পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ এবং ইহা হইতে কোন-কোন চীন চিত্রকরের কল-কৌশল, ভtহাদের অঙ্কিত তুৰ্দুগুচিত্রের ভাব টা বুঝা যায়। উহাদের চিত্রের গভীৰ পরিপ্রেক্ষিতগুল স্বাভাবিক রঙে চিত্রিত নহে – অস্ত রgে চিত্রিত । এবং তাছার ভিতর যে একটা আজগুবি রকমের পরিকল্পনা মাছে তাঙ্গ विषांमभग्न ७ डीलियम । " আজ প্রাতে, আমার ৩টা ব্যাঞ্জের মধ্যে একটা ব্যtং মরিয়া গিয়াছে —দেখিয়া বড় কষ্ট হইল। আমার নাবিক সিলভেষ্টার তার বেটন প্রদেশের উচ্চারণ সহ অস্ত্যেষ্টিকালে এই সংক্ষিপ্ত স্ততিবাদ করিল :এই “নোংরা জীবদের মধ্যে একট। ইহলীলা সম্বরণ করিল, কাপ্তেন " ; এই কথা বলিয়া মুত ভেকটাকে একটা চিমটা দিয়া উঠাইয় তাহার এপ্তিম নিবাস সাগরজলে নিঃক্ষেপ করিল। এই সময়ট আমাদের সকলেরক্ট বড খারাপ লাগিতেছে--অামাদের মধ্যে যেন একটা অবসাদের ভাব আসিয়াছে । ফ্রানস তইতে যেসব চিঠিপত্র আসে তাহ পড়িতে আমরা সকলেষ্ট উংযুক-কিন্তু আমর স্থানসে এপন জার নাই –উত্তর দিবে কে ? এটা আমব জানি, এবং পূৰ্ব্বেও এইরূপ কষ্ট আমরা অনুভব করিবাছি । তদূর পদার্থসমঙ্গের উপর আস্তে অস্তে একটা আবরণ পড়িয়। যাইতেছে : সৰ্য্য, একঘেয়ে জীবন, অবসাদ, ঔদাস্য-- এই সমস্ত আমাদিগকে বিনাশের অভিমুপে লইয়া যাইতেছে.. 8 আজ প্রাতে “সাওন" জাহাজপান খুব তাড়াতাড়ি এপানে আসিয়৷ পেীডিয়াছে। আমাদের অৰ্দ্ধেক সরঞ্জাম, লোকজন, কামান প্রভূতি এই জাহাজে উঠাইয় দিতে হইবে, এইরূপ সরকারের হুকুম আসিয়াছে। আরও যাহ। কিছু ভাল জিনিস আমরা দিতে পারি ঐ জাহাজ তাহাও লইবে । আরও এই কথা বলিয়৷ দেওয়া হইয়াছে — রাত্রেই এইসব লোকজন ও সরঞ্জাম এই নবাগত জাহাজে উঠাষ্টয় দিতে হইবে ; এবং আল্লামবাসীর এই যাত্রার কথা বিন্দুবিসর্গ যেন জানিতে ন পারে, আমাদের জাঙ্গজ Lu DD BBBS BBBB BK BB BBBB BB BS BBB S ডেক পরিস্কারের কাজ হইয় গেলে, উক্তার চলিয়া গেল :-অন্ধকার রাত্রে। গম্যস্থান অজ্ঞাত। তাড়াতাড়ি অস্ত্রশস্থে সজ্জিত হইয়া, লোচক। বুচ কি গুছইয়া লইয়া, পাদ্য-সামগ্ৰী সঙ্গে লইয়। যপন উহার গেল, তখন উহাদিগকে দেখিয় আমরা যার পর নাই ব্যথিত হইলাম । আমার উচ্চ-মাস্থলের বেচা নাবিকেরা, যাহারা আমার জন্ত ফুল তুলির জানিত তাহার, সবাই চলিয়া গিয়াছে। তাহদের মা-দের জন্ত, বাগদত্ত প্রণয়িনীদের জন্ত, তরুণী ভাযাদের জন্ত, আমাকে ছোটপাটাে কত-কি ফরমাইস করিয়া গিয়াছে। কেহ বা টাকাকড়ি, কেহ বা ঘড়ি, কেহ বা ছোটখাটাে মূল্যবান জিনিস আমার জিন্মায় রাপিয়া গিয়াছে, তাছার জানে ন তাহীদের ভগো কি আছে । তাহাঁদের সঙ্গে কেবল একজন নৌ-কৰ্ম্মচারী গিয়াছে : পাঠশালায় যখন পড়িতাম তখন হইতেই আমাদের দুজনের মধ্যে বেশ জানা শুন| झिल : वांभृद्रl झछप्न नशनम्न मशक्रप्ब्रव्र भङ ७कमtत्र १iकिडांभআমাদের পরম্পরের উপর পরস্পরের বেশ শ্রদ্ধ ছিল । যপন তাহার নিকট হইতেও ফরমাইস পাইলাম, বিদায়-চুম্বন পাইলাম, তখন বেশ বুঝিতে পারিলাম, আমাদের মধ্যে ভালবাসার কিরূপ পাকা ভিত্তি ছিল, আমরা পরম্পরের প্রতি কতটা আসক্ত ছিলাম । স্বীধার রাতের মাঝখানে, ডিঙ্গি করিয়া যখন উহার গেল, ডিঙ্গিগুল .ভয়পুর বোঝাই হইয়। খুব গাদাগাদি হইয় ছিল। একবার অন্ত্রশস্ত্রের ঝনৎকার, তাছার পরই নিম্নস্বরে বিদায়-সম্ভাষণ । কোন চীৎকারের শব্দ নাই, কোন জয়ধ্বনিও নাই ;-ইহা প্রকৃত বীরজনোচিত প্রশাস্তু যাত্র। তাহার পর বাতাসের শব্দ ও সমুদ্রের কল্লোল ছাড়া আর প্রবাসী – অষিাঢ়, ১৩৩০ AAAAAA SAAAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA S AAAAA SAAAAA MAAA AAAA SAAAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAASAASSAAAAAAS AAAAA SAAAAAAASAAAA { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিছুষ্ট নষ্ট । এবং যাঙ্কার এইমাত্র দূরে চলিয় গেল তাহার এই ঝোড়ে রাঠের ঘোর অন্ধকার মাথায় করিয়া গিয়াছে, উহার| সকলে কোথায় যাইতেছে ? উস্তাদের মধ্যে কে-কে ন জানি আর ফিরিয়া আসিবে ল ?... উদ্ধাদের প্রস্থানের পর, আমি দুই ঘণ্টাকাল সুমাইয়াছি ; জাহাজের একজন হালধী একটা মোমবতী জ্বালাইয়। অামার কামরায় প্রবেশ করিল এবং আমাকে বলিল,-সেই চিরন্থন বাক্য যাহা এত বৎসর ধরিয়া শুনিয়া আসিতেছি ! “বারোট (রাত ) বাজ তে অীর পেীয় ঘণ্ট৷ বাকি”। তথন আমি দেখিলাম, আমার সারি-বাধ বুদ্ধমূৰ্ত্তিগুল বাতির আলোয় উদভাসিত হইয়া উঠিয়াছে। জাগিবার পর হইতে, প্রবাসের ভাল টা, প্রান্তিক এসিয়ার কথা আমার মনকে দখল করিয়া বসিল । মন বিষাদে আচ্ছন্ন - হৃদয় বেদনীয় কাতর। আমার জাহাজ BBB BB BBBS LuGTSBB BBB BB BBBS BBS BB জঙ্গজের উপর অতিবাহিত করিতেছি । EBK BBBS BB BBB BSBB BBBSS BSBBB BB KK চষ্টয়া গিয়াছে ; এগন আর কিছুক্ত করিবার নাই । “কৰ্ম্মচারীদের ডাক দাও” ! - আমাকে উত্তর দিল এখানে কোন কৰ্ম্মচারীই আর নাই। ঠিক কথা, আমি ভুলিয়া গিয়াছিলাম। কোন প্রকার যোগাযোগ করিয়| কৰ্ম্মচারীর অভাব পুরণ করিলাম। তাহার BBB BB BBB BBBSBBB BBBBBDD BB SBBS BBBB নামক এক নবপ্রকাশিত গ্রন্থ হাতে লইলাম। ইস্তাম্বুলের কথা আছে বলিঃ। আমীর বন্ধুর এঈ পুস্তক আমার নিকট পঠাইয়াছিলেন। এই গ্রন্থপাঠ করিবার কোন সম্ভাবনাই ছিল না, আমি কখনই পুস্তক পাঠ করি না । কিন্তু হঠাৎ এই গ্রস্থের একটা জায়গায় আমার নজর পড়িল – এই অংশটা অতি মনোরম ৷ ইহা পাঠ করিয়| একট। স্মৃতির যক্ষ্মণ আমার মনে জাগিয়া উঠিল । "...কোন এক বসন্থপ্রাতে নজিবে অবগুষ্ঠিত হইয় একাকী স্বলতান আখমেতের নিকটে গেল ; এই হারম্য ঋতুতে রাস্তার কোণে কোণে দেীরভপূর্ণ নাগেশ চাপ বিক্রীত হইয় থাকে...” ওঁ, বাস্তবিকই—আমার স্মরণ হইতেছে- সেইসব ফুলের ব্যাপারীদের কথা—সেই স্বয়ম্য বসপ্তঋতুর কথা।–ঠিক এই সময়েই আমাকে তুর্কদেশ ছাড়িয়া আসিতে হইয়াছিল—আর এখন দেপ এই লৈলাহামুম গ্রন্থের এই মধুর বাক্যটি দূরাগত মৃত্যুঘণ্টার মত আমার মাথার ভিতর ধীরে ধীরে অমুরণিত হইতেছে। ও:! ইস্তামুল হইতে আমার সেই প্রস্থান-কাল ! তপন আমার মনে যে-সব ভালের উদয় হইয়াছিল, তাহ! কি করিয়া বর্ণনা করিব,-উহার সহিত এত রকম জিনিস মিশ্রিত রহিয়াছে ; আমাদের ভালবাসার হৃদয়ভেদী ভীষণ যন্ত্রণ, এই ইস্লাম মহানগরীর জঙ্ক দারুণ মৃত্যুশোক, সেই আসন্ন নববসন্ত্রের রমণীয় শোভা, সেই পরিত্যক্ত ছোট ছোট রাস্তার ধারে পাঁচগাছের লাল লাল ফুল...গ্লাহাজ ছাড়িবার পূর্বে সেই শেষ-দিনগুলা, সেই স্বন্দর সময়ট, সেই নববসস্কে বধন নাগেশ চাপার মধুর সৌরভে চারিদিক্‌ আমোদিত হয়, যখন সেই চম্পক পুপ ইস্তাম্বুলের রাস্তার কোণে কোণে বিক্রীত হইয় থাকে—এইসব কথা আমার মনে আসিল । তার পর আমি বইটা বন্ধ করিয়! আবার ডেকের উপর উঠিলাম । জাহাজ এখন অপেক্ষাকৃত নিস্তব্ধ, রাত্রিটা পূৰ্ব্বাপেক্ষ আরও প্রশান্ত । কোন এক হতভাগ্য আতুরাশ্রমে যকৃৎ রোগে শয্যাশায়ী হইয় ক্রমাগত অাৰ্তনাদ করিতেছে, এখন কেবল সেই আৰ্ত্তনাদের শব্দই শুন৷ বাইতেছে। যকৃৎবিস্ফোটক—এই পীত দেশের একটা প্রচলিত ব্যাধি। ( ক্রমশ: ) শ্ৰী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর