পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ न९धn ] সঙ্গমস্থল এখান হইতে বেশী দূরে নহে। এখানে পরগাছ আলোকলতা ও অন্তান্ত স্বন্দর স্বন্দর ফুলের গাছের অভাব নাই। এখান হইতে রওনা হইয়া বালাকোটে পৌছি। বালাকোটে পৌছিতে পৌছিতে রাত্রি হইয়া গেল । কুলীদের অসাবধানতায় খচ্চরগুলিও পথ ভুল করিয়া অগম্য স্থানে গিয়া পড়িল। অবশেষে কুলীরা বহুকষ্টে মালগুলি বহন করিয়া অনিল । সে রাত্রে আর আহার হইল না এবং পরদিনও প্রাতরাশ ঠিক সময়ে হইল न] । ৩রা তারিখে আমরা ধরচুলা পৌছি। এই গ্রামে একটি ভাল পাঠশালা আছে। এই পথ দিয়া তিব্বতে যে-সকল বাণিজ্য-সম্ভার যায় তাহার তালিকা করিবার জন্য এখানে একটি আফিস আছে। গারব্যাং এখান হইতে ৫০ মাইল দূরে অবস্থিত। সেখানে যাইবার নিমিত্ত কুলী নিযুক্ত ও অন্যান্য বন্দোবস্ত করিবার জন্য আমাদিগকে এখানে তিন দিন অপেক্ষা করিতে হইল । এই পথে খচ্চর বা ঘোড়া চলে না ; কারণ স্বপ্রসিদ্ধ নিরপানীগিরিপৃষ্ঠকে সকলেই ভয় করে । সৌভাগ্যক্রমে আমাদের কুলী পাইতে বিশেষ বেগ পাইতে হইল ऋी । এখানেই আমরা একজন দ্বিভাষী নিযুক্ত করিলাম । চৌদানের ভোটিয়ারা ( ভুটিয়া নহে ) ও পাশ্বস্ব গ্রামের বায়ানরা সৰ্ব্বদাই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য তিব্বতে যায়। এখানকার লোকে খুব ভাল তিব্বতী ভাষা জানে । সৌভাগ্যক্রমে আমাদের দ্বিভাষী হইলেন একজন রমণী । তাহার নাম রুমাদেবী। তিনি একটি সন্ধান্ত বংশের মহিলা এবং y রায় সাহেব পণ্ডিত গোবীরিয়ার ভ্রাতু-পুত্রী। রুমাদেবী চিরকুমারী এবং তাহার সমস্ত সম্পত্তি সৎকার্য্যে দান করিয়া তিনি জনসেবায় আত্মোৎসর্গ করিয়াছেন । তিব্বতযাত্ৰাদিগকে তিনি বিশেষভাবে হ্রাহায্য করিয়া থাকেন। তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের একজন কৰ্ম্মী ও তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে চারবার মানস-সরোবর ও কৈলাশ দর্শন করিয়াছেন। ধরচুলাতে তাহার সহিত আমাদের সাক্ষাং হইল । বাণিজ্য-ঘাটার মুলীজির অনুরোধে তিনি আমাদের সহিত যাইতে স্বীকৃত পশ্চিম তিব্বতে । లీ8

  • ^్కల్నాAశాఖలో

→ - o o o “, . 鼹 o o o - -- - * * o

  • o o 氹 to o

o গাৰ্বব্যাং গ্রামনিবাসী রুমীদেবী (২০ বৎসর পূর্বের গৃহীত ছবি ) হইলেন । তিব্বতের ভীষণ শীত ও পথের নানাপ্রকারের কষ্ট তিনি যেরূপভাবে সহ করিতেন তাহাতে বিস্মিত হইতে হয়। তিনি কোনক্রমেই তাহার ফটো তুলিতে দিলেন না। র্তাহার ২০ বৎসর পূৰ্ব্বে তোলা একখানি ছবি দেওয়া চইল । ধনী তিব্বতীয় মহিলা ৷ কিরূপ বস্ত্রাদি ও অলঙ্কার পরে তাহা ঐ ছবি হইতেই বোঝা যাইবে । ধরচুল ছাড়িয়া কিছুদূর গেলেই অনেকগুলি উষ্ণ উৎস দেখা যায়। নিকটেই একটুি ছোট নদী আছে। নদীতীরে আমরা প্রাতরাশ সম্পন্ন করিলাম । ৭ই