পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ হিন্দী সাহিত্যিক পুরস্কার বংসর দুই পূৰ্ব্বে কলিকাতা-নিবাসী বাবু গোকুলচাদ হিন্দী সাহিত্য-সম্মেলনকে চল্লিশ হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ এই সৰ্বে দেন, যে, উহার আয় হইতে ১২০০ টাকার একটি বার্ষিক পুরস্কার তাহার পরলোকগত প্ৰfতা বাবু মঙ্গলীপ্রসাদের নামে স্থাপিত করিতে হইবে, এবং ঐ পুরস্কার হিন্দীতে লিখিত সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক বা ঐতিহাসিক গ্রন্থের লেখককে দিতে হুইবে । এই পুরস্কার সূৰ্ব্বপ্রথমে এই বৎসর পণ্ডিত পদ্মসিংহ শৰ্ম্মাকে দেওয়া হইয়াছে । র্তাহার বাড়ী নায়ক-নাগল, চাদপুর, জেলা বিজনোর । তিনি হিন্দী কবি বিহারীর “সাতশই° কাব্যের আলোচনা করিয়া যে বহি লিখিয়াছেন, তাহার জন্য এই পুরস্কার পাইয়াছেন । শৰ্ম্ম মহাশয় সংস্কৃত, হিন্দী, প্রাকৃত ও উর্দুতে পণ্ডিত । বার বৎসরেরও অধিক পূৰ্ব্বে যখন তিনি “ভারতোদয়” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, তপন দক্ষ সমালোচক বলিয়। তিনি খ্যাতি লাভ করেন । * ভারতবর্যের অন্যান্য প্রাদেশিক সাহিত্যের সেবকদিগের জন্য এইরূপ পুরস্কার আর আছে কি না, জানি না ; বাংলার সাহিত্যিকদিগের জন্য নাই । হিন্দী র্যাঙ্গদের মাতৃভাষা, তাহাদের হিনীর প্রতি অনুরাগ অসামান্য ; “হিন্দীপ্রেমী” তাহীদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রশংসাবাচক শব্দ । ভারতবর্ষের মধ্যে কলিকাতায় মত হিন্দীভাষী লোক আছেন, হিন্দুস্থানী কোনও শহরে তত লোক নাই । কলিকাতার হিন্দীভাষীদের মধ্যে যেরূপ ধনশালী যত লোক আছেন, হিন্দুস্থানী কোন শহরে সেরূপ ধনশালী তত লোক নাই। এইজন্য, কলিকাতার কোন হিন্দুস্থানী যে হিন্দী সাহিত্যের উন্নতির জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দিয়াছেন, ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় নহে ;–বরং দুঃখের বিষয় এই, যে, এখানকার ক্রোড়পতি হিন্দুস্থানীর যথোচিত বিদ্যোৎসাহী নহেন। পণ্ডিত পদ্মসিংহ শৰ্ম্ম তবে, পুথিগত বিদ্যার চর্চা করিলে, যে, টাকা রোজগার করিবার ক্ষমতা বাড়ে না, তাহ হিন্দু স্থানীদের স্বদেশবাসী বাঙালীদের দৃষ্টান্ত হইতে বুঝিয়, ব্যবসাদার হিন্দীভাষীরা যদি বিদ্যার প্রতি বিমুখ হইয় থাকেন, তাহ হইলে, অর্থোপার্জনের দিক্ দিয়া, র্তাহাদিগকে দোষ দেওয়া ধায় না । কিন্তু অর্থোপার্জনই জীবনের শ্রেষ্ঠ বা একমাত্র উদ্দেশু মহে ; এবং এমন বিদ্যাও বিস্তর আছে, যাহা লাভ করিলে টাকা রোজ গার করিবার ক্ষমত বাড়ে । “ঐশীসারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দু । বালিকাবিদ্যালয়” আমরা পূৰ্ব্বে এই আশ্রম ও বিদ্যালয়টির বিষয় একবার লিখিয়াছিলাম । ইহা এখন, ৫ বি, রাধাকান্ত