পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য ] ১৯২১ সালের সরকারী স্বাস্থ্য-রিপোর্টে দেখা যায়, যে, ঐ বৎসর, শহরগুলি বাদে, কেবল গ্রামে, বৰ্দ্ধমান জেলায় ২১ জনের, বাকুড়া জে গায় ২৪৪, মেদিনীপুর জেলায় ১৯২, চব্বিশ-পরগণা জেলায় ৬৮, নদীয়া জেলায় ৩৪, যশোর জেলায় ২৯, রাজশাহী জেলায় ২৯, দিনাজপুরে ২, জলপাইগুড়িতে ২,বগুড়ায় ২৮, মালদহে ৩, ঢাকায় ১, মৈমনসিংহে ১১৭, ফরিদপুরে ১০০, বাখরগঞ্জে ৩৭, চট্টগ্রামে, ৯, এবং ত্রিপুরাতে ১০ জনের এই রোগে মৃত্যু ইয়াছে । শহরের মধ্যে কোথায় কতজন কালা-জরে মরিয়াছে, তাহার তালিকা দিতেছি। কালন ৪, আসানসোল ১, হাবড়া ৮, বালী ১, মাণিকতলা ২, বরানগর ৬, জয়নগর ৩, পানিহাট ২, উত্তর ব্যারাকপুর ১, টিটাগড় ১২৪, নৈহাটী ১, ভাটপাড়া ১, বারাসত ১, কলিকাত৷ ২০৪, বহরমপুর ২, নাটোর ৪ দিনাজপুর ৬, দাৰ্জিলি” ২, রংপুর ১, নবাবগঞ্জ ১, ঢাকা ২৪৩, জামালপুর ৭, কিশোরগঞ্জ ১ । এই সংখ্যাগুলি প্রকৃত সংখ্যা অপেক্ষ অনেক কম। অনেকের মৃত্যু কালাজরে হয়, কিন্তু অজ্ঞতা-বশতঃ তাহ ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বলিয়া পরিগণিত হয় । জন্মমৃত্যুর সংখ্যার বিশ্বাসযোগ্যতা কোন দেশের, জেলার, শহরের বা গ্রামের স্বাস্থ্য কিরূপ, তাহা জানিতে হইলে উহার জন্ম ও মৃত্যুর ংখ্যাগুলি নিভুল ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া উচিত। এইজন্য, র্যাহাদের বাড়ীতে জন্ম বা মৃত্যু হয়, তাহদের সেই সংবাদ যথাস্থানে সরকারী কৰ্ম্মচারীকে দেওয়া একান্ত কৰ্ত্তব্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের লোকেরা ইহা বুঝেন না কিম্বা আলস্য, ঔদাসীন্ত বা অন্য কোন কারণ বশতঃ এ বিষয়ে কৰ্ত্তব্য পালন করেন না । সেইজন্য এ দেশের জন্মমৃত্যুর সংখ্যাগুলির উপর নির্ভর করা যায় না—যদিও মোটের উপর ইহা বলা যাইতে পারে, যে, কোথাও জন্ম অপেক্ষ মৃত্যু বা মৃত্যু অপেক্ষা জন্ম বেশী হইতেছে কি না, তাহ সংখ্যা দেখিয়া বিশ্বাস করা যাইতে পারে ; কারণ জন্ম ও মৃত্যুব সংবাদ দেওয়ায় বিবিধ প্রসঙ্গ—জন্মমৃত্যুর সংখ্যার বিশ্বাসযোগ্যতা AAAAAASA SAASAASSAAAAA AAAASAAAAMSAAAAAA AAAAS AAAAA AAAAeM MeS eMMeeeAeeAMM MMMAeeMAeM MeeA AMMA AAAASAAAAASA SAAAAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAM MM AAAA SAS S S S S &ጫግ M S AAAA SSAAAASA SAAAS AAAAAS AAASASAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAS S AAAAA AAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS বা সংবাদ লেখায় মোটের উপর প্রায় সমান অবহেলা বা অসাবধানত হয়, ইহা ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে । ১৯২১ সালের সংখ্যাগুলি অনুসারে বঙ্গে হাজারকরা ২৮ জনের জন্ম ও ৩০১ জনের মৃত্যু হইয়াছিল, গণনায় এইরূপ দাড়ায়। কিন্তু স্বাস্থ্য-ডিরেক্টর ডাঃ বেণ্ট লী অঙ্কগুলি সংশোধন করিয়া বলিতেছেন, যে, ঐ বৎসর বাস্তবিক জন্মের হার ৩৮৩ এবং বাস্তবিক মৃত্যুর হার ৪৪৮ বলিয়া ধরা যাইতে পারে। ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে, যে, বিস্তর জন্ম ও মৃত্যুর সংবাদ সরকারী আফিসে দেওয়া হয় নাই, রাখা হয় নাই, বা লেখা হয় নাই ; কিন্তু তাহা সত্ত্বেও মোটের উপর ভ্রমপূর্ণ অসংশোধিত অঙ্কগুলি হইতেও এই সত্য সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, যে, উল্লিখিত বৎসরে জন্ম অপেক্ষ মৃত্যু হাজারকরা দুটি বেশী হইয়াছিল । কিন্তু ইহাতে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত নহে । জন্মমৃত্যুর ঠিক সংখ্যা জানা খুব দরকার। ইহার উপর বাস্তবিক আমাদের জাতির জীবনমরণের সমস্যার সমাধান কতকটা নির্ভর করিতেছে। ঠিকৃ সংখ্যাগুলি না জানিলে আমরা কেমন করিয়! বুঝিব, যে, আমর, মুস্থ সবল সঙ্গতিপন্ন চরিত্রবান জ্ঞানবান জাতির যেমন বাড়া উচিত, সেরূপ বাড়িতেছি কি না ? যদি না বাড়িতেছি, বরং সংখ্যায় কমিতেছি, তাহা হইলে হ্রাসের পরিমাণ দেখিয়া আমরা অধিকতর সাবধান হইয়া চরিত্রে জ্ঞানে আর্থিক সচ্ছলতায় শক্তিতে ও স্বাস্থ্যে জাতীয় উন্নতি সাধনে তৎপর হইতে পারি। জন্মমৃত্যুর ঠিক সংবাদ ও সংখ্যা দেওয়া ও লেখা সম্বন্ধে এদেশে যে ঔদাসীন্ত, অসাবধানত ও অবহেল লক্ষিত হয়, তৎসম্বন্ধে স্বাস্থ্য-ডিরেক্টর ১৯২১ সালের রিপোটে লিখিয়াছেন – “An improvement in the registration of vital occurrences is needed even more urgently in towns, where the Registration of Birth and Deaths Act is now largely a dead letter, and the recording of both births and deaths appears to he getting progressively worse instead of better.” তিনি অন্যত্র লিখিতেছেন :-- “The condition of hirth registration in towns is