পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA ASAS A SAS SSAS SSAS একজন লজ্জা ও ধরা পড়িবার আনন্দ ও অপরে বিস্ময় প্রশংসা ও কৃতার্থতার ভাব চক্ষে ভরিয়া লইয়া ছবিখানির প্রতি চাহিল । ছবিখানি যমুনার । আলোকোদ্ভাসিত কক্ষের মুক্ত ৰাতায়ন-পথে দয়িতের দিকে মুখ ফিরাইয়া সে দাড়াইয়া । তাহার.সদ্যসমাপ্ত সঙ্গীত এখনও যেন কণ্ঠে ওষ্ঠে লাগিয়া রহিয়াছে। মধুর কণ্ঠের সঙ্গীতের তরঙ্গ এই মাত্ৰ যেন শাস্ত হইয়াছে, যাহার কম্পন ঈষদবিভিন্ন সূক্ষ্ম ওষ্ঠ ধরে এখনও যেন লাগিয়া রহিয়াছে। চক্ষু দুটিতে ফুটিয়৷ উঠিয়াছে অবিচল স্ববিশুদ্ধ প্রেম, যাঙ্গ অমৃত হইতে ও মরণজয়ী, চন্দ্রকিরণের চেয়েও স্নিগ্ধ, প্রণয়ের ব্যক্ত বাণীর চেয়েও মধুর । আঁখি দুটি যেন বলিতেছে তুমি যেখানে যাইবে যাও । আমি চিরকাল অন্তরে প্রেমের দীপ জালাইয়া তোমারই প্রতীক্ষায় জাগিয়া রহিব । নীচে অতুপমের হাতে লেখা— _ বঁধু কি আর বলিব আমি ! জনমে জনমে জীবনে মরণে প্রাণনাথ হোয়ো তুমি ! তেমন ছবি প্রকত প্রেম লাভ ন করিলে কেছ আঁকিতে পারে না । যমুন মুগ্ধনেরে বিহবল-হৃদযে আপনার ছবিব পানে সামাজিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা SAA AMA AMAeAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAMSAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAMAMA MAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAA S AAAAA AAAA AAM M MAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS

  • ○○○

চাহিয়া রহিল। তাহার চক্ষেয় সম্মুখে ফুটিয়া উঠিল— দুর দূরান্তরে তাহার দয়িত তাহারই চোখের একটা ইঙ্গিতে একটি কথার ভরসায় দিনের পর দিন রাত্রির পর রাত্রি তাহার বিনিদ্র চক্ষু লইয়া অক্লান্ত তুলি দিয়া কত না যত্নে কত না প্রাণ দিয়া—বুঝি বা হৃদয়ের রক্ত দিয়া— ছবিখানি সম্পূর্ণ করিয়াছে। আজ তাহার অন্তরনিহিত প্রণয় তাহাকে আর.স্থির থাকিতে দিল না । কি স্বরুতি তাহার ছিল যে এই অপার্থিব সম্পদ, এই দুলভ সৌভাগ্য ভগবান তাহার জন্য সঙ্গোপনে রাখিয়াছিলেন । দুজনেই দাড়াইয়। ছবিখানির প্রতি চাহিয়াছিল। কম্পিত দুটি সুন্দর বাহু দিয়া যমুনা অনুপমের কণ্ঠলিঙ্গন করিয়া তাহার বক্ষের উপর মাথা রাখিয়া অশ্রদ্ধারে বক্ষস্থল সিক্ত করিয়া দিয়া বলিতে চাহিয়াছিল—“আমি তোমার যোগ্য নই।” অনুপম যমুনার অশ্রশ্লাবিত মুখখানি তুলিয়া ধরিয়া অতি ধীরে অতি সাবধানে পাছে আঘাত লাগে যেন এই ভয়ে তাহার পুষ্পপুটতুল্য ওষ্ঠছটি একবার চুম্বন করিল। জীবনে এই প্রথম দুজন দুজনকে স্পর্শ করিল। তখন বিপুল বিশ্ব তাঙ্গদের মাঝে তারাইয়া গিয়াছিল। শ্ৰী মাণিক ভট্টাচাৰ্য্য সামাজিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মানুষ যখন স্বষ্টির কোনো একটা অংশকে বিশেষ করে চিনবার জন্তে, জানবার জন্তে, তার চিন্তাশক্তিকে নিযুক্ত করে, তখন তার উদ্দেশ্য হয় শুধু জ্ঞানের জন্যে জ্ঞানলাভ, নয় কোন কাৰ্য্য সনাপ্র= উদ্দেশ্যে জ্ঞানলাভ । স্বষ্টি বলতে শুধু একটা বস্তুসমষ্টি বুঝায় না ; প্রাণহীন ও প্রাণবান বস্তুসমুদ্ৰায়ের পরস্পরের সহিত সম্বন্ধ ও ব্যবহারও তার অন্তর্গত। দার্শনিক যখন, স্বষ্টি কোথা হ’তে এল, কোথায় যাচ্ছে ও কেন যাচ্ছে, এই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন তার উদ্দেশ্য কোন কাৰ্য্যসিদ্ধি নয় । আবার, মানুষের শরীর কেটে কুটে যখন কেউ শরীর বিজ্ঞান চর্চ করেন, তখন র্তার উদ্দেশ্য একটা কাৰ্য্যসিদ্ধি, অর্থাং রোগ-চিকিৎসা সহজ করে আন । অনেক স্থলে অবশ্ব শুধু জ্ঞানলাভ-চেষ্টার ফলে যা পাওয়া যায়, তাও মানুষের প্রয়োজনসিদ্ধি করতে পারে । কাজেই সৰ্ব্বত্র দুয়ের মধ্যে খুব একটা নির্দিষ্ট সীমা টেনে দিয়ে বলা যায় না, যে, এইটির কোনো প্রয়োজনসিদ্ধি করার ক্ষমতা নেই ও এইটির আছে। তার্কিক বলবেন, যে, শুধু জ্ঞানলাভে যে আনন্দ, সেটিও আনন্দ, আবার মূল্যবান কাপড় পরে যে আনন্দ, সেটিও আনন্দ ; তবে মূল্যবান কাপড় তৈরী করার জন্তে