পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেীরাকুও হ্রদ থাকার দরুন লোকে ইহাকে মানস-সরোবরের ন্যায় নিখুত বলে না। মানস-সরোবব হইতে এই হ্রদটি ৫০ ফুট নিম্নে অবস্থিত। দুইটি হ্রদের জলই শীতকালে জমিয়া যায় । তখন লোকে স্থাটিয়া হ্রদ দুইটি পার হইতে পারে। তিব্বতীর BBBSBBBBB BBB 0 BBBSBBB KKS KBBB অভিহিত করে । ২৮শে জুলাই আমরা এই সৌন্দর্য্যময় স্থান হইতে রওনা হইয়। কৈলাস-পৰ্ব্বত অভিমূপে যfত্র করিলাম । কৈলাসের রাস্তা হ্রদের তীরদুেখ হইতে আরম্ভ হইয়। কিছু দূরে গিয়া পশ্চিমদিকে বক্র হইয়। গিয়াছে। পথে আমরা একটি হ্রদের তীরে তরঙ্গবিক্ষিপ্ত মংগু দেখিতে পাইলাম । তীর্থযাত্রীরা এইরূপ মৎস্য ভক্তিসহকারে সঙ্গে লয়। ঐ মৎস্য হইতে নানাপ্রকার ঔষধ হয় বলিয়। শুনা যায়। পথে আমরা গোস্থল মঠ দশন করিলাম। এখানকার স্থতি-চিহ্ন ব্রাখিব মনে করিয়া একটি তামমূৰ্ত্তি ক্রয় করিলাম। লামারা সাধারণতঃ এ-সকল মূৰ্ত্তি বিক্রয় করে না। ক্রমে আমরা রাক্ষস-তাল ও মানস-সরোবরের মধ্যস্থিত নালা অতিক্রম করিলাম। এখন নালাতে জল দেখিলাম না। নালার মধ্যে কয়েকটি উষ্ণোংস আছে । মানস-সরোবরের সহিত এই অঞ্চলের নদীগুলির [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড معمومی যোগ অাছে কি না এই বিষয় লইয়া যুগ যুগ ধরিয়া নানা তর্ক বিতর্ক হুইয়া আসিতেছে। দুইটি হ্রদের সংযোজক নালাটির সম্বন্ধে পরস্পর-বিরুদ্ধ অনেক বিবরণ পাঠ করা যায়। এই স্থানে চারটি পৰ্ব্বত পরস্পরের অতি সন্নিকটে দণ্ডায়মান । দক্ষিণে অভ্ৰভেদী হিমালয়পৰ্ব্বত ; তাহারই শাখা-স্বরূপ কিছুদূরে লিপুলেক গিরিবত্মের নিকট হইতে জান্স কর পর্বতমালা উত্তর-পশ্চিমে বিস্তুত হই। দণ্ডায়মান । ইহার কিছু উত্তরে লাডকু-পৰ্ব্বত। হ্রদের ঠিক দক্ষিণে স্বপ্রসিদ্ধ কৈলাস-পৰ্ব্বত । এস্থানে চারিটি নদীও আছে । কৈলাসের উত্তর দিকের নদীগুলি সিন্ধুনদের সহিত মিলিত হইয়াছে। হ্রদের উত্তরের পর্বতমালা হইতে ব্ৰহ্মপুত্র প্রবাহিত হইয়াছে। লাডকৃ-পৰ্ব্বতের দক্ষিণ হইতে কর্ণালী নদী উৎপন্ন হইয়৷ হিমালয় অতিক্রম করিয়া গঙ্গানদীর সহিত মিশিয়াছে। হ্রদের পশ্চিম দিক্ হইতে শতদ্রু (সত লজ্জ ) নদী প্রবাহিত । ভারতবর্ষে ও ইউরোপে বহু লোকের ধারণা যে গঙ্গানদী মানস-সরোবর হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, ও সন্ত লজ নদী গঙ্গানদীর একটি অংশ । ১৮০৭ খৃষ্টাব্দে বাংলাসরকাব গঙ্গানদীর উৎপত্তিস্থল ঠিক করিবার উদ্দেশ্যে একদল কৰ্ম্মচারী প্রেরণ করেন । র্তাহারা গঙ্গোত্ৰীকেই গঙ্গানদীর উৎপত্তিস্থল বলিয়া নির্ণয় করেন। সম্রাট, আকৃবরের প্রেরিত রাজকৰ্ম্মচারীরাও পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তেই উপনীত হইয়াছিলেন। সত লজ-নদীর এই হ্রদের সহিত সম্পর্ক আছে। ভূমিতলের অধঃস্থ প্রদেশ ভিন্ন মানসসরোবরের জল-নিগমের কোন পথ আছে বলিয়া অবগত হওয়া যায় না । অতিবৃষ্টি হইলে মানস-সরোবরের জল পূৰ্ব্বোক্ত ৬ মাইল লম্বা নালাটি দ্বারা রাক্ষস-তালের সহিত এক হয় । রাক্ষস-তালেরও জল-নিগমের কোন পথ নাই। বোধ হইল মাটির নীচ দিয়া ইহার জল পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়, কারণ এই হ্রদটির পশ্চিম