পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)8ぐり SAASA SAASAASAASAA AAAS এই গিরিবত্মটি ও নিকটস্থ অন্যান্স বত্মগুলি হিমালয় পৰ্ব্বতের অন্তভূক্ত নহে। এগুলি হিমালয়ের পার্শ্বস্থ জান্স কর গিরিমালার অন্তর্গত। এই গিরিমালা তিব্বতকে ভারতবর্ষ হইতে বিভক্ত করিয়া দণ্ডায়মান আছে। গঙ্গানদীর অনেকগুলি শাখা এই গিরিমালা হইতে উৎপত্তি লাভ করিয়া হিমালয় ভেদ করিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। মিঃ বারার্ড হিমালয়-পৰ্ব্বতের উচ্চ শৃঙ্গগুলির অবস্থান ভাল করিয়া পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া ও যথারীতি ভৌগোলিক প্রমাণ দিয়া তাহার এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন । ঐ দিন অপরাঙ্কে আমরা তাকলাকোটে ( ১৩৩০০ ফুট উচ্চ ) উপস্থিত হইলাম। তাকলাকোট কর্ণালী নদীর তীরে অবস্থিত। নদীটি জান্সকর পর্বতমালার উত্তরস্থিত লাডকু পৰ্ব্বত হইতে উৎপন্ন হইয়া নেপালের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইয়া অবশেষে গঙ্গানদীর সহিত মিশিয়াছে। এই স্থানটি একটি ব্যবসা-কেন্দ্র । এই হাটে ভোটিয়ার ও বায়ানরা তিব্বতীয়দের সহিত ক্রয়-বিক্রয় করে । তিব্বতীযরা সাধারণতঃ পশম, সোহাগ ও লবণ বিক্ৰী করে। ভোটিয়া ও বায়ানরা কার্পাস-বস্ত্রাদির ব্যবসা করে? তিব্বতীয়রা খাদ্য-শস্যও ক্রয় করে। পশ্চিম তিব্বতে তাকলাকোট এবং অপর কয়েকটি ঢালু জায়গায় চাষ-আবাদ হয়, কারণ এ-সকল স্থানে জল পাওয়া যায় । এখানে যব, মটর ও সরিষা জন্মে। পশ্চিম তিব্বতে বহু পতিত স্থান দেখিতে পাওয়া যায় ; কারণ সকল স্থানে চাষ-আবাদ করা অসম্ভব । শৈত্যাধিক্য, জলাভাব ও অল্পকালস্থায়ী গ্রীষ্ম ঋতু—এই তিনটি কারণে উচ্চ স্থানে চাষ-আবাদ হয় না। এ-প্রদেশে ভবঘুরেরাই বাস করিতে পারে, কারণ আবাদ হয় না বলিয়া স্থায়ীভাবে কেহই বাস করিতে চাহে না । আমরা একটি গভীর নদীর তীরে তাবু খাটাইলাম । প্রবাসী—অষিাঢ়, ১৩৩e ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS * *...* [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AAAAAASAAA SS S SA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS নদীর অপর পাশে হাট বসে—সেখানে ভোটিয়ার তাবু ফেলিয়াছে। “ কিছু দূরে তিব্বতীয়দের তাবুও দেখিলাম । বাজার হইতে কিছু উচ্চে অবস্থিত—তাকুলাখার অর্থাং ভিক্ষুদের মঠ ও তিব্বতীয় রাজকৰ্ম্মচারীর অফিস । কৰ্ম্মচারীটির পদবী জংপেন অর্থাং তহশিলদার। একটি ব্যবসায়ী লাসা হইতে আসিয়াছিল—তাহার নিকট হইতে কতকগুলি ছোট ছোট কাপেট কিনিলাম । স্থানটি ভাল করিয়া দেখিবার ও অন্যান্য বন্দোবস্ত করিবার নিমিত্ত এখানে চারি দিন অপেক্ষা করিলাম । একদিন ভিক্ষুদের মঠ দেখিতে গেলাম। অন্যান্য তাকূলকেটের ভিক্ষুদের মঠ নীচে ভোটিয়া সদাগরদের তাবু দেখা যাইতেছে তিব্বতীয় মঠের ন্যায় এখানেও অন্ধকার কুঠুরী, প্রার্থনাচক্র, প্রস্তরমূৰ্ত্তি, মুখোস, শিঙ্গা, দেওয়াল-চিত্র প্রভৃতি দেখিলাম। তহশিলদার মহাশয়ের সহিতও দেখা করিতে গেলাম। র্তাহার পত্নী গৃহদ্বার হইতে আমাদিগকে সাদরে অভ্যর্থনা করিয়া লইয়া গেলেন । এই স্বত্র ও মিষ্টস্বভাবসম্পন্ন মহিলাটির সৌজন্যে আমরা মুগ্ধ হইলাম । তিব্বতীয়দের মধ্যে লাসার লোকেরাই দেখিতে স্থলী । তহশিলদার মহাশয় এই বৎসরই এখানে আসিয়াছেন । তিনি তাহার কাপেটমণ্ডিত দরবার-গৃহে আমাদিগকে অভ্যর্থনা করিলেন। ঐ গৃহে নানা প্রকার অস্ত্রশস্ত্র