পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ৷ سید ع AASAASAASAASAASAA AAAASASASS "আচ্ছা পায়ে জুতা শূ ছিল, ন দীপার ছিল ?” এবারও অবিলম্বে স্বরমা কহিল, "শূও ছিল না, স্লীপারও ছিল না ; শুঁড়ওয়াল দেশী নাগরা জুতো छ्लि ।” সুরমার বিষয়ে হতাশ হইয়া বিমান সুমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া জিজ্ঞাসু করিল, “আচ্ছা স্বরেশ্বর-বাবুর পরণে ধুতি ছিল না থান ছিল বল দেখি ?" স্বমিত্রা স্মিতমুখে কহিল, “ধুতি ছিল, সরু লাল পাড় । বলুন ঠিক হয়েছে কি না ?” বিমান বিরসমুখে কহিল, “তা আমি বলতে পারিনে ; যদি চালাকি করে’ বানিয়ে বলে' না থাক তা হলে ঠিক হয়েছে।” স্বরম হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “কি দুঃখের কথা ঠাকুরপো ! ঠিক হ’ল কি না তাও বোঝবার উপায় তোমার নেই ?” هa আজ প্রাতঃকালে দিবালোকে সুরেশ্বরের মুখমণ্ডলে একটা জিনিষ বিমান বহুবার লক্ষ্য করিয়াছিল, যাহা তখনও স্পষ্টভাবে তাহার স্মরণ ছিল । রাত্রির অনুজ্জল আলোকে সুমিত্রা কখনই তাহা লক্ষ্য করে নাই, মনে মনে আশা করিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা বল ত স্বরেশ্বর-বাবুর মুখের মধ্যে কালো দাগ কোথাও আছে কি না ?” বিস্ময়-চিন্তিত মুখে স্থমিত্রা কহিল, “কালো দাগ ? কই কালো দাগ কিছু ত মনে পড়ে না।” তৎপরক্ষণেই উৎফুল্ল নেত্ৰে কহিল, “স্বরেশ্বর-বাবুর কানের পাটায় একটা বড় কালো তিল আছে—আপনি তারই কথা বলছেন কি ?” তাহারই কথা যে বিমানবিহারী বলিতেছিল তদ্বিষয়ে অস্বীকার করিবার কোনো উপায় ছিল না। একবার ইচ্ছা হইল জিজ্ঞাসা করে—কোন কৰ্ণে-দক্ষিণে ন বামে ; কিন্তু গুরুতর পরাজয়ের আশঙ্কায় নিরস্ত হইল । স্বরমা পুলকিতমুখে কহিল, “কি ? ঠাকুরপোর মুখে যে আর কথাটি নেই ? আর কিছু জিজ্ঞাসা করবে না • कि ?” বিমামবিহারী হসিয়া কহিল, “যথেষ্ট হয়েছে, আর রাজপথ ৩২৩ না ; স্বরেশ্বর-বাবুর জামার বোতামে কট। ফুটো ছিল, জিজ্ঞাসা করলে, তাও বোধ হয় তোমরা বলে' দিতে পার!” বিমানবিহারীর কথা শুনিয়া সুরমা ও স্বমিত্রা হাসিতে লাগিল । শু্যামবাজার হইতে প্রমদাচরণ প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলে ড্রয়িংরুমে সকলে মিলিত হইয়া পুনরায় কথাবাৰ্ত্ত আরম্ভ করিলেন। বিমানবিহারী নিয়মিত প্রতি সন্ধ্যায় এই পারিবারিক সম্মিলনে আসিয়া যোগ দিত। কোনো কারণে কোনো দিন উপস্থিত হইতে ন পারিলে পরদিন জয়ন্তী চিঠি লিখাইয় বা লোক পাঠাইয়া তাঁহাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনাইতেন । প্রথমতঃ জামাতার সহোদর ; দ্বিতীয়তঃ ভবিষ্যং জামাত ; এবং তৃতীয়তা ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ; এই তিনটি প্রবল অধিকারের শক্তিতে এই সম্মিলনের সকলের নিকট হইতেই, বিশেষতঃ জয়ন্তীর নিকট হইতে, বিমানবিহারী পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে সম্মান এবং মনোযোগ অর্জন করিত। কতকটা এই পরিবারের নবতান্ত্রিকতার গুণে এবং কতকটা বিমানবিহারীর ক্রমবৰ্দ্ধিত পরিচয় এবং অন্তরঙ্গতার AMAMeSAASAASAAAS প্রশ্রয়ে বিবাহের কল্পনা ও কথা সত্ত্বেও সে সকলের সমক্ষেই অনেকটা অসঙ্কোচে স্থমিত্রার সহিত মিশিত ; এবং স্থমিত্রাও, পাছে সঙ্কোচের দ্বার সঙ্কোচ বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠে এই আশঙ্কায়, যথাসাধ্য সঙ্কোচ পরিহার করিয়াই চলিত । রাত্রে আহার সমাপন করিয়া বিমান যখন প্রস্থানোন্তত হইল, তখন স্থমিত্র। তাহাকে বলিল, “যদি অন্ধবিধা না হয়, কালও একবার স্বরেশ্বর-বাবুর হাতের খবরটা নেবেন।” বিমান প্রতিশ্রত হইল সংবাদ লইবে । কিন্তু পরদিন প্রাতে চা পান করিয়া স্বরেশ্বরের গৃহে যাইবার জন্য বাহির হইবে এমন সময়ে স্থরেশ্বরই তাহার নিকট আম্পিয়া উপস্থিত হইল। স্বরেশ্বরকে দেখিয়া বিমান সানন্দে বলিল, “বাঃ, বাসনাগুলো যদি এমনি পায়ে হেঁটে দোরে এসে উপস্থিত श्ध्न ङ भमा झग्न न ! यांभि उ जाश्वनांत কাছেই যাচ্ছিলাম !"