পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড へ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘへ・・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়। আমাদের চক্ষে পৌঁছে। ফলে তেঁতুলের বীজটি বা কুইনাইনের পিলটি ইহার প্রকৃত আকৃতি হইতেও চ্যাপট দেখায়। গ্লাসের জলের মধ্যে স্বজুলি ডুবাইয়। পিলটির দিকে চাহিলে বীজটি বা পিলটি তুলনায়. পূৰ্ব্বাপেক্ষ কিঞ্চিৎ বড় দেখার। অঙ্গুলি প্রবেশ করাইরা দেওয়ায় এরূপ তুলনার স্ববিধ হয় । বাজটি বা পিলটি কম পুর বা কম স্কুল বলিয়া মনে হয়। কিন্তু ইহার surface area সমানই থাকে। কাজেই পুৰ্ব্ব অবস্থার সহিত তুলনার এক্ষণে এই পিলটি বা বীজটি বড় বলিয়া মনে হয়। একই কারণে নৌকার তল চ্যাপট এবং ছড়ি বা বায়ুপূর্ণ কোন কাচের নলও পুৰ্ব্বাপেক্ষী খাট ও মোটা দেখায়। মনে করুন দুইজন ভুড়িওয়াল লোক আছেন,—একজন বামন, অগুঞ্জন লম্বা ; ভুড়ির মাপ হুজনেরই সমান ধরিয়া লওয়া গেল। এ দু’জনের মধ্যে কাহার ভুড়িটি বড় লাগিবে ? বামন লোকটির ভুড়ি অপর জন অপেক্ষ বড় বলিয়া মনে হইবে। প্রকৃত পক্ষে ভুড়ির মাপ দুজনেরই সমান। কিন্তু তুলনায় একজনকে বড়, অপর জনকে ছোট-ভুড়িওয়ালা বলিয়া মনে হয়। পিলটি ও বীজটির আয়তন সম্বন্ধেও এইরূপ তুলনার কথা । বাজটি বা পিলটির আয়তন বরাবরই সমান আছে । কিন্তু যখন গ্লাসে জল ঢালিয়া দেওয়া হইল তখন বীজটি ও পিলটিকে পুৰ্ব্বাপেক্ষ কম পুঞ্জ থলিয়া মনে হয়। বীজটির বা পিলটির surface area সমানই আছে, শুধু দেখিতে কম পুরু হইয়াছে। সেইজন্য দ্বিতীৰ অবস্থায় বঙ্গটি বা পিলটি যেন একটু বড় বড় বলিয়া মনে হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে উহাদের আয়তন সমানই আছে । শুধু ইহাকে গ্লাসের তল হইতে কিছু উচ্চে অবস্থিত বলির মনে হয় । কত উচ্চে তাহ অীলেীকতত্ত্ব পাঠ করিলে জানিতে পারা যায় । আলোকরশ্মির পরাবৃত্তিই ( refraction ) ইহার মুল কারণ। আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণের (reflectionএর ) প্রভাবও ইহাতে আছে । নী শরৎকুমার চট্টোপাধাঘ ( s ०२ ) ভূতের ব্যাগার খাটী মানুষ কাজ করিয়! তাহার প্রতিদান চাহিয়া থাকে। কেহ অর্থ, কেহ ভালবাসা, কেহ বা পুণ্য কামনা করিয়া থাকে । নিঃস্বার্থ কন্ম সংসারে অতি বিরল। স্বেচ্ছাসেবকগণও প্রতিদানে যশ, আশীৰ্ব্বাদ অথবা আত্মপ্রসাদ লাভ করিয়া থাকেন । বিন লাভে অনুরোধ-পরতন্ত্র হইয়া অথবা বtধ্য হইয় কাজ করাকে ব্যগির-খাট বলা যাইতে পারে। ভূত পাঁচটি। বৰ্ত্তমান বৈজ্ঞানিক যুগে অণু পরমাণু কিবা ক্রুক্স সাহেবের আবিষ্কৃত "ইলেক্ট ন" আমাদের প্রাচীন ঋষিদিগের পঞ্চভুতকে বেদখল করিলেও এস্থলে ভূত শব্দে গিfত অপ তেজ বায়ু ও বোমকেই বুঝিব। মামুন ভূমির উপর যত অত্যাচার করে এবং দৈনন্দিন ইহার রত্নরাঞ্জি ষে ভাবে আত্মসাৎ. করিতেছে তাহ বাস্তবিকই বিস্ময়জনক । এইজস্তই বোধ হয় পৃথিবীর এক নাম সৰ্ব্বংসহ৷ ৷ মামুল জলকেও কম খাটাইতেছে না। এ হিসাবে তাপ, আকাশ ও বাতাসের খাটুনিও কম নহে। ইহার স্বরূপে অথবা রূপান্তর গ্রহণ করিয়া অহরহ মানবের কল্যাণ সাধন করিতেছে ; কিন্তু প্রতিদান কিছুই ফিরিয়া পায় না । তাই বোধ হয় সংসার-যাত্রায় কৰ্ম্মক্লিষ্ট মানব কষ্ট্রের অণুমাত্রও প্রতিদান ন পাইয়া মনের ক্ষোভে বলিয়া থাকে "ভূতের ব্যাগার খাটিতে আসিয়ছিলাম, ভূতের বাগার থাটির গেলাম।" পল্লীগ্রামে অনেক ভূত-প্রেত-সিদ্ধ লোকের গল্প শুনিতে পাওয়া যায়। তাহীর মূকি মস্থললে ভূত ধরিয়া আনিয় নৌকা-চালন, পাক্ষী-বহন, বৃক্ষ-ছেদন, জলাশয়-গনন প্রভৃতি অনেক বড় বড় কাজ বিনা পয়সার করাইরা লইত । "ভূতের ব্যাগার থাটার" সঙ্গে এই গল্পের কোন সম্পর্ক আছে কি না বলিতে পারা যায় না । এই পাড়াগায়ে ভূতসিদ্ধগণের গল্পে স্থাঙ্ক লিন, কেলভিন, জেমস ওয়াট, প্রভৃতি ভুতসিদ্ধগণের ক্ষুদ্র সংস্করণের ইঙ্গিত নিহিত আছে কি না কে বলিলে । শ্ৰী জগচ্চন্দ্র পৌদীর ( ১৩৭ ) চায়!-রহস্ত স্বৰ্য্যরশ্মি বাধা প্রাপ্ত হইয়। ছায়ার স্বষ্টিকরে। এই ছায়াকে ছায়া না ভাবিয়া একটি জিনিষ ( object ) ভাবিয়া লইলাম। এখন ইহার দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টি চাহিয়া থাকিলে "ছবি-বহা নাড়ী" ( optical nerve ) একই দিকে অনেকক্ষণ কাজ করিতে করিতে অবসন্ন হইয় পড়ে ; ফলে জিনিসটির ছবি ক্রমশঃই অস্পষ্ট ও আবছায় হইয় উঠে। সেজন্ত মস্তিষ্কের দৃষ্টি-ক্ষেত্রে (visual area) fosanson of sta (image) q#ff y*iš 8 yɛrɛß5 (distinct and well-defined) প্রতীতি ( impression ) জন্মইতে পাবে না, এবং আমরাও একটি অস্পষ্ট ছবি দেখি। এই অবস্থার যদি শূন্তে দৃষ্টিপাত করা যায় তাহ। হইলে আমরা পুৰ্ব্ব দৃষ্ট জিনিষটিরই ছবি তখনও দেখিতে পাই । কারণ পূৰ্ব্বদৃষ্ট জিনিষটির প্রতীতি তখনও আমাদের মানসপটে অবস্থিতি করে । ওই জিনিসের অস্পষ্ট ছবিটিকে তখন আমরা একট৷ “সাদা রকমের” অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপ অস্পষ্ট রকমের, দেপিতে পাই এবং ক্রমে কিছুক্ষণ শূন্তে চাহিয়া থাকিলে সেই অস্পষ্ট ছবিটি ক্ৰমে আরও তাস্পষ্ট হইয়। মানসপট হইতে বিলীন হইয় যায় এব: তার পর আমরা আকাশেরই ছবি দেখিতে পাই। "ছবি-বহা নাড়ীর" অত্যন্থ আয়াসই এ দৃষ্ঠের ( phenomenonএর ) কারণ । ব্ল শরৎকুমার চট্টোপাধাtয ( აი ფ ) মাঘ মাসে মুল পাওয়া নিষেধ বৃদ্ধ মুলা গুরপাক ও ত্রিদোষজনক । মাঘ মাসে মূল বৃদ্ধ হইয়! যায়, সেইজন্ত স্বাস্থ্যতত্ত্বানুসারে ঐ সময় মূল অভক্ষ্য। শাস্ত্রীমুসারেও মাঘমাসে মুলা অভক্ষ্য । “মকরে মুলকঞ্চৈব সিংহে চালাবুকগুগ। কার্কিকে শুরণঞ্চৈব সদ্যে গোমাংসভক্ষণম্।” ইতি কৰ্ম্মলোচনম্। শ্ৰী কালিদাস ভট্টাচাৰ্য্য (s « n) সাত সমুদ্র তের নদী e “লবশেষ্ণু স্বরা সর্পি এঁধি স্থদ্ধ জলস্তকাঃ” । হিন্দু মতে লবণ ইক্ষু স্বর ঘূত দধি দুগ্ধ ও জলস্তক বা জলীর্ণব এই সপ্ত সমুদ্রের নাম পওয়া যায়। অধুন পাশ্চাত্য ভূগোলবিদগণ ভূমণ্ডলের জলরাশিকে ছয়টি কাল্পনিক মহtংশে বিভক্ত করিয়া ভৌগোলিক মহাসাগর সংজ্ঞায় অভিহিত করিয়াছেন। পৃথিবীর জলরাশিকে সপ্ত ভাগে বিভক্ত করিয়া আরব সাগরকে সপ্ত মহাসাগরের মধ্যে গণনা করিলে পাশ্চাত্য মত ও প্রাচ্য ভারতীয় এবং আরবীয় মতের সামঞ্জস্ত"হয় । এই বিভাগ-লিয়া নিতান্ত অযৌক্তিক বলিয়া মনে হয় না। প্রাচীন আরবীয়গণ পৃথিবীকে “সাত দরিয়ায়" বেষ্টিত মনে করিতেন। স্বীয় জন্মভূমির উপকূল