পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇసిరి BBBSBB BBB SBB BSBB KD 00K BBBBBB একখানা পাথরও খসাতে পারলে না। কত দূরদাজ কত যন্ত্রপাযাণ প্রয়োগ করলে, কত তীরন্দাজ তীর বৃষ্টি করলে। সব ব্যর্থ হ'ল। কিন্তু তাই বলে মগধ-পল্টনের ঘাটি ওঠাবার লক্ষণ ও দেখ। গেল ন । এদিকে দুর্গের ভিতরে দুর্ভিক্ষ উকি দিতে স্বরু করেছে, সঞ্চিত খাদ্যের অবশিষ্ট আছে অতি অল্পই । দুর্গের ভিতরকার তালের-গুড়িবিছানো গোট|-কয়েক রথ্যার তাল-গাছের তৈরী পাজব খুলে ফেলে’ সেখানে ধানের চাষ দে ওয়া হয়েছিল, জলের অল্পতার তা শুকিয়ে গেছে । নগরের মেয়েরা স্বেচ্ছায় একাহাবক্রত গ্রহণ করলে ; তার পর বুদ্ধের ; তার পর সকলেই ঐ ব্ৰতে ব্ৰতী হ'ল । দেশাত্মবোধ যাদের জেগেছে তাদের এই ধারা । দেশের কল্যাণে এই সবাই-রাজার-দেশের প্রত্যেক লোকই স্বেচ্ছায় কণ্ঠ বরণ করে নিলে, তবু দুর্গের দরজা খুলতে রাজা হ’ল না। মগধের চর তীরের মুখে চিঠি পাঠিয়ে অনেক প্রলোভন দেখিয়েও ও-কাজে কাউকে সম্মত করতে পারলে না । কারণ বৈশালী সলাই-রাজার-দেশ, এখানে সবাই মাথা উচু করে চলে, বলবfব কথা স্পষ্ট বলে, করবার কাজ সহজেই করতে জানে। সবাই জানে এ-দেশ আমার । এর অভু্যদয়ে আমার উন্নতি, এর আদর্শে আমার উল্লাস, এর গৌরবে আমার নিজেরই গৌরব । সে গৌরবের চেয়ে বড় কিছু লোভের সামগ্ৰী মানুষে যে মাতুষকে দিতে পারে সে কথা এর বিশ্বাস করে না। তাই মগধের পক্ষ থেকে প্রলোভনের চেষ্টা একেবারেই নিফল হয়ে গেল । যুদ্ধের সময় এরা সবাই মিলে যুদ্ধ করে, লুটের ধন সবাই মিলে ভাগ করে নেয়। শান্ত্রির দিনে সবাই মিলে চাষ করে, সবাই মিলে তাত বোনে, আবার সবাই মিলে পঞ্চায়তের সন্তাগারে বসে প্রয়োজন-মত বিধি-ব্যবস্থার প্ৰবৰ্ত্তন-পরিবর্তনও করে । এদের রাজা নেই ; তাই বলে’ অরাজক বলতে যে বিশৃঙ্খলা বোঝায় বৈশালীর সৰ্বরাজক-তন্ত্রের শাসনে তার নাম-গন্ধও নেই। নগরজ্যেষ্ঠকে এরা রাজার ম ন মানে। সকলের সম্মতিতে ইনি নিৰ্ব্বাচিত হন । তাই এর আর-এক নাম প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩০ SAMA AAA AAAA AAAA Mee AA AAM SMSMS MM MAAA AAAA AAAA AAAA AAAeMA MAAA SAAAAA AAAA MAeMA MMM MAe MAMMeeAMAAAA [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAAMA AMASAMAM SMMSMSMS মঙ্গসম্মত । মহাসম্মতের এক্লার ইচ্ছায় কোনে কাজ হয় না। কারণ এ সবাই-রাজার-দেশ, সকলেরই মতামত জানতে হয়, মানতে হয় ৷ মতভেদ হ’লে এর নাম-গুটিকার সাহায্যে সংবহুল করে, অর্থাৎ সম্যক্ রূপে বহুলোকের মত যে পক্ষে, সেই পক্ষের মতই গ্রহণ করে । যে পক্ষ হেরে যায়, সংবহুল করার রীতিকে মান্ত করে বলে’, তারাও অধিকাংশের মতকেই শিরোপাৰ্য্য করে’ নেয়। তাই দলাদলি বড় একটা ঘটে না, বেষারিষির বড় একট। অবকাশ নেই। তাই এরা দুজ্জয়, ঐক্যের বলে দুৰ্জ্জয়, অবস্থার সাম্যে দুর্জয়, ব্যবস্থার গুণে দুৰ্দ্ধৰ্ম । শাক্য বুদ্ধ এদের শ্রদ্ধার চক্ষে দেখ তেন, অজাতশত্র এদের জয় করেছিলেন মাত্র, বশ করতে পারেন নি । র্তার পর থেকে মগধের সিংহাসনে যিনিই বসেছেন, এই সবাই-রাজার-দেশের স্বদেশনিষ্ঠ স্বাধীন-চেত| মান্তষগুলিকে বাগ মানাতে তাদের সকলকেই বেগ পেতে হয়েছে। অজাতশত্রুর সময়ে ও যেমন, দশসিদ্ধিক নন্দের সময়েও তেমনি । এরা পাহাড়ীদের মগধের বিরুদ্ধে টুইয়ে দেয়, বনচরদের ক্ষেপিয়ে তোলে। দু’দুটো শতাব্দী কেটে গেছে । বৈশালীর মতি-গতির তবু পরিবর্তন হয় নি। এদের সৈন্যবল অল্প, কিন্তু মনের তেজ অপ্রমেয় । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বজ্রক-দুর্গে বজক-দুর্গের দক্ষিণ প্রাকারে যাম্য-তোরণের উপরকার প্রহরা-ছত্রীর ছত্রাকার গম্বুজের সামনে গভীর রাত্রে ভিড় জমে’ গেছে । দণ্ড-দীপ হাতে দুৰ্গরক্ষীর দল শিরস্থাণের লোহার ঘোমটা খুলে ফেলে একটা মূৰ্ছিত লোককে একটু কাছে থেকে ভালো করে দেখবার লোভে ঠেলাঠেলি করছে। লোকটা নাকি অন্ধকারে দেওয়াল বেয়ে' দুর্গে ঢুক্ছিল । প্রহরীদের প্রহারে সম্প্রতি সংজ্ঞাহীন । বন্দীকে হাত পা বেঁধে দুর্গ-পরিখার পোষা কুমীরের দঙ্গলে ফেলে’ দেওয়া হবে, কি প্রভাতে দগু-নায়কের দরজায় হাজির করা হবে, এই নিয়ে প্রহরা-কুটের প্রহরী এবং ইন্দ্রকোষের তিন জন তীরন্দাজে যখন তুমুল তর্ক