পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ধৌতকারী বিস্তীর্ণ সলিলরাশিকে “সাত সদিয়ার” অস্ততম “দরিয়া" মনে করা উহাদের পক্ষে বিচিত্র নহে। “সাত সমুদ্র তের নদীর পার” কথাটি দূরত্ব ও বৈদেশিকতাব্যঞ্জক। সম্ভবতঃ বঙ্গদেশে কোম্পানীর আগমনসময়ে ইহা প্রথমতঃ ইংরেজ ফরাসী প্রভৃতি বৈদেশিক বণিকৃগণকে লক্ষ্য করিয়া বলা হইয়াছিল। র্যাহার কথাটা প্রথমে প্রয়োগ করেন তাহার বোধ হয় পুরাণাদিতে বর্ণিত অতিবিশ্রুত নদীগুলির কথাই মনে করিয়াছিলেন। ভারতে অতিপুণ্যতোয় নদী সাতটি। দেবপূজাদির প্রারম্ভে জলশুদ্ধি করিতে এই সপ্ত নদীকে আহবান করা হয়, যধ —“গঙ্গে চ যমুনে চব গোদাবরি সরস্বতি । নৰ্ম্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুর” । অস্ত একটি অতিপুণ্যতোয় নদী দৃদ্বতী। মমুসংহিতায় ইহাকে দেবনদী বলা হইয়াছে। করতোয় ও ব্ৰহ্মপুত্র নদের বারি যোগ-সময়ে অতিপবিত্র বলিয়৷ বিবেচিত হয় । স্নান মন্দ্রে করতোয়াকে সরিৎশ্রেষ্ঠ বলা হইয়াছে, যথা—“করতেীয়ে সদানীরে সরিৎশ্রেষ্ঠে স্ববিশ্রুতে । পৌণ্ডান প্লাবয়সে নিত্যং পাপং হর করোস্তুবে।" রামায়ণে সরযু ও কণ্ডর নাম কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। বাকী নদীটি বোধ হয় গঙ্গার শাখ পদ্ম । পদ্ম যেরূপ বেগবতী ও বিশাল তাহাতে তাহীকে তের নদীব মধ্যে অনায়াসে স্থান দেওয়৷ যাইতে পারে। ঐ জগচ্চন্দ্র পেদার ( ১৬ e ) অম্বুবাচী অম্বুবাচীর মধ্যে অগ্নিপক দ্রব্য ভক্ষণের বিফদ্ধে এইরূপ শাস্ত্রোক্ত বচন উদ্ধত দেখিতে পাওয়া যায়। “রজোযুকঙ্কামুরাচীচ রৌদ্রাদ্য পাদগে বলে । তষ্ঠাং পাঠে বীজলাপে নাহিঙী খুঁপানতঃ ॥ গতিনে ব্ৰতিনশ্চৈব বিধব| চ দ্বিজস্তথা। অম্বুবাচী-দিনে চৈব পাকং কুত্ব ন ভক্ষয়ে । স্বপাকং পরপকং বা অম্বুবাচী দিনে তথা ॥ ভোজনং নৈব কৰ্ত্তব্য চাওলান্নসমং খুতং ॥ এই প্রমাণ অনুসারে পাকদ্রব্য ভক্ষণ শুধু বিধবা কেন যতী, ব্রতী ও দ্বিজদিগের পক্ষেও নিষিদ্ধ ; অর্থাৎ র্যাঙ্গার ব্রহ্মচৰ্য্যপরায়ণ র্তাহীদের বৈশাখের গান Rలీన عامعة معايير .ണ്. ബാ مه حییم حبیبیسیحیره श्रृंहक अग्निश्रृंक छिनिष रुष नाझ् । श्रांझा मृत्रकौग्न ८कांन कांब्र१ ईझांकड বর্তমান আছে বলির মনে হয় না। র্যাহারা অম্বুবাচীর মধ্যে ভোজন করেন তাহদের কাহারও স্বাস্থ্যের হানি ঘটিয়াছে এরূপ দেখা যায় না ; দুই একজনের স্বাস্থ্য ভগ্ন হইলেও পাকদ্রব্য ভোজনকেই তাহার একমাত্র কারণ ৰলিয়। নির্দেশ করা যাইতে পারে না । পক্ষাত্তরে র্যাহারা ভোজনে বিরত থাকেন উtহারের স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতিও পরিলক্ষিত হয় না। তবে ইহা শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিবিশেষের উত্তেজন ঘটাইয়| ব্রহ্মচারীর ব্রহ্মচর্য্যের অন্তরায় হইতে পারে, সেইজন্তই বোধ হয় ইহা যতী, ব্ৰতী, দ্বিজ ও বিধবার পক্ষে নিষিদ্ধ। প্রাকৃতিক বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিলে এ অনুমান অনেকট সত্য বলিয়া বোধ হয়। দুৰ্য্যের গতি-ভেদে ঋতুর পরিবর্তন ঘটিয়া থাকে, এবং এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির এবং প্রাণী-সকলেব শারীরিক ও মানসিক অনেক পরিবর্তন সাধিত হয় । স্বাদশ মাসে সুর্য্য ১০৮ পাদে বিভক্ত ২৭টি নক্ষত্রে অবস্থান করে। অর্জ নক্ষত্রের প্রধম পাদে স্বয্য ৩ দিন ২• দণ্ড অবস্থান করে। এই স্থিতিকালই অম্বুবাচী বলিয়৷ খ্যাত। অম্বুবাচী শব্দের প্রকৃতিগত অর্থ বর্ধারম্ভ-কাল । "অম্বু বীচয়ন্তি ভদৃবর্ষণং গুচয়তি ইতি অম্বুবাচী”— যে সময় বর্ষণের সূচনা করে তাহাই অম্বুবাচী । শাস্ত্রমতে পৃথিবী এই সময় ঋতুমতী হয়। প্রাণীজগতের কথা ছাড়িয়া দিয়া তরুলতাদির জীবনের ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায় সকলেরই ফল পুষ্প ধারণের একটা বিশেষ সময় আছে । আমাদের বম্বন্ধর যে এই প্রাকৃতিক নিয়মেব বহিভূর্ত এমন বোধ হয় না। ভচক্র-পথে স্বর্ষের অবস্থান-ভেদেই এই সময় "চিত হয়। স্বর্য্যের আর্দ্র নক্ষত্রের প্রথম পদে স্থিতিকালে ধরিত্রী বর্ষাসারে অতি সিক্ত হইয়া উর্বরাক্লগে জননশক্তিশালিনী হইবেন ইহা আশ্চৰ্য্য নহে। এই বর্ষণবহুল সময়ে বোধ হয় মানবের বৃত্তিবিশেষ সম্পূর্ণরূপে পরিকুরিত হইয় উঠে। এ সময় সংযমের প্রতিকূল আচার ব্যবহার পরিত্যাগ করা সংযমীর পক্ষে অবগুকৰ্ত্তব্য। পাকদ্রব্য এই বৃত্তি ফুরণের অমুকুল, অথবা অনশন কিম্ব অৰ্দ্ধাশন মানবের বৃত্তিনিচয় সংযত রাখে বলিয়া ঋষিগণ কর্তৃক বিধবার পক্ষে অম্বুবাচীতে ভোজন নিষিদ্ধ হইয়াছে। ঐ জগচ্চন্দ্র পোদ্দার বৈশাখের গান চলে ধীরে ! ধীরে ! ধীরে ! অনিবারা মৃদুধারা ঘিরে ঘিরে ধরণীরে! ধীরে ! ধীরে ! ধীরে ! খর রৌদ্রে বায়ু মূচ্ছে জলে জাল, চির স্বপ্নে রহে চম্পা চির-বাল, তন্তু আল চলে যাত্রী, ওড়ে ধূলি ঘুরে ফিরে ! ধীরে ধীরে ধীরে! গলে সূৰ্য্য, ঝরে বহ্নি, মরে পার্থী, মেলে জিহব। মরু-তৃষ্ণ মোছে আঁখি, ছায়৷ কঁপে থর তাপে, বুকে চাপে মরীচি রে! ধীরে ! ধীরে! ধীরে ! দিশাহারা চলে ধারা পথ বাহি, দিন রাত্রি নাহি তন্দ্রা, ত্বরা নাহি, নাহি ক্লাস্তি, খাম কান্তি ঢালে শাস্তি তীরে তীরে! ধীরে ! ধীরে ! ধীরে ! সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত