পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२b* 4*^^్క^్క ভোরের আলো তার মুখের উপরে এসে পড়েছে। তার বয়স পচিশের বেশী হবে না। মুখখানি সুন্দর, কিন্তু দারিদ্র্য আর দুর্ভাবনার চিহ্ন তাতে স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে |- . . . . . হঠাৎ ঘরের ভিতরে পায়ের শব্দ শুনে, সে মুখ তুলে দেখলে, কাল রাতের সেই মোটরের আরোহী তার বিছানার পাশে এসে দাড়ালেন, তার সঙ্গে দুটি বালিকা। অত্যন্ত সঙ্কুচিতের মত তাড়াতাড়ি সে উঠে বলল । বিনয়-বাবু বললেন, “উঠতে হবে না, উঠতে হবে না, —তুমি যেমন ছিলে তেমনি শুয়ে থাকে৷ ” ৬ সে বললে, “ডাক্তার-বাবু, আমি এখন ভালো আছি । আর আমার এখানে থাকবার দরকার হবে না।” বিনয়-বাৰু তাকে পরীক্ষা ক'রে বললেন, “তোমার আঘাত সাংঘাতিক নয় বটে, কিন্তু এখনো দু-চার দিন তোমাকে আমরা বিছানা ছেড়ে উঠতে দেব ন৷ ” মান হাসি হেসে যুবক বললে, “আমার জীবনের মূল্য কিছুই নেই ডাক্তার-বাৰু! আমি মরি, বঁচি, তাতে দুনিয়ার কোনোই লাভ কি লোকসান নেই,—আমাকে দয়া ক’রে ছেড়ে দিন ।” বিনয়বাবু স্থির-চোখে নীরবে খানিকক্ষণ যুবকের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর সদয় স্বরে বললেন, “তুমি চুপ ক’রে শুয়ে থাকে, মনকে অশাস্ত কোরো না.” যুবক তেমনি ব্যথিত:স্বরে বললে, “জানেন ডাক্তারবাবু, কাল রাতে আমাকে মোটর-চাপা দিলেও আপনার কোনো পাপু হোতে না ? আমি কাল মরুতেই গিয়েছিলুম। ঙ্গিার জলে নেমে, মরণকে সামন-সামূনি দেখে, ভয়ে আমি মরতে পারিনি-কাপুরুষের মতন "সেটি ॥১১ . সুনীতিমার স্বশিয়া অবাক হয়ে যুবকেৰ মুখেব দিকে 然 ( বিনয়-বাবুব মনে সন্দেহ হ’ল, লোকট। পাগল انسانسایفه ক্ট তিনি নাকেটপ্লি" মাখানা নাকে * - আর-ল্পকবাব দেখে,

  • 酗 w 8

《}বালী-জ্যৈষ্ঠ, OGවශ ASAAAAS AAASASASSMSSAAAAAAS AAAAA AAAASSAAAAA AAAAMMMM MM MeMMM MMMMM AMAMAeMAMAMMMMS ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড —“তুমি কোথায় থাকো ?” —“পথে, ঘাটে, আকাশের তলায়।” ---“তার মানে ?” --“আমার মাথা গোজ বার ঠাই নেই। একটা মেসে থাকৃতুম, কিন্তু দ্ব-মাসের ভাড়া বাকি পড়াতে, কাগ আমাকে সেখান থেকেও তাড়িয়ে দিয়েচে ।” —“তোমার দেশ নেই ?” 象 —“ছিল। কিন্তু মা আর বাবার কাল হওয়ার পর থেকে দেশে আর যাই না। আমার বাবাও গরিব ছিলেন, আমার জন্যে কিছু খোরাক রেখে যান-নি।” -“তুমি কতদূর পড়েচ ? চাকুরি করতে পারে। না ?” —“কলেজে কিছুকাল পড়াশুনো করেচি-চাকরিও আগে কবুতুম। কিন্তু যুদ্ধের সময়ে আমাদের আপিস উঠে যায়, তারপরে অনেক চেষ্টা ক’রেও অার কাজ श्रांझे-नि ।” রতনের কথাবাৰ্ত্ত শুনে বিনয়-বাবুর মনটা দয়ায় ভিজে গেল । স্বমিত্ৰাও বাবার হাত ধ’রে বললে, “বাবা, তোমার তো অনেক লোকের সঙ্গে আলাপ আছে, এই ভদ্রলোকটির একটি কাজ ক'রে দাও না ।” বিনয়-বাবু বললেন, “আচ্ছা রতন, আমি চেষ্টা ক’রে দেখব, তোমার জন্যে কি করতে পারি। আপাতত আমি তোমাকে কিছু অর্থসাহায্য করব, যতদিন-ন চাকরি হয়, সেই টাকাতে চালিও।” বিনয়-বাবুর চোখের উপরে চোখ রেখে রতন শান্ত স্বরে বললে, “ডাক্তার-বাৰু, আমি গরিব বটে, কিন্তু ভিখিরি নই—আপনার টাকা আমি নেব কেন ? ভিখিরি হ'লে আজ আমার এ দশা হোতে না, আমার মামা খুব ধনী—কিন্তু আমার দারিদ্র্যের গৰ্ব্বে আঘাত লাগবে. ব’লে আমি তারও গলগ্ৰহ হই-নি।” বিনয়-বাবু বিস্মিত চোখে আবার খানিকক্ষণ রতনের দিকে নীরবে তাকিয়ে রইলেন। তার দৃষ্টি প্রশংসায় ভরে উঠল। মন্থযাত্বকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন, এই গরিব যুবকের কথায় মহুষ্যত্বের বিকাশ দেখে তিনি খুসি হলেন। ~~్క