পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&めe خ حبیبیسیحیتهای مهمعه همه مج চন্দ্রকে রাবণবধজনিত ব্ৰহ্মহত্যা পাপ স্পর্শ করিলে তাহার হস্ত-তালুতে একটি কাল দাগ হয়। তিনি বিধিমত চেষ্টা করিয়াও ঐ দাগ উঠাইতে সক্ষম হন নাই, অবশেষে নৈমিষারণ্যে এই কুণ্ডে হস্ত-প্রক্ষালনমাত্র দাগ অদৃশ্য হয়। তদবধি উহার অপর নাম পাপহরণ । ভীমঘোড়া নামক তীর্থটি অশ্বখুরাকৃতি একটি জলাধার। ভীমসেনের অশ্বখুর হইতে উহার উৎপত্তি এইরূপ জনপ্রবাদ । আজমীরের পর্বতের উপত্যকায় অনসাগর ও বিশালসাগর নামক হ্রদ দুইটি আয়তনে বৃহৎ এবং দেখিতেও সুন্দর। কাঞ্চীপুরের কোটীতীর্থ একটি দীঘির আকারের। এই সহর মধ্যে রবিতীর্থ, সোমতীর্থ ইত্যাদি সাতটি বারের নামে আর সাতটি বিভিন্ন মাহাত্ম্যপূর্ণ জলাশয় আছে। যে যে নামের যে তীর্থ সেই সেই দিনে উছাতে স্নান করিলে ভিন্ন ভিন্ন ফল পাওয়া যায়। ভারতের চারিধারে যেমন চারিপাম প্রসিদ্ধ আছে, সেইরূপ চারি দিকে মানস, বিন্দু, নবায়ণ ও পম্পাসরোবর নামে চারিটি প্রসিদ্ধ সরোবর আছে । কিষ্কিন্ধ্যাপুরীর নিকটে পৰ্ব্বতশ্রেণীর মধ্যে পরম রমণীয় পম্পাসরোবর অবস্থিত। উচ্চার নিকটে মাতঙ্গসরোবর নামে আর-একটি পুণ্যতোয় সরোবর অাছে । চন্দ্রনাথ তীর্থে অনেকগুলি প্রসিদ্ধ কুণ্ড আছে, তন্মধ্যে কয়েকটি কিছু বিচিত্র প্রকারের। সীতাকুগু, ব্ৰহ্মকুণ্ড, লবণাক্ষকুণ্ড, স্বৰ্য্যকুণ্ড ও কুমারীকু গু নামে কুণ্ড কয়টির বিশেষত্ব এই যে, ইহাদের জল উষ্ণ এবং কোনটি হইতে সৰ্ব্বদা বুদবুদ উঠিতেছে, কোনটি একেবারে অগ্নিময় জলন্ত জলকুগু, কোনটিব জল লবণাক্ত। বাড়বনলতীৰ্থ নামে আর-একটি চতুষ্কোণাকুতি আশ্চৰ্য্য কুণ্ড আছে, উহার এক কোণ হইতে একটি অগ্নিশিখা সৰ্ব্বদা দপূ দপূ শব্দে প্ৰজলিত হইতেছে। লবণাক্ষ-কুণ্ডটি এক প্রস্রবণ বিশেষ, উহার জল লবণাক্ত এবং উহার এক স্থান হইতে অগ্নিশিপ। বহির্গত হইয়া থাকে। বাড়বানলকুণ্ডের গভীরতা এ পর্য্যন্ত কেহ নিৰ্ণয় করিতে পারেন নাই, পুষ্করতীর্থের ন্যায় ইহ। নাকি অতলস্পর্শী। কথিত আছে কুণ্ডটি পাতালের সহিত সংলগ্ন আছে। এখানে ব্যাসকুণ্ড, রামকুণ্ড, লক্ষ্মণকুণ্ড ও বাসি-কুণ্ড নামে আর চারিটি কুণ্ড আছে। মুঙ্গেরের সীতাকুণ্ড প্রসিদ্ধ। eবালী—জ্যৈষ্ঠ, లలిe [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড MSMAeMASAeAeSAeS AMS AAAAAS AAAAAeS ہے پھمیر حیحی حیححمیہ বিধাতুবিহিত, পুষ্করতীর্থের কথা কে না জানেন ? এই সত্যযুগের তীর্থটির মাহাত্ম্য অসীম, ইহাও অতলস্পর্শী। জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ নামে দুইটি পুষ্কর দেখিতে পাওয়া যায়। উহার জল নির্গত হইয়া পার্থের যে জলাভূমিতে পতিত হইতেছে, তাহার নাম সরস্বতী । এই সরস্বতী কুরুক্ষেত্রে অদৃশ্ব হইয়া পুষ্করে স্বপ্রভা, সুধা, কনক, নন্দ ও প্রাচী পঞ্চনদী নামে অধিষ্ঠিত। কথিত আছে, এক সময় সম্রাটু ঔরঙ্গজেব ইহার গভীরতা বিষয়ে সন্দেহ করিয়া তাহ নিদ্ধারণের চেষ্টা করিয়া অকৃতকাৰ্য্য হওয়ায়, দেবরোষ হইতে মুক্তি পাইবার জন্য বাধ্য হইয়া পুষ্করের নিকট নিজ অপরাধ মার্জন ভিক্ষা করিয়া নিষ্কৃতি পাইয়াছিলেন এবং তংপরে বাহান্ন হাজার বিঘা দেবোত্তর ভূমি দান করেন । এই তীর্থের সম্বন্ধে বিস্তর কিম্বদন্তী আছে । বদরিকাশ্রমে ব্ৰহ্মকুণ্ড ও কুশfবৰ্ত্ত নামে যে দুইটিকে কুণ্ড বলে, তাহা প্রকৃতপক্ষে কুণ্ড নহে, দুইটি বাধা ঘাট। জরাব্যাধ কর্তৃক বিদ্ধ হইয়৷ শ্ৰীকৃষ্ণ র্তাহার রক্রমুক্ত চরণকমল যে কুণ্ডে ধৌত করিয়াছিলেন তাহার নাম পদমকুণ্ড। ইহার নিকটে ভালকাকুণ্ড নামক পবিত্র কুগুটি অবস্থিত। থানেশ্বরের নিকট একটি হ্রদ আছে, প্রবাদ কুরুরাজ দুৰ্য্যোধন পাণ্ডবদেব যুদ্ধে পরাজিত হইয়া এই হ্রদে লুকাইয়৷ ছিলেন । তীর্থ-কুপ কুণ্ড ও সরোবরাদির ন্যায় নান স্থানে বহু পবিত্র কুপ ও ঝরণা দেখিতে পাওয়া যায়। তীর্থসকলে যে-সব কুপ আছে তন্মধ্যে খ্যাতনাম কয়েকটি কুপের কথা নিয়ে লিখিত হইতেছে। কাশীতে কালকূপ ও জ্ঞানবাপী প্রসিদ্ধ। কালকূপের উপরের ভিত্তিগাত্রে এমন একটি ছিদ্র আছে যাহার ভিতর দিয়া প্রতিদিন ঠিক মধ্যাহ্নকালে সুর্য্যরশ্মি জলে পতিত হয় । জ্ঞানবাপীর কথা অনেকেই জানেন, ইহা বিশ্বেশ্বরের ত্রিশূল দ্বারা গণপতিকৃত একটি কুপ । ইহার সেবার্চনা করিলে দিব্য জ্ঞান লাভ করিয়া লোকে অন্তে স্বর্গারোহণ করিতে সমর্থ হয়। অযোধ্যায় জনক রাজষির কূপ ও বশিষ্ঠাশ্রমে যে কুপ আছে তাহাই উল্লেখযোগ্য। শেষোক্ত কুপসান্ধিধ্যে শ্রীরামচন্দ্র বাল্যকালে ভ্রাতৃগণ সহ ক্রীড়া করিতেন।