পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য। ] श्रडानिनो ১৯ AASAASAASAASAAeMAeeAeSAASAASAAAS বসিল –ঠাকুর-বাবা : পূজা দিয়েও তুর রাগ ভাঙাতে লাক্বলম্ রে ?— সেই ধ্বংস-ক্রুপের মধ্যে বসিয়া থাকিতে তাহার:জার? o: মন সরিতেছিল না।“সন্ধ্যা তখন ঘনাইয়া আসিয়াছে। গছনিয়ার সঙ্গে আরও তিনটা মুরগী ব্যাক ব্যাক করিতে করিতে তাহার নিকট অগ্রসর হইতেছিল। " টগরী লছমনিয়াকে কোলে তুলিয়া লইয়া বুকের মধ্যে বেশ করিয়া চাপিয়া ধরিল । এতক্ষণে তাহার চোগ দুইটি জলে ভরিয়া আসিল । - লছমনিয়াকে কোলে লইয়া টগরী সে স্থান হইতে উঠিল। যে স্থানে অভৃহর-ক্ষেতট ছিল,—সোনিয়াকে যেখানে মাটি-চাপা দিয়াছে,—সেইদিকে একবার শেষ চাওয়া চাহিতেই তাহার বুকের বেদনা টনটন করিয়া উঠিল “না-না, সেদিকে তাকানো যায় না গে– } go o a to go m টগরী রাস্ত ধরিয়া চলিতে চলিতে তাহদের ম্যানেজার-সাহেবের বাঙলোর নিকট আসিয়া দাড়াইল । সাহেব বাড়ীতে ছিল না । কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করিয়া চীংকার করিতেই বেয়ার আসিয়া বলিল,—কি চাস ? টগরী তাহার অঞ্চলের ভিতর হইতে লছমনিয়াকে বাহির করিয়া বেয়ারার হাতে দিয়া বলিল,—লে । বেয়ারা মোরগট একবার বেশ করিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিয়া বলিল,—বা, কত দাম ? —না রে না, দাম নাই—ওর দাম নাই!.. টগরী বাহির হইয়া যাইতেছিল, এমন সময় বুটজুতার গর্জন করিতে করিতে শিশ দিতে দিতে সাহেব আসিয়া উপস্থিত হইল । ..তাহাকে দেখিয়াই সাহেব বলিয়া উঠিল—কেয়া মাংতা ? ' ' - স্বামী-পুত্রহন্তার মুখের পানে তাকাইতে টগরীর ইচ্ছা হইতেছিল না । সে মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যাইবার উদ্যোগ করিল। •.” বেয়ার মুরগীটাকে দেখাইয়া বলিল,—এহিঠো দেনেকে লিয়ে আয় থা। * সেদিনের কথা সাহেব তখনও দয়া করিয়া তুলিয়া যায় নাই। টগরীর দিকে একবার জিজ্ঞাস্ব দৃষ্টিতে তাকাইল । - টগরী উন্মাদিনীর মত অশ্রীহীন চোখে বলিল,— উয়াকে কেনে ছাড় বি সাহেব ?...সোনিয়াকে লিয়েছিল, আমার লাকুকে লিলি, লছমনিয়াকেও লে। লে সাহেব আমার মাথার কিরা . . . - সে আর কিছু বলিতে পারিল না। তাহার শেষ অবলম্বনটুকুও সাহেবের হাতে সমর্পণ করিয়া চলিয়া গেল । ...বাহিরে আসিয়া সোজা পথ ধরিয়া চলিতে আরম্ভ করিল ...রাত্রির অন্ধকার চারিদিকে ঘন হইয়া আসিতেছে !...বাঙলো হইতে মাহেবের কুকুরটার ঘেউঘেউ শব্দ তখনও শোনা যাইতেছিল। বেয়ারা তখনও দাড়াইয়৷ ছিল। ঈষং দস্তবিকাশ করিয়া সাহেবকে বলিল,—ফাউলঠে। খুব বঢ়িয়া হায় হুজুর । সাহেব হাসিয়া বলিল,—All right, রোষ্ট, বনাও । শ্ৰী শৈলজ মুখোপাধ্যায় অভাগিনী দিয়াছিল স্বামী সকলি ত মোরে, প্রিয়গৃহে গিয়ে সঙ্গ তাহার অদেয় কিছু না ছিল ; ভাল ত মোর লাগেনি ; হায়, এ অভাগী তেয়াগিয়ে স্বথ তিনি ছাড়া যত আর সব মিছে, দুঃখ যে বেছে নিল । বুঝেনি হতভাগিনী । ঐ গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়