পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] যেৰূপ সিংহের গুহা হইতে বন্য পশু দূরে পলায়ন করিয়া চলিয়া যায়, সেইরূপ যে নগরে একটি মাত্র প্রসিদ্ধ অসিধারী থাকে, সে নগর হইতে উীত হইয়া ক্ষুদ্রাশয় জনশত্ৰুগণ দূরে চলিয়া যায়। কিন্তু যে স্থানে অসিধারী পুরুষ রাজকোপে নিগৃহীত, কিম্বা জন-শত্ৰুগণ অপর কোনও শক্তি দ্বারা সমর্থিত, তথায় অবশ্যই অন্য কথা । বৌদ্ধযুগের শেষভাগে “অহিংসা পরমে ধৰ্ম্ম" এই বাক্যের নানারূপ বিকৃত ব্যাখ্যার ফলে এক দিকে যেমন তথাকথিত বিবেকের তাড়নায় তথাকথিত ধাৰ্ম্মিক ও জ্ঞানীগণ কীট পতঙ্গ হিংস্রপশু প্রভৃতির প্রতি দয়াত্র চিত্ত হইতেছিলেন এবং মানুষের যন্ত্রণা ভুলিয়া যাইয়া মামুষের রক্ত দ্বারা ছারপোকার আহার যোগাইতেছিলেন, তেমনই প্রতিক্রিয়ার ফলে অপর দিকে এক সম্প্রদায়ের তথাকথিত উপাসকগণ নরবলি নরহত্য হইতে আরম্ভ করিয়া নানারূপ অত্যাচার-উৎপীড়নে দেশকে জালাতন করিতেছিল। ॐ শ্ৰীমৎ শঙ্করাচার্য্যের প্রভাবে ক্ষত্ৰিয়সমাজ পুনর্গঠিত ও ঐ-সমস্ত অত্যাচার-উৎপীড়ন বাহ্যতঃ ক্ষান্ত হইলেও দুবৃত্তগণ অরণ্য ও পৰ্ব্বতের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া দস্যবৃত্ত্বি ও কাপালিক-বৃত্তি অবলম্বন করিল । কিন্তু “অহিংসা পরমো ধৰ্ম্ম” এই বাক্যের বিরুত ব্যাখ্যার প্রভাব ভারতবর্ষ হইতে দূর হইল না। তথাকথিত ধাৰ্ম্মিক ও জ্ঞানীগণ তথাকথিত জ্ঞানচর্চার আতিশর্য্য হেতু সংসার অনিত্য দেখিতে লাগিল এবং আত্মরক্ষা ও দেশের প্রকৃত উন্নতি সম্পর্কে সৰ্ব্ব রকমে উদাসীন হষ্টয়া পড়িল ; ভাহীদের প্রভাব ক্ষত্রিয় ও অন্যান্য সমাজে পতিত হওয়ায় দেশ ক্রমে নিস্তেজ ও নিবীৰ্য্য হইয়া বৈদেশিকগণের করকবলিত হইয়া পড়িল এবং সঙ্গে সঙ্গে অসিবিদ্যা ধতুবিদ্যা প্রভৃতি জনসমাজ হইতে ক্রমে লোপ পাইয় গেল। কিন্তু তখনও কতিপয় দস্থ্যসঙ্ঘ স্থানে স্থানে দলবদ্ধ হইয়া লাঠি, আসি, গদা, ধন্ত, ছুরিকা প্রভৃতির অভ্যাস করিতেছিল। কালক্রমে তাহাদের মধ্য হইতে “ঠগ" নামে এক প্রবল সম্প্রদায় গঠিত হইয়া সমস্ত ভারতবর্ষে উৎপীড়ন আরম্ভ করিয়াছিল । দেশ, কাল ও পাত্রের সম্পর্কে বিজড়িত হওয়াতে, এই পদ্ধতির বর্ণনায় সংস্কৃত, রামাশী, উর্দু, ও ASA SSASAS SSAMA AM MAMSAAAAAAS AAAAAS AA SAASAASSAAAAAAeAMAeAeSSS SBSS লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা JS) or , AMA AMMAMMAMAeS ee eeeAMAMAeeAeeAMAeSAMAeeAM বিভিন্ন প্রাদেশিক নানা জাতীয় ভাষার সংমিশ্রণে নানারূপ সাঙ্কেতিক শব্দ প্রবেশ করিয়াছে। ঐ-সমস্ত শব্দের প্রকৃতিগত বিশ্লেষণ এ-স্থানে অসম্ভব। শব্দগুলি ও তাহদের সাঙ্কেতিক অভিপ্রায় যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। প্রথম শিক্ষার্থীগণের পক্ষে অগি লইয়া অভ্যাস করা নিতান্তই বিপজ্জনক। প্রথম প্রথম তাহাদের লাঠি লইয়াই অভ্যাস করিতে হইবে। শিক্ষার পূর্ণতা প্রাপ্ত হইলে লাঠি ও অসি পরিচালনে সমানরূপ দক্ষতাই জন্মিয়৷ থাকে। লাঠির আঘাতে শরীর গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়, অসির আঘাতে শরীর কাটিয়া যায়। অসি লইয়া সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বত্র বিচরণ করা অসম্ভব ; কিন্তু লাঠি সৰ্ব্বদা সঙ্গে থাকিলে অধিকাংশ স্থলেই আত্মরক্ষা সম্ভবপর হয়, এবং অন্যান্য নানারূপ প্রয়োজনও সাধিত হয় । লাঠি ও অসিশিক্ষার প্রণালী ও পদ্ধতি সম্পূর্ণই একরূপ। তাই এই প্রবন্ধের নাম লাঠিখেলা ও অসি-শিক্ষণ হইল । উপক্রমণিকা تحریمه حجیمی حیر স্থান নির্দেশঃ– পবিত্র, সমতল, ও ছায়াপ্রধান স্থানই শিক্ষাপ্রদানের জন্য শ্রেষ্ঠ । দক্ষিণ ও পূৰ্ব্বদিকে বায়ুপথ উন্মুক্ত । থাকিলেই ভাল হয় । স্থানটি যেন এরূপ না হয় যে মস্তক সূর্য্যকিরণে এবং পদ ছায়াতে থাকে, কিম্বা অন্ত কারণে মস্তকে উত্তাপ অধিক ও পদে অপেক্ষণকুত ঠাণ্ডা অধিক লাগিতে পারে। প্রথম শিক্ষারম্ভকালে সম্পূর্ণ ছায়াপূর্ণ স্থানই শ্রেষ্ঠ । ক্রমে কষ্টসহিষ্ণুত বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত্ব সম্পূর্ণ রৌদ্রমধ্যে ধীরে ধীরে অভ্যাস করাই সঙ্গত । শিক্ষাপ্রদান-স্থানে প্রবেশ করিয়া অবিশ্বাসী ও অনিষ্টাকাজী ব্যক্তিগণ যাহাতে নানারূপ ফুট দৃষ্টি নিক্ষেপ কিম্বা কুট বাক্য প্রয়োগে প্রথম শিক্ষার্থীগণের চঞ্চলতা ও প্রমাদ উৎপাদন করিতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্কতারও নিতান্তই প্রয়োজন। শিক্ষার্থীগণ শিক্ষায় কতক দূর অগ্রসর হইলে এবং একবার এই বিদ্যার প্রতি আসক্তি জন্মিলে, আর দুষ্টগণের দুই চেষ্টা কোন ব্যাঘাত উৎপাদন করিতে পারিবে না।