পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SeeA SAeAeeAMAMAAAA হয়। তুষারাবৃত-পৰ্ব্বতমালা-বেষ্টিত এই স্থানটি পবিত্রসলিলা গঙ্গা-নদীর উৎপত্তিস্থল বলিয়া একটি পুণ্যতীর্থরূপে গণ্য । হিমালয়ের উত্তর-পাশ্বস্থিত মানস-সরোবর ও কৈলাস পর্বতমালাকে লোকে অধিক পবিত্র বলিয়া মনে করে । সেখানকার মনোরম প্রাকৃতিক শোভা বাস্তবিকই চিত্তাকর্ষক । কিন্তু সেখানে যাওয়া সুকঠিন। তিব্বত-ভ্রমণের বন্দোবস্ত করিবার সময় সেখান মর জ্ঞান সঠিক করিবার জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সঙ্গে লইতে ইচ্ছুক হইলাম। এই প্রদেশটি সরকারী জরীপবিভাগ কত্ত্বক জরীপ করা হয় নাই এবং এখানকার উদ্ভদ, জীবজন্তু ও ভৌগোলিক তত্ত্বসমূহ অধিকাংশ লোকে জ্ঞাত নহে। তিব্বতে প্রবেশ করিবার অনুমতি পাইব কি না সে সম্বন্ধেও সন্দিহান ছিলাম। যদিও ১৯০৪ খৃষ্টাব্দের সন্ধিসত্তাকুযায়ী ব্যবসায়ী ও তীর্থযাত্রীদের নির্দিষ্ট পথ দিয়া তিব্বতে ধাতায়াতের কোনই বাধা ছিল না। তথাপি আমি সন্দেহমুক্ত হইবার জন্য চেষ্টত হইলাম । আমি ভারতসরকারের নিকট আবেদন করিলাম যে র্তাহারা পশ্চিম তিব্বতে ভ্রমণাভিলাষী একদল বৈজ্ঞানিক অন্বেষণকারীকে সৰ্ব্ব প্রকার সুবিধা প্রদানের জন্য তিব্বত সরকারকে অন্তরোধ করিবেন কি না । তদুত্তরে ভারতসরকার জানাইলেন যে, ইয়াটা’, গয়াস্তণী এবং গারটক বাণিজ্য-কেন্দ্র তিনটিতে যাইবার রাস্তা ভিন্ন অন্য কোন পথেই তিব্বতীয়ের বিদেশীদিগকে যাইবার অনুমতি দিবে না। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকারীদিগের পক্ষে এ নিয়ম বিশেষরূপে কঠোর । সুতরাং গবমেণ্ট, আমাদের দলকে কোনরূপ সাহায্য করিতে .অসমর্থ। কাজেকাজেই আমার বৈজ্ঞানিক গবেষণার সখ অস্কুরেই বিনাশ প্রাপ্ত হইল । পণে আমাদিগকে তিনপ্রকার কষ্ট সহ করিতে হইবে। প্রথম শারীরিক কষ্ট, দ্বিতীয় রাজনৈতিক বাধা, তৃতীয় দস্থ্য-তস্করের ভয় । শারীরিক কষ্টের কথা মনে করিয়৷ আমি বিচলিত হইলাম না, কারণ এবারকার পথ চন্দ্রভাগা উপত্যকার পথ হইতে সুগম । লাডকের শীত অপেক্ষা তিব্বতের শীত বেশী নহে এবং পথের রসদাদি পূৰ্ব্ববারের স্যায় সঙ্গে লওয়াই স্থির করিলাম । পশ্চিম তিব্বতে లీ! సె AMA AMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAMMAM MAMAMA AMAMAAA AAAA AAAM MMAeeMMAMAAA AAAA AAAASAAAA তৎপরে ভাবিলাম রাজনৈতিক বাধা । তিব্বতসরকার যদি আমাদিগকে ফিরিতে বাধ্য করান ? তবুও হিমালয়ের অপরপাশ্বের কিছুদূর ত ভ্রমণ করিতে পারিব, এই বলিয়। মনকে প্রবোধ দিলাম। তৃতীয় ভয় দক্ষ্যতস্করের। অনেকদিন হইতেই এ প্রদেশে দস্থ্য-তষ্করের ভয় আছে। তাহারা অসহায় পথিকদিগকে নানাপ্রকারে নির্যাতিত করে, এমন কি তাহীদের প্রাণহানি করিতেও কুষ্ঠিত হয় না । ইহাদের অমানুষিক অত্যাচার-কাহিনী ল্যাগুর (১৮৯৬) শেরিং ( ১৯০৫) স্বেন হেডিন ( ১৯০৭ ) ও সত্যদেব (১৯১৫ ) প্রভৃতি আধুনিক পৰ্য্যটকগণও বর্ণনা করিয়াছেন। তিব্বভস বৃকার ইহাদিগকে দমন করিতে অসমর্থ । ইহাদের কবল হইতে রক্ষ পাওয়া কঠিন—এমন কি ভারতসরকারের দৃত শেরিং ও ইহাদের হস্ত হইতে নিস্তার পান নাই। পথে তাহার ঘোটকাদি অপহৃত হয় এবং তিনি বহুকষ্টে দ্রব্যগুলি উদ্ধার কৃরেন। যদিও আমার সঙ্গে পিস্তল ও বন্দুক ছিল, তবুও আমি নিৰ্ভয় হইতে পারিলাম না ; কারণ প্রত্যেক তিববতীয়দের ন্যায় ইহাদের কাছে ও বন্দুক ও পিস্তল প্রভৃতি থাকে। এইবার আমার সঙ্গী হইলেন অধ্যাপক চরণসিংহ, অধ্যাপক বিজনরাজ চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক কাশ্মীর সিংহ ও অধ্যাপক হয়কিষণ সিংহ । ইহারা সকলেই খালসাকলেজের অধ্যাপক । ইহারাও সঙ্গে একটি বন্দুক লইলেন । পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্রও আমাদের সঙ্গে ধোগ দিতে ইচ্ছুক হইল । কিন্তু এতগুলি ছাত্র সঙ্গে লইয়া তিব্বত-রাজ্যে প্রবেশ করা অসম্ভব। কাজেকাজেই আমাদের সঙ্গে কিছুদূর তাহাদিগকে লইয়া গিয়া আবার ফেরং পাঠাইয়া দিব স্থির করিলাম। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে পাঞ্জাব-বিশ্ববিদ্যালয়ে এইরূপ শিক্ষার প্রবর্তন করিয়া স্যার জন মেনার্ড শিক্ষিত সমাজের বিশেষ ধন্যবাদের পাত্র হইয়াছেন। এক্ষণে আমাদের ভ্রমণ-বৃত্তান্ত আরম্ভ করা যাক । আমরা স্কন্দপুরাণের নির্দেশান্থায়ী পথে তিব্বতে প্রবেশ করিব স্থির করিলাম । এষ্ট পথ কর্ণালী নদীর