পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ঝুলান রহিয়াছে দেখিলাম। আমরা সেই গৃহে প্রবেশ করিতেই তিনি র্তাহার মঞ্চোপরিস্থ আসন হইতে উঠিয়া দাড়াইলেন। তাহার সম্মুখে অনেকগুলি তিব্বতীয় মুদ্রা (তঙ্কা— প্রত্যেকটি প্রায় পাচ আনা ) পড়িয়া ছিল। ঘরটি বেঙ্গ পরিষ্কার ও স্থসজ্জিত—মঠগুলির ন্যায় অপরিষ্কার নহে। ঘরে অনেকগুলি লোক ছিল । তিব্বতীয়দের দাড়ি গোফ না থাকায় কে পুরুষ কে স্ত্রীলোক স্থির করা কঠিন । একটি লোককে খুব ཧཱ་མྱེ། দেখিয়া আমাদের কৌতুহল হইল। শুনিলাম তিনি তহশিলদার মহাশয়ের একজন কৰ্ম্মচারী। দ্বিভাষীর সাহায্যে আমরা তহশিলদার মহাশয়ের সহিত কিছুক্ষণ পেচরনাথের একজন বিশিষ্ট লম। খেচরনাথের মন্দির, দূরে হিমালয়-পৰ্ব্বত দেখা যাইতেছে আলাপ করিলাম । তিনি আমাদিগকে কতকগুলি ফল খাইতে দিলেন । আমরাও আসিবার সময় তাহার পুত্রকে কিছু উপহার দিলাম। ফিরিবার সময় আবার তহশিলদারপত্নী তাহার স্বভাবস্থলভ সৌজন্তে আমাদিগকে দরজা পৰ্য্যস্ত আগাইয়া দিয়া গেলেন। থেচরনাথের মন্দির তাকৃলাকোট হইতে দশ মাইল দূরে অবস্থিত। আমরা অশ্বারোহণে সেখানে গেলাম। মন্দিরে অনেকগুলি বড় বড় মাটির মূৰ্ত্তি দেখিলাম। নানা প্রকারের পিতলের মূৰ্ত্তিও মন্দিরাভ্যন্তরে দেখিলাম। সম্ভবতঃ এগুলি প্রাচীন নেপালী শিল্পের নিদর্শন । ভারতবর্ষের তীর্থস্থানের পাণ্ডাদের ন্যায় এখানকার পুরোহিতরাও তীর্থযাত্রীদের নিকট হইতে যথাসাধ্য আদায় করিবার চেষ্টায় থাকে। এখানে এই প্রদেশের একজন শ্রদ্ধাস্পদ লামার সাক্ষাৎ পাইলাম । এইবার আমরা জ্ঞানিমা রওনা হইবার বন্দোবস্ত করিতে লাগিলাম । জ্ঞানিম৷ এই প্রদেশের একটি বাণিজ্য-কেন্দ্র। এস্থান হইতে মানস-সরোবর ২৬ মাইল দূরে অবস্থিত। ২৪শে জুলাই অপরার দুই ঘটিকার সময় আমরা তাকুলাকোট হইতে রওনা হইলাম। সেদিন আমরা মাত্র ছয় মাইল পথ অতিক্রম করিয়াছিলাম । তাকলাকোট হইতে দুই মাইল দূরে শিখ নেতা জোরাওর সিংহের সমাধিস্থল দেখিতে পাইলাম। তিনি লাসা অভিযানের পথে সসৈন্যে এখানে মারা যান।