পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা?" উপর পুঞ্জীভূত মেঘন্তুপে অস্তমিত স্বর্ধ্যের বর্ণমাধুরীলীলা দেখিতেছিলেন । র্তাহাঁর জীবনস্বৰ্য্যও শীঘ্রই অস্তমিত হইবে। স্বর্ধ্যের আলে। যেমন সম্মুখের ফুলগুলির উপর ঝিকিমিকি করিতেছিল, তেমনি দীপ্তনেত্রে তিনি রহস্যময় শিশুগুলির খেলা দেখিতেছিলেন । হান্নাহানা-ঝাড়ের মাথায় দোতলার জানলা হইতে রমলা তার ছেলেমেয়েদের খেলা দেখিতেছিল আর মাঝে মাঝে একবার বাগানের মধ্যে রজতের দিকে তাকাইতেছিল । ছোটথোকাকে তার দিদির লুকানোর জায়গাটা একটু বলিয়া দেওয়াতে সবাইয়ের কাছে বকুনী খাইয়া রমলা উচ্চ হাসিয়া উঠিল । বাগানের মধ্যে এক ইঞ্জি-চেয়ারে বসিয় রজত কি আঁকিতেছিল, রমলার হাসির শব্দে একটু মুখ ঘুরাইয়। মুগ্ধনেত্রে তাহার দিকে চাহিল । এখন রজত এক বিপ্যাত চিত্রশিল্পী, দেশে ও বিদেশে তাহার যথেষ্ট নাম ও সম্মান- ছেলেদের হাসি ও খেলা চলিতে লাগিল। রমলা শালবনের মাথায় পূর্ণিমার চাদের দিকে তাকাইয়া যেন মবশ্বপ্নের জাল নিতে লাগিল । সহসা ছেলেমেয়েদের কলহান্স পামিয় গেল, তাহদেব সম্মুখে ধূসর ছায়ার মত এক নিঃশব্দচাবা মূৰ্ত্তি আসিয়৷ দাড়াইতে ভtহার একটু ভীত বিস্মিত স্বন্ধ হইয়। পুঞ্জের কোণে কোণে দাড়াইল । সন্ধ্যার আলোর মত মান সে মূর্তিটি খুীর দিকে অগ্রসর হইল। খুকী তার মায়ের মত চাহিয়া কোকড় চুল দুলাইয় একটু সরিয়া গেল । চিনিয়াও তাঁহাকে যেন চিনিতে পারিতেছে না । সে যতীন। সে আসিয়াপড়াতে খেলা থামিয় গেল দেখিয়৷ একটু লজ্জিত বিষন্ন হইয়া মুচুস্বরে যতীন বলিল - “তোমার মা কোথায় খুকী ?” “ম, ওই যে ওপরে’, বলিয়া পেয়াজীরঙের ফ্রকট। ঘুরাইয়া খুকী কাজী-সাহেবের দিকে চলিল । উপরের দিকে চাহিয়া যতীন দেখিল রমলা রঙীন স্বপ্নের মত দাড়াইয়া আছে। সে কিছু বলিতে পারিল न। | - ‘ī. . . ছোট থোকা ডাকিয়া উঠিল—ম । নীচের দিকে চাহিতেই রমলা যতীনকে দেখিয়া و لا ---- ۵ تا রমল 확g》 চমকিয় উঠিল, অশ্রমিঙ্গুেঞ্জ চাহিয়া ভাঙা গলায় বলিল—কে ? আপনি ! যাচ্ছি। যাচ্ছি বলিল বটে, কিন্তু কি করিয়া যাইবে, সিড়িতে আসিয় সে ভাবিয়া পাইল না। অৰ্দ্ধেক গিড়ি নরঞ্জি ভাবিতে লাগিল, কি করিয়৷ এই প্রিয়ামৃত্যুবাঞ্চিবটকে সে সাত্বনা দিবে। তিন মাস হইল, মাধবী কুন্দরবঙ্গে তাহাদের দ্বীপে মারা গিয়াছে । যতীন তাহার কলকারখানা ও ব্যবসায়-জীবন একেবারে ছাড়ে নাই বটে, কিন্তু এ সাত বছর ধরিয়। সে এক নূতন স্বাক্টর স্বপ্নে মত্ত হইয়াছে । সুন্দরবনে অনেক জমি কিনিয়া সেপানে নুতন আদর্শে নুতন নূতন গ্রাম বসাইয়াছে, গঙ্গার মোহানার কাছে একটি ছোট দ্বীপ লইয়। সেখানে পল্পীনগরের প্রতিষ্ঠা করিবার আয়োজন করিয়াছে। তাৰাf দেশের ম্যালেরিয়া-প্রপ্রীড়িত গ্রামের বহু লোককে বিঞ্চ মূল্যে জমি দিয়া বসবাস করাইয়াছে। এ দ্বীপটির নামকরণ মাধবীর নামে হুইয়াছে। এই নব উদ্যোগে মাধবী তার বন্ধু, সহায়, শক্তি ছিল । আজ তার সুন্দরবনের জায়গা যখন সুন্দর গ্রাম হইয়া উঠিয়াছে, তখন তাহার কৰ্ম্মসঙ্গিনী প্রিয়া চলিয় গেল । ছেলেদের খেলায় আর বাধা না দিবার জন্য যতীন কুঞ্জটি পার হইয় গেল, সমস্ত বাড়ীখানি ঘুরিল, তার পর ধে গাছের তলায় মাপণী পথের দিকে চাহিয়৷ বসিয়া থাকিত, তাহারি তলায় পশ্চিমের স্বয্যাস্তের দিকে চাহিয়৷ দাড়াইয় রছিল । পাহাড়ে প্রাস্তরে সন্ধ্যার ছায়। ঘনাইয়। অসিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরে রমল রজতকে সঙ্গে করিয়া তাহার কাছে আসিয় দাড়াইল । ধীরে বলিল,—ভিতরে জাদুন, কেমন আছেন ? • , স্নান হাসিয়া যতীন বলিল,— আছি ভালই। হ্যালে৷ রজট । *丁 রজত ধীরে যতীনের হাতখানি ধরিয়া বলিল,-- বাড়ীতে এস ভাই। তিনজনে প্রায় নীরবেই ড্রয়িংক্রমে আসিয়kcীছাইল । রমল। ধীরে বলিল,—আপনার দ্বীপের সব ভার্গ ত? . -छैो, डाँजड़े ।