পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిసెఅ বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালাইয়। দিলাম - ফলে পাইলাম জল ; কিন্তু এ ঘটনার কেমিষ্ট্রিট কি সে দিকে নজর দিলাম না । শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ-মত আমরা আমবাগানে ঢুকিয়া আম খাইয়াই সস্তুষ্ট, কিন্তু সেখানে কয়ট কতরকমের কি রকমের আম-গাছ আছে সেটা জান। আমরা নেহাং অবাস্তর জিনিষ বলিয়া মনে করি । যোগে অষ্টসিদ্ধি বা ঐশ্বয্যের কথা আছে। দূরপ্রবণ, দূর-দর্শন, শরীরকে ইচ্ছামত হাল্কা বা ভারী কর প্রভৃতি নানারকম অদ্ভুত শক্তি যোগসাধনায় হয়, - অন্ততঃ এইরকম বলা হইয়াছে । অনেক যোগী এ-রকম সম্পদ যে লাভ করিয়াছেন তাঙ্গার ও প্রমাণ যে সব সময়ে উড়াইয়। দিবার উপযুক্ত এমনও বলা চলে না। কিন্তু কেন এ-রকম হয়, যোগসাধনায় শরীরের কি কি পরিবর্তন কি রকমে ঘটিতে বাধ্য, আর এই-সব পরিবর্তনের ফলে কি রকমে পূৰ্ব্বোক্ত অসাধারণ অভ্যস্থত শক্তি অব্যর্থভাবে ফুটিয়৷ উঠে-এ-সকল কথার সদুত্তর আমাদের যোগী-ঋষিরা যে দিতে পারিবেন তাহা মনে হয় না । তাহারা হয়ত শুধু বলিবেন—স্বৰ্য্য উঠিলেই আলো হয়, ইহার আবার ব্যখ্যা কি, ইহা ত অবিসম্বাদী স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। কিন্তু এই স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপারেরও যে কি রকমে ব্যাখ্যা হইতে পারে তাহার নিদর্শন ইউরোপ দিতেছে। কাণ্ডের" বৈজ্ঞানিক ভিত্তি লইয়া ইউরোপে আজকাল যে তুমুল আন্দোলন চলিতেছে, তাহার সংবাদ অনেকেই জানেন নিশ্চয় ; আর এই রকমে, তাহারা যে কত অদৃষ্টপূৰ্ব্ব তথ্যের আবিষ্কার করিতেছেন তাহ দেখিয়া শুনিয় স্তব্ধ হইয়াই যাইতে হয় । অথবা ধরুন মন্ত্রশক্তির কথা । মস্ত্রের যে একটা শক্তি আছে, শব্দের যথাযথ সংযোজনের ধ্বনির যথাযথ উচ্চারণের যে একটা স্থজনের রূপ-গড়নের সামর্থ্য আছে সে তথা আমাদের প্রাচীনেরা পাইয়াছিলেন, এ তথ্যটি সম্বন্ধে অনেক ব্যাখ্য। বিশ্লেষণ র্তাহারা করিয়াছেন, ইহার প্রয়োগ অনেক দেখাইয়াছেন, কিন্তু উহাকে স্বতঃসিদ্ধ সত্যভাবে ধরিয়া ; গোড়ায় ওটিকে যেন মানিয়া লইয়। তবে উহার ডালপালা সম্বন্ধে গবেষণ। করিয়াছেন। এ তথ্যটি যে সত্য, ইহার গোপন রহস্য যে একটা অব্যর্থ “ভূতু( फु প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩০ ۔ ۔ ۔ اے مہ-می. --مے۔ -۔-. [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড S S S S S S S S S S S S S S S S AAAAA AAAA AAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAAA কার্য্য-কারণ-পরম্পরায় বাধা তাহার প্রমাণটি আমরা আজকাল পাইতেছি ইউরোপের ধ্বনি-বিজ্ঞান (Accoustics) হইতে ; ইহার সমস্ত ব্যঞ্জনা উন্মুক্ত করিয়া ধরিয়া ইউরোপই ভারতের এই উপলব্ধির মূল্য ও মর্য্যাদা বাড়াইয়া দিতেছে । ইউরোপ জিনিষের ফিজিওলজি খুজিতেছে বলিয়া জিনিষের এনাটমি সম্বন্ধে গবেষণা আর তাহার শেষ হইতেছে না ; তাই সে ফিজিক্সের তথ্য খুঁড়িতে খুঁড়িতে কেমিষ্টির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপারের মধ্যে ভলাইয়। যাইতেছে । জিনিষের মূল পদার্থের জন্য আমরা পঞ্চভুত লইযষ্টি সন্তুষ্ট ; ইউরোপের ও আগে ছিল পঞ্চ নয় চারিটি ভূত মাত্র । কিন্তু এই চারিভূত ভাঙ্গিয় তাহারা বাহির করিল বাহাত্তরটি মৌলিক পদার্থ ( chemical elements ) ; সম্প্রতি আবার এই মৌলিক পদার্থের পরমাণুকে ৪ ( atom ) ভাঙ্গিয়া সে বাহির করিয়াছে ইলেক্ট্রন । আমরা হয়ত এই পৰ্য্যন্তই আসিয়া থামিয় যাইতাম, বলিতাম ইহাই যথেষ্ট ; ইউরোপে কিন্তু থামার চিক্স ও দেখি না, সে আরও চলিয়াছে । ইলেক্ট্রনগুলির ওজন কত, তাহারা কি রকমে সজ্জিত, তাহদের গতিবেগ কত-তাহীদের পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধের যে অঙ্কশাস্ত্র তাহাই ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণার আধুনিকতম সমস্যা । জগতের জিনিযের কলকজার রহস্য বুঝিতে ইউরোপ যে আরও কোথায় কতদূর চলিবে তাহার ঠিক ঠিকান কি ? ইউরোপের সায়ান্স, বলিতে আসলে বুঝায় মনের বুদ্ধির এই ধরণটা, ঘাঙ্গর বশে সে চলে জিনিষের শৃঙ্খলাসূত্রের ধারাবাহিক আকবfক অনুসরণ করিয়া । ইউরোপের সায়ান্সের বিশেষত্ব জড়ের জ্ঞান নয়, নূতন নূতন পদার্থের আবিষ্কার নয়-ইউরোপের সায়ান্সের বিশেষত্ব হইতেছে scientific method-?zwifax zeirit এই প্রণালীর দুইটি মোট কথা— প্রথম এই যে, facts বা বস্তু সংগ্ৰহ করিতে হইবে যতদূর যতরকমের পারা যায়—আর দ্বিতীয় এই যে, বস্তুতে বস্তুতে নিবিড় সম্বন্ধের সূত্রটা খুলিয়া ধরিতে হইবে । কিন্তু এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে সায়ান্সের ঝোক বিশেষভাবে হইতেছে শেষোক্তটির উপর। ইউরোপ বস্তু যোগাড় করিতেছে, ঐ সম্বন্ধের