ড নামক কু গুষ্ট পিপ্যাত । শী ক্লষ্ণ বংসাসুর বধ করিয়া পাপ হইতে মুক্ত হু ওয়াব মানসে গঙ্গাদেবীকে অনিয়ন করিয় তাহতে স্বfন করিয়াছিলেন, তfঙ্গ হইতেই কৃষ্ণ-গঙ্গার উৎপত্তি। মধুকৃষ্ট নামক কুণ্ডটি এক সময়ে এক দৈত্য-সঞ্চিত মধুর দ্বারা পরিপূর্ণ থাকিত ; বলদেব ঐসমস্ত মধু পান করিয়া তংপরিবর্তে তীর্থবারিতে উছা পূর্ণ করিয়া দিয়াছিলেন ; তদবধি উল্লাহু মধুকুণ্ড নামে অভিহিত হইয়াছে। ইষ্ঠার নিকটে এক উচ্চ টিলfর উপর ধ্রুবের তপস্যাস্থান এখনও বৰ্ত্তমান আছে । পোংরাকুগু গোকুলবাসীদের নিকট অতি পবিত্র বলিয়া বিবেচিত হয়। কথিত আছে শ্ৰীক্লষ্ণের জন্মের পব সূতিকাগুহের বঙ্গাদি ঐ কুণ্ডে প্রক্ষালিত হইয়াছিল। দ্বারকায় গোমতী, সাগর তীর্থ, নারায়ণপুষ্করিণী, সপ্তকুণ্ড ও গঙ্গাতীর্থ বিখ্যাত। এই নারায়ণপুষ্করিণী ভারতের চারি ধামের মধ্যে সৰ্ব্বত্রই পূজনীয়। গৌহাটিতে ব্ৰহ্মকুণ্ড, সৌভাগ্যকুণ্ড, উৰ্ব্বশীকুণ্ড, অপূর্ণভর ও বরাহ এল” প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩০ SMMMSJJMMAMMMMMMAMMJSAMAJMMMAMMMAJMMMJJJAAASAAAA ۹-میر { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড কুণ্ড নামে পাঁচটি খ্যাতনাম কুণ্ড আছে। ব্রহ্মকুণ্ডের মাহাত্ম্য অসীম। পরশুরাম এই কুণ্ডে স্বান করিয়া মাতৃহত্যাজনিত পাপ হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছিলেন। কিম্বদন্তী আছে এই কুণ্ড হইতেই ব্ৰহ্মপুত্রের স্বষ্টি হইয়াছে। আসামের শিবসাগরও একটি রমণীয় পবিত্র সরোবর । পুরী ও ভূবনেশ্বরে অনেকগুলি পবিত্র ও মৃন্দর সরোবর আছে। তাহার সংখ্যা মোটামুটি প্রায় পচিশটি । ইহাদের মধ্যে ভুবনেশ্বরের বিন্দুসরোবর, পুরীর, নরেন্দ্র-সরোবর ব। চন্দন-পুকুর অতি স্বন্দর ও বৃহৎ । বিন্দুসরোবরের মত সুদীর্ঘ পুষ্করিণী খুব কমই আছে। এই উভয় সরোবরের মধ্যে একটি করিয়া দেবালয় আছে। বৈশাখ মাসে চন্দনযাত্রার সময় ভুবনেশ্বরের প্রতিনিধি চন্দ্রশেখর দেব এবং জগন্নাথের প্রতিনিধি মদনমোহন জীউ ঐ মন্দিরে অবস্থান করেন। বিন্দুসরোবরের উৎপত্তি বিষয়ে একটি স্বন্দর কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে। দেবী বিন্দুবাসিনীর নামে মহাদেব কর্তৃক এই নাম প্রদত্ত হইয়াছিল। এই দুইটি সরোবর ভিন্ন রোহিণীকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, মার্কও, ইন্দ্ৰদ্যুম্ন, চক্ৰতীর্থ, পাৰ্ব্বতী-সরোবর, ব্রহ্মকুণ্ড, গৌরীকুণ্ড, ললিতাকুণ্ড, রামকু গু, মরীচিকু গু, কপিলহ্রদ, কোটীতীর্থ ও পাপনাশিনী তীর্থ উল্লেখযোগ্য । ইহাদের মধ্যে পাপনাশিনী তীর্থ, কপিলহ্রদ, ও কোটীতীর্থের মাহাত্ম্য অধিক। পুরীর নরেন্দ্র, ইন্দ্ৰদ্যুম্ন, সমুদ্র, মার্কগু ও চক্ৰতীর্থ এই পাচটিকে পঞ্চতীর্থ বলে। তীর্থযাত্রীরা ভক্তিসহকারে ইহার জল স্পর্শ ও পূজাদি করিয়া থাকেন। মার্কগুৰুদতীরে বসিয়া মার্কণ্ডেয়-ঋষি তপস্যা করিয়াছিলেন বলিয়। উহা এই নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। ইন্দ্ৰদ্যুম্ন-সরোবর রাজা ইন্দ্ৰদ্যুমের দ্বার নিৰ্ম্মিত । ইহার আয়তন বিশাল। যথানিয়মে এখানে সঙ্কল্প, পূজা ও তপণাদি করিলে সহস্ৰ অশ্বমেধযজ্ঞের ফল লাভ হইয় থাকে। সমুদ্রের তীরে ষ্টেশনের নিকট একটি স্থান আছে, উহাকেই চক্ৰতীর্থ বলে। একখণ্ড বালুকাময় চড়া উহাকে সমুদ্র হইতে পৃথক করিয়াছে, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় উগর জল আদৌ লবণাক্ত নহে। ব্যাসকাশীতে চক্ৰতীর্থ নামে আর-একটি পুণ্য পুষ্করিণী আছে, স্বয়ং বিষ্ণু চক্র দ্বারা উহা খনন করিয়াস্বীয় অঙ্গগলিত স্বেদ