পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA AAAA AAAASAAAAASA SAASAASAASAASAA AAAAMAAASA SAASAASAA cशोलिक्र भं এবারে আমরা দ্বারচীনে ঠাকু খাটাইব । তিব্বতের সঙ্গকারী রাজকৰ্ম্মচারী অগ্রসর হওয়া সম্ভবপর হইল না । আমাদের পথপ্রদর্শক হইলেন । আমর। প্রথমে কৈলাসপৰ্ব্বতের সামুদেশ পরিক্রম করিব । কৈলাস-পৰ্ব্বতের চারদিকে চারিটি মন্দির আছে। প্রথম মঠটি দ্বারচীন গিরিপৃষ্ঠে অবস্থিত। এই গিরিপৃষ্ঠ হইতে কয়েকটি ছোট নদী উৎপত্তি লাভ করিয়া পৰ্ব্বতটিকে চক্রাকারে বেষ্টিত করিয়া রাক্ষসতালে পতিত হইয়াছে। পরদিন আমরা দ্বার:চীনে জিনিসপত্র রাখিয়া অপর একটি মঠের দিকে অগ্রসর হইলাম। সে মঠটি প্রদক্ষিণ করিয়া তৃতীয় মঠের সাহুদেশে তাবু খাটাইলাম। পথে পৰ্ব্বতগাত্রে ভাঙ্গনের চিহ্ন দেখিলাম। দূর হইতে ভগ্ন অংশগুলি মন্দির দুর্গ প্রভৃতির ন্তায় দেখায় । শুনিলাম কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে এখানে ১০ জন লাডকের অধিবাসী দস্যগণ কর্তৃক নিহত হয়। বৃত্রে আমাদের পথপ্রদর্শক অপর কয়টি তিব্বতী যাত্রীর সহিত মন্দিরের অভ্যস্তরে আশ্রয় গ্রহণ করিল। পরদিন প্রাতে (৩১শে ) জুলাই আমরা কয়েক মাইল চড়াই পথ অতিক্রম করিলাম। পূর্বরাত্রে বৃষ্টি হওয়ার দরুন পাৰ্ব্বত্য রাস্তাগুলি তুষারাবৃত হইয়াছিল । কৈলাসপৰ্ব্বতে হিন্দুর ও তিববতীর অশ্বারোহণে যাওয়া পাপকাৰ্য্য বলিয়া মনে করে। কিন্তু আমরা তুষারাবৃত পথ অশ্বারোহণে অতিক্রম করিলাম। দ্বারচীনে একজন ধনী তিব্বতী বণিকের সহিত সাক্ষাৎ হইল। তিনি এক মাসে বারো বার পদব্ৰজে কৈলাস পরিক্রম করিয়াছেন। সময় সময় ভক্তিপরায়ণ তীর্থযাত্রী বার বার উঠিয়া ও শুইয়া এই পৰ্ব্বত প্রদক্ষিণ করে। এই উপায়ে কৈলাস দর্শন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। অস্থ্য আমরা কিছুদূর পদব্রজে গমন করিলাম। পথে স্বৰ্য্যালোকে চোখ ঝলসাইয়া যাইবার উপক্রম হইল। আমাদের সহিত চশম ছিল—কিন্তু কুলীরা অত্যন্ত কষ্ট পাইল । ক্রমে আমরা দোলমাল পৌছিলাম। দোলমাল সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১৮৫৯৯ ফুট উচ্চে অবস্থিত। ঠিক অপরপাশে গৌরীকুণ্ড-হ্রদ তুষারপাতে জমাট বাধিয়া রহিয়াছে। উৰ্দ্ধ হইতে শৈলস্থলিত তুষার-স্তপ এই হ্রদটিতে পড়িতেছে। স্বেন হেডিন এই হ্রদটিকে হসে-কাবাল নামে অভিহিত করিয়াছেন । এট্‌কিনসন স্বরচিত হিমালয় সম্বন্ধীয় পুস্তকে লিখিয়াছেন যে, গৌরীকুণ্ড হ্রদ গুরুল-পৰ্ব্বতের নিকটে অবস্থিত। কিন্তু সেখানে গৌরীকুণ্ড নামে কোন হ্রদ নাই। অনেকেই এই হ্রদটিকেই গৌরীকুণ্ড বলিল। আমরা এই হ্রদের দুই খানি ছবি লইয়াছি । ভক্ত তীর্থযাত্রীরা এই হ্রদে স্বান করিয়া পুণ্য সঞ্চয় করে । গৌরীকুণ্ড হইতে আমরা ক্রমে নামিতে আরম্ভ করিলাম । নামিবার সময় বেশী কষ্ট হইল । সে রাত্রিতে আমরা চতুর্থ মঠটির নিকট তাবু খাটাইলাম । পরদিন ( ১লা আগষ্ট) আমরা পুনরায় দ্বারচীনে পৌছিলাম। আমাদের ভ্রমণ শেষ হওয়ায় এইবার দেশে ফিরিবার উদ্যোগে প্রবৃত্ত হইলাম। আমরা যে পথে অসিয়াছি, ফিরিবার সময় সে পথে যাইব না স্থির করিলাম ; কারণ তাহা হইলে পথ চলিতে আনন্দ পাইব না । এইবার আমাদের জ্ঞানিমা দেখিবার ইচ্ছা হইল। জ্ঞানিমা তিব্বতের একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও এখান হইতে তিন দিনের পথ। পথে একটিও গ্রাম দেখিলাম না। লাডকৃ-পৰ্ব্বত অতিক্রম কবিয়া ৪ঠা আগষ্ট, জ্ঞানিম পৌছিলাম। জ্ঞানিমাতে ঘর-বাড়ী দেখিলাম না –সমস্তই তাৰু। হাটে প্রায় তিন শত র্তাবু দেখিলাম। এখানে বৎসরে দুই মাস হাট বসে। তৎপরে লোকজন এখান হইতে উঠিয়া গিয়া গার্টকে বাস করে। এই হাটে সাধারণতঃ