পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] : আশ্চৰ্য্য হইয়া যান, বে, এর value নিরূপণ করিতে র্তাহাদের এত মাথা ঘামাইতে হইয়াছে, তাহদের বহুপূৰ্ব্বে র্তাহীদের অপেক্ষাও ঠিক ঠিক ভাবে প্রাচীন ভারত সে জিনিষটি আবিষ্কার করিয়া ফেলিয়াছে । কিন্তু কি প্রণালীতে ( process ) যে এই অঙ্কটির সমiপান কর। হইয়াছে তাহ। যিনি সুমাধান করিয়াছেন তিনি কিছুষ্ট বলিয়া যান নাই । সৰ্ব্বত্রই এক্ট-রকম, খনার বচন হইতে গণিত জ্যোতিষ আয়ুৰ্ব্বেদ সকল স্থানেই আমরা দেখিতে পাই, রবীন্দ্রনাথের কথায়, উক্তির প্রদুভাব, যুক্তিটা প্রায়ই উহা বা লুপ্ত। উক্তিট। যতই সত্য হউক না কেন, যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয় বলিয়। তাঙ্গাকে আমর। কেবল মানিয়াই লইতে পারি – প্রমাণের জন্য আমাদের ইউরোপেরষ্ট দ্বারস্থ হইতে হয়, ইউরোপের সায়ামসের আলোকে তাহার মর্য্যাদার পরিমাপ করিতে হয় । র্যাহারা মানিতে চাহেন না যে জুড়বিজ্ঞান বা আধিভৌতিক বিষয়ে ও ইউরোপের কাছে ভারতের কিছু শিথিবীর আছে, যাহার প্রমাণ সং গ্রহ করিতে ব্যস্ত যে অপরাবিদ্যাতেও, পার্থিব হুষ্টিতে ও ভারত ইউরোপেরই সমকক্ষ ছিল, তাহাদের মনোযোগ আমরা বিশেষরূপে এই কথাটির উপর আকমণ করিতে চাই । আমরা ও স্বীকার করি না যে ভারত কেবল অপার্থিব আত্মার মধ্যে ডুবিয়াছিল ; ভারতের প্রতিভ থেলিয়াছে শুধু পরমর্থ তত্ব লইয়া, জীবনের সামগ্ৰী সম্বন্ধে তাহার কোন জিজ্ঞাসাষ্ট ছিল না বা এ-বিষয়ে সে কোন রুতিত্ব দেখাইতে পারে নাই । অপরাবিদ্যার, চৌষটি কলার, জড়বিজ্ঞানের অনেক রহস্যই সে আবিষ্কার করিয়াছে, শুধু আবিষ্কার করে নাই, জীবনের ভোগৈশ্বৰ্যো তাহাদিগকে ব্যবহার করিয়াছে, ফলাইয়াছে । কিন্তু কথাটা এষ্ট যে, কি কি বস্তু ইউরোপের তুলনায় আমাদের জানা ছিল বা না। ছিল, ইউরোপের চেয়ে কত বেশী সামগ্ৰী কত সুস্পষ্টতররূপে আমরা জীবনের কাজে লাগাইয়াছি ব! না লাগাইযাছি সেটা উভযের মনের পার্থক্য ত কথানি দেখায় না, যতখানি দে গায কি উপায়ে কি ধরণে আমরা সেই সেই বস্তু বা সামগ্ৰী পাইয়াছি, তাঙ্গদেব সম্বন্ধে গবেষণ। করিতেছি । ভারতের সমস্ত লক্ষ্য নিহিত ধেন ইউরোপের বনাম ভারতের জ্ঞানপন্থ ২৯৩ বস্তুর বা সামগ্রীব উপর ; ইউরোপ নজর দিয়াছে তাহার ধরণ-ধারণটির উপর, তাহার হেতুবান, তাহার সায়ানস্ ব। মেকানিজমের উপর। ভারতবর্ষ বস্তুকে সামগ্রীকে পাইয়াছে মনে হয় যেন একটা নৈসর্গিক প্রতিভার বলে— instinct সহজ সংস্কার ও বলিতে পার, হুম্মদৃষ্টিও বলিতে পার ; যাদুবিদাও বলিতে পার ; অথবা ঘটনাচক্রে, একট। আকস্মিক অতর্কিত মিলের ফলে ; কিম্বা যদি সেখানে কোন তর্কবুদ্ধির, যুক্তির, পরীক্ষার প্রশাসু কিছু থাকিয় থাকে তবে আবিষ্কারকরা সে কথা একেবারে বাদ দিয়া দিয়াছেন ; সিদ্ধাস্তটি আমর পাইয়াছি কিন্তু হেতুর অঙ্গগুলি আমাদের আবার নতন করিয়া তৈয়ার করিয়া লইতে হয । এ ঘেম বা মধ্যপদলোপী কৰ্ম্মধারয় । দেশীয় ভেষজবিদ্যায় আমরা জানি মাত্র এই ঔষধে এই দ’ল, কিন্তু কেমন করিয়া, তাহার ভিতরের প্রক্রিয়াটি, তাহার কেমিষ্ট্রি কি, তাহা আমাদের জানা নাই । রোগের নিদান কি সে সম্বন্ধে আমরা বায়ু পিত্ত কফ এই তিনটি মূলবস্তু লষ্টয়াই সস্তষ্ট । ইউরোপ কিন্তু এই ক্ষেত্রে রোগের . বীজাণু পরমাণু আবিষ্কার করিতে করিতে ব্যাকূটেরিওলজি নামে একটা পৃথক্ বিজ্ঞানই তৈয়ার করিয়া ফেলিবার উপক্রম করিয়াছে । তাই ত অনেক বৈজ্ঞানিক বলিতে কুষ্ঠিত হন না যে আমাদের বিজ্ঞান হইতেছে empirical, Intuition ইউরোপেল বিজ্ঞানই কেবল scientific অর্থাৎ প্রতিক্ষেত্রে ফল না দেখিয়াও ইউরোপ বলিয়া দিতে পারে ফল এই হইবে, আমাদের কিন্তু “ফলেন পরিচয়তে" ছাড়া গত্যন্তর নাই । ইউরোপের জিজ্ঞাসাবৃত্তি কাৰ্য্যকে লষ্টয়া সস্তুষ্ট থাকিতে পাবে নাই, এমন কি কার্য্যের পিছনে কারণে পৌছিয়াই সে থামিয়া যায় নাই, সে তন্ন তন্ন করিয়া দেগিতেছে কারণ ও কার্য্যের সংযোগ-সেতুটা । নেপূঢ়ন গ্রহকে দূরবীক্ষণ-যন্ত্রে না দেখিয় তাহার অস্তিত্বের কথা আগে হইতেই যে অন্তমিত হইয়াছিল অথবা পরমাণুদের সংমিশ্রণেব নিয়ম ( Periodic law ) হইতে যে নূতন নূতন মূলপদার্থেব (element) অস্তিত্ব ও প্রকৃতি সম্বন্ধে অব্যর্থ ভবিষ্যৎবাণী সম্ভব হইয়াছে, ইউরোপের পক্ষে ঠিক পূপো ঝু কারণের জন্যই ভাই। খুব আশ্চর্যোর নহে।