পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭e মাজ্জিত রাখবার ইচ্ছায় স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পরিচ্ছদ, বিদ্যশিক্ষা, খেলাধুলা ও ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর বাসস্থান প্রভৃতির জন্য যদি কোন গৃহস্থ তার উপার্জিত অর্থ ব্যয় করেন, তা হ'লে তার পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য হবে এক প্রকার ; আর কদর্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানে ও অশিক্ষিত অবস্থায় পরিবারকে রেখে যে ব্যক্তি জুয়া খেলা ও মন্তপানকে ব্যয়ের কেন্দ্র করে, তার পরিবারের স্বাচ্ছদ্য হবে আর-এক প্রকার । দ্বিতীয় পরিবারের আয় প্রথম পরিবার অপেক্ষ কিছু অধিক হ’লেও দ্বিতীয় পরিবারের স্বাচ্ছদ্য পূর্বের মতই হবে। এই কথাটি সরকারী ব্যয় সম্বন্ধে বেশী রকম থাটে । সরকারী ব্যয় কোন ভাবে হয়, তার উপর একটা জাতের স্বাচ্ছন্দ্য বহুল পরিমাণে নির্ভর করে । যদি কোন জাতের আয়ের অধিকাংশ অপব্যয়িত হয়, ত। হ’লে সে জাতের স্বাচ্চন্দ্য বিশেষ রকম কমে আসবে। সরকারী অপব্যয় কাকে বলে তা নির্দেশ করতে হ’লে অল্প কথায় এই বলা যায় যে, যে, ব্যয়টি অন্য ভাবে হ'লে অধিক পরিমাণ সামাজিক স্বাচ্চন্দ্য লাভ হ’ত, তাই অপব্যয় । যথা, অপর জাতীয় কোন ব্যক্তি অল্পকাল বাস করবেন, এই জন্য যদি কোন দেশের খরচে একটি বিশাল আটালিকা নিৰ্ম্মিত হয় এবং যদি সেই দেশের সহস্ৰ সহস্ৰ লোক পশুশাল অপেক্ষ নিকষ্ট বাসস্থানে বাস করে, তা হ'লে সামাজিক অথব| জাতীয় দিক থেকে অট্টালিক নিৰ্ম্মাণ-রূপ ব্যয়টি একটি মারাত্মক রকম অপব্যয় । স্থপুষ্ট ব্যক্তিকে অসাধারণ রকম সুপুষ্ট করবার জন্ত যে ব্যয়, তা ক্লশকায় ব্যক্তিকে সাধারণ রকম পুষ্ট করবার জন্য যে ব্যয়, তার তুলনায় অপব্যয় । কেউ যেন ন! ভাবেন, যে, পরিমেয় স্বাচ্ছল্য (economic welfare) & stoid abèl ozo stafioso *tois (non-coonomic welfare ) “so Roshoot coià italifso attooij (total social w elfare) știi” যাবে, এই প্রমাণ করার উদ্বেপ্তেই এতখানি লেখা হয়েছে। প্রথমত, কিছুদুর অবধি পরিমেয় স্বাচ্ছদ্য না থাকলে, স্বাচ্ছদ্য বলে মোটে কিছু থাকেই না । সূক্ষভাবে পারিবারিক ভালবাসার মৰ্ম্ম গ্রহণ করবার ক্ষমতা ও অবসর তখনই লোকের বিকাশ পায়, যখন পরিবারের প্রবালী-আষাঢ়, ১৩৩০ t২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড লোককে ভরণপোষণ করে রাখবার ক্ষমতা তার থাকে। দূরে কারখানায় চলে গেলে পারিবারিক সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বটে, কিন্তু ঘরে বসে যদি কেউ স্ত্রীকে বা সস্তানকে না খেয়ে, বা ঠাণ্ড লেগে, বা বিনা চিকিৎসায় মরে যেতে দেখে, তাতে যা স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব ঘটে, তার তুলনায় বিরহ প্রায় মধুময়। ঘরে বসে যদি কেউ সমান বা অধিক অশিক্ষিত থাকে, তা হ'লে তার পক্ষে শিক্ষার-বন্দোবস্তবিশিষ্ট সহরের কারখানায় যাওয়াই শ্রেয়। সেখানে বরং দেখে শেখৃবার অনেক কিছু আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করার ক্ষমতা অনাহারে বা রোগ-ভোগের ফলে দৃষ্টিশক্তির অভাব হলে থাকে না । খোলা হাওয়াও খালি পেটে ভাল লাগে না । তা ছাড় মানসিক উৎকর্ষ সাধনের কথ। তখনই উঠে, যপন শরীর তার জন্যে প্রস্তুত থাকে । যাকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গোল ঘণ্ট দৈহিক শ্রম করতে হয়, তার মানসিক উৎকৰ্ষ সাধন অসাধ্যসাধন । মানসিক উৎকর্ষ সনাপ্রলের প্রপ্রাভন সহক্স অবসনর s এক্ট কথা এরিস্টটুল্‌ আজ প্রায় দুই হাজারের বেশী বংসর আগে বলে গিয়েছেন । মনের উপর হাড়ভাঙা খাটনির যে কি ফল, তা আমরা চার দিকেষ্ট দেখতে পাই । দেহ ধারণের বাস্তব উপকরণ প্রয়োজন-অনুযায়ী না থাকলে অভাবগ্ৰস্ত মাহুষের উচ্চতর বৃত্তিগুলি ভেঁাতা হয়ে যায় । কাজেই যতক্ষণ মানুষ সেই প্রয়োজনীয় বস্তুসমষ্টি না পাচ্ছে,ততক্ষণ তার পক্ষে অন্ত চিন্তা করা নিৰ্ব্বদ্ধিতার লক্ষণ। পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াবার চেষ্টার পথে চলে’ যতক্ষণ সমাজের বা জাতির সকলে বা অধিকাংশ লোক জীবন-ধারণার্থে অবশুপ্রয়োজনীয় বস্তুসমষ্টি না পাচ্ছে, ততক্ষণ সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে একাভিমুখী হবে-- অর্থাং দ্বিতীয়টি বাড়লে বা কমূলে প্রথমটিও বাড়বে বা কম্বে । বৰ্ত্তমান সময়ে আমাদের দেশের যা অবস্থা, তাতে পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির চেষ্টার ফলে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে নিঃসন্দেহ । অব গু কল্পনাশক্তির সাহায্যে এমন অবস্থার স্বষ্টি করা যায়, যাতে পরিমেম্ব স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির চেষ্টায় শুধু কুফলই ফলবে। কিন্তু সত্য বলতে গেলে ്ഷ