পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३e প্রবাঙ্গী-বৈশাখ, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড সাওতালী ভাষা সাওতালজাতিকে আমরা জংলী বলে জানি । কিন্তু জংলী হ’লেও এদের ক্ষুদ্রভাষার মধ্যে একটা পদ্ধতি আছে, এদেরও ভাষা একেবারে ব্যাকরণকে ছাড়াতে পারেনি। তারা কারও কাছে কথা ধার করে নেয় নি । তাদের বেষ্টনীর মধ্যে যেটুকু জ্ঞান ছিল তা প্রকাশ করতে তাদের ভাষার অভাব হয় নি। কিন্তু এখন সভ্যতার যেটুকু সংস্পর্শ পেয়েছে, তার মধ্যে আর তাদের নিজস্ব কিছু নেই—সব আমদানী-কর কথা । এখন এদের ভাষার মধ্যে অনেক বিজাতীয় কথা আশ্রয় পেয়েছে। ভারতের যেখানেই সাওতাল আছে, তাদের সকলেরই ভাষা এক, তবে হয়ত একটু প্রাদেশিকতা দোষে দুষ্ট হতে পারে । তারা চিরদিন পাহাড়, জঙ্গল, গাছ, পাতা প্রভূতি দেখে আসছে, সেইজন্য তাদের ভাষায় ও সব কথার অভাব হয় না । যেমন— ' গাছ=দারে জঙ্গল== বীর মেঘ -রিমিল পাতা=সাকামু পাহাড়= বুড়, চাদ = চাদোবোঙ্গ৷ কাঠ=সাহান আকাশ= সেরুম, यूल=-बांश দক্ষত্র=ইপিল, তাদের ব্যবহার্য্যের মধ্যে ছিল লোহা, সোনা রূপ ছিল না, তাই লোহার সাওতালী নাম মেড় হেন’ । কিন্তু সোনা-রূপাকে তারা সোনা-রূপাই বলে । অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে তার লোহার জিনিষই ব্যবহার করুত আর তাতে অনেক রকম জিনিষ হ’ত, ' যেমন--- টাঙ্গি- কাপি কুড়ল-বুড়ির वक्षॆ।-- छि কাটারি=দাতরম্ (সঃ দাত্র - দ৷ ) গাইঙি= কাকুয়া কোদল-=কুডি তাদের খাদ্য ও তখন অতি সাদাসিধ। ধরণের ছিল । Ei তারা জানত, কিন্তু এখনকার মত এত-রকম তরকারি তাদের ছিল না । থাদোর মধ্যে তেঁতুল, হন, মাছ, মাংস, ভাত, বুনোআলু, নানাপ্রকারের শাক । তাদের তরকারির নাম— বেগুন=ৰ্বেঙ্গার মাছ=হাকু, শাক=জড় cउँछूण=षॐ. মাংস=ঞ্জীল, ভাত= দীক্ষা नून=बूलूः ডিম=বিলি তরকারি=উতু । কিন্তু ডাল, পান, সুপারি, কপি ইত্যাদির নাম তাদের ভাষায় নেষ্ট । বোধ হয় শুদ্ধ কলাই সিদ্ধ করে’ থেত, তাই কলাই এর সাওতালী নাম উপি । তাদের গৃহপালিত পশুর মধ্যে গাই, বলদ, ঘোড়া, ভেড়া আর মহিষ ছিল, কারণ এগুলির নাম সাওতালী ভাষায় পাওয়া যায় । গাই-= ডাংরি ঘোড়l=সাদোম কুকুর=সীতা बाकूज़ - मिछ ছাগল—মেরম্ মহিষ-কাড়হ। বলদ =ডাংরা ভেড় = মেড়ছি তাদের জঙ্গলের মধ্যেও যে-সব জানওয়ার দেখতে পেজ তার ও সাম এদের ভাষায় পা ওয়া যায় । ব্যাস্ত্র--তারপ, * শৃগাল=ভুইয়ু কনুমান=গোড়ি ইত্যাদি । এদের পরিধানের শুদ্ধ কাপড় ছাড়া আর কিছু ছিল না, কারণ আর কিছুর সাওতালী নাম আমরা পাই না। কাপড় = লুগরি। এ ছাড়া আমরা জামার একটা সাওতালী কথা 'দত পাই। আমার মনে হয় এটা—সাওতালরা এক রকম গাছের ছালকে পিটিয়ে গেঞ্জির মত করে পরে, তা থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। এখন তাদের মধ্যে জুতা ছাতা প্রভৃতির চলন হয়েছে, কিন্তু তার সাওতালী কথা জুতোম আর ছাতোম্। তেলের মধ্যে এর সরিষা, কোচড়া আর রেড়ীর তৈলষ্ট দেশে এসেছে, স্থতরাং এই কটারই কথা পাওয়৷ যায় । তেল= স্বল্পমূ, সরিষা=ভুড়ি thlbyl-ફૂ હિ রেড়ী = জার