পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ੇ, যে-সকল সিদ্ধ অনুভূতি পাষ্টয়াছিলেন তাহাদের আমরা তালিকা-সংগ্ৰহ বলিতে পারি। অবশ্য উপলব্ধিগুলি, অনুভূতিগুলি তাহারা স্বচারুরূপে সাজাইয়৷ গুছাইয়াই বলিয়াছেন, তালিকাটি এলোমেলো লিষ্টি নয়, তলাইয়া দেখিলে সেখানে একটা লজিকেরই শৃঙ্খলা পাওয়া যায়; তবুও সেসব হইতেছে গোটা বস্তুর কথা, বস্তুর গড়নের কথা, বস্থর ভিতরকার কল-কব্জার কথা নয়, বস্তুর ভিতরকার শক্তি-সকলের ঘাত-প্রতিঘাতের ধারার কথা নয়। যেখানে পাই ফ্লেয়ের তত্ত্ব, জ্ঞানের তন্ত্র সেখানে যথেষ্ট মিলে না। সেখানে প্রশ্ন, কি বিজিজ্ঞাসিতব্য ; বিজ্ঞান কি রকমে, প্রশ্ন তাহা নয় । তুরীয় অবস্থা কাহাকে বলি অর্থাং তাহার উপাদান কি কি, ব্রহ্মঞ্জের লক্ষণ কি কি, তাহ জানিলেই যেন আমাদের জিজ্ঞাসাবৃত্তির নিবৃত্তি হয়। আমাদের জানিতে তেমন কৌতুহল হয় না, সাধারণ অবস্থার আর তুরীয় অবস্থার মাঝের সেতুটা কি, সাধারণ অবস্থাটা কি রকমে পরিবর্তিত রূপান্তরিত হইতে হইতে তুরীয় অবস্থায় গিয়া পৌছিয়াছে, তুরীয় অবস্থার যে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম তাহা শক্তির কি রকম খেলায় নিয়ন্ত্রিত পরিচালিত হইতেছে ; ব্ৰহ্মঞ্জের হালচাল কি ? সেটা হইতেছে বাহিরের কথা ; ভিতরের কথা হইতেছে ব্ৰহ্মজ্ঞানের ধারাটা, তাহার dialectic কি রকমের- এটি আমাদের শাস্ত্রের প্রধান কথা নয। ইউরোপের পরিভাষায় আমরা বলিতে পারি আমাদের দর্শন মূলতঃ আর ইউরোপীয় দর্শনের প্রধান কথা epistemological. - - - - --.یہ۔--عے --سے م۔ --سے ontological, আমাদের এই সিদ্ধাস্তে অনেকে হয়ত ইতস্ততঃ করিবেন–র্তাহারা বলিবেন, উপনিষদ সম্বন্ধে উহ। খাটিলেও খাটিতে পারে, কারণ উপনিষদের উদ্দেশ্যই ছিল ঐরকম, কিন্তু উপনিষদের পরে দার্শনিক যুগের ষড়দর্শন ও সে-সকলের বিপুল টীকা ও ভাষ্যাদি সম্মুখে রাখিয়া কে ও-কথা জোর করিয়া বলিতে পারে ? থিওরী হিসাবে সাংখ্যে যে মানবমনের যন্ত্রপাতির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ আছে, প্রয়োগ হিসাবে যোগে যে অন্তঃকরণে রূপান্তরের ধারার রহস্য পাই—সে-সব কি জিনিষের mechanismএর কথা নয়, ইউরোপের সায়ান্স, সে-সকলের মধ্যে জিজ্ঞাসার ইউরোপের বনাম ভারতের জ্ঞানপস্থা ఇపె(t SASAA SAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAASAAAA AAAASAAAA ফাক আর কি কিছু পাইতে পারে ? উত্তরে আমরা বলিতে চাই, ভারত যেখানে জিনিষের—mechanism— কলকব্জার কথা বলিয়াছে, সেখানে কলকজার অংশগুলি খুলিয়া খুলিয়া দেখাইয়াছে কেবল—এই এতগুলি চাকা, এতগুলি স্কু, এতগুলি বোল্ট, এতগুলি স্প্রিং ; কিন্তু অংশগুলি পরস্পর পরস্পরের সহিত কি নিয়মে সংযুক্ত, কোন কাৰ্য্য-পরম্পরার ফলে মোট জিনিষটার ধৰ্ম্ম fossoss of AC&E, Co law of causality; ool সেখানে তেমন পাই না—সেখানে পাই laws of being ; fog laws of becoming wro-go of fafan আমাদের প্রত্যেক দর্শনশাস্ত্রেই বস্তুর চুল-চের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের হদিস আছে--ত সে অন্তর্জগতের বস্তু হউক আর বহিজগতের বস্থ হউক ; কিন্তু সে-সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বস্থনির্দেশ মাত্র, প্রত্যেককে চিনিবার একটা সংজ্ঞা খাড়া করিয়াই যেন আমরা খালাস । কিন্তু তাহাদের ক্রমপরিণতির ধারা, তাহাদের অন্তঃস্থিত শক্তিরাজির লীলাগতি আমাদের জিজ্ঞাসাকে তেমন প্রবুদ্ধ করিতে পারে নাই । যোগ-সাধনায় আমাদের মনে শক্তির একটা সূক্ষ্ম লীলার রহস্য ফুটিয়া উঠিয়াছিল, সত্য কথা । কিন্তু এখানে ও লক্ষ্য ছিল শক্তির ফলের দিকে, সিদ্ধির দিকে ; রূপান্তরের কার্য্যটার উপরই বিশেষ জোর আমরা দিয়াছি, রূপান্তরের কারণটার অন্ধি-সন্ধি তলাইয়া দেখিবার প্রয়োজন আমরা বোধ করি নাই। আমাদের বলা হইল—-চিত্ত স্থির হইলে সেখানে ফুটিয়া উঠে আত্মার স্বরূপ । চিত্ত কি রকম বস্তু তাহারও ব্যাখ্যা দেওয়া হইল ; আত্মা কি ধরণের জিনিষ তাহাও যতদূর সম্ভব বুঝাইয়া দেওয়া হইল ; কি উপায়ে চিত্ত স্থির করিতে হইবে, তাহার পর্য্যন্ত আটঘাট ( অষ্টাঙ্গমার্গ ) বাধিয়া দেওয়া হইল। এই পন্থা অমুসরণ করিয়া ব্যবস্থামত ফলও আমরা লাভ করিলাম। কিন্তু এই প্রকাও ব্যাপারটির রহস্য কি, কেমন করিয়া যে ইহা ঘটিল, সে সম্বন্ধে আমরা পূৰ্ব্ববং অজ্ঞই রহিলাম। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন, এই দুইটি পৃথক বস্তুকে একটি র্কাচের পাত্রে একত্র করিলাম আর তাহার ভিতর দিয়া একটা

  • -- - - - - - - - -