পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) ভৈরবে Oఆ(t “ভৈরবে” ( > ) প্রিয়নাথের বয়স যখন ১২ কি ১৩, তখন দুলভ বাগ্‌দীর পুত্র ভৈরব ৭৮ বৎসরের শিশু মাত্র । বয়সের মধ্যে এতটা পার্থক্য থাকায় তাহাকে প্রিয়নাথের বাল্যসথা মোটেই বলা চলে না—সে দরকার পড়িলে ঘুড়িটা উড়াইয়া দেওয়া, ডাব পাড়া হইলে কাটারিটা চুরি করিয়া আন, মাছ ধরিবার জন্য কাঠপিপৃড়ার বাসা খুজিয়া ফিরা ইত্যাকার ফরমাইসগুলা খাটিত মাত্র । কাজগুলি সুসম্পন্ন হইলে তাহার বিশেষ কোন পুরস্কার ছিল না ; ক্রটি হইলে কিলটা চড়টা ঘাড় পাতিয়া লইতে হইত। ইহাতেও সে কেন যে ছায়ার মত তাহার নিত্যসঙ্গী হইয়া থাকিত বলা योंध्र नl ! এ-সব অনেক দিনের কথা ; ক্রমে প্রিয়নাথ খেলা ছাড়িয়া স্থশীল হইয়াছে, গ্রাম্যস্কুলে পড়া শেষ করিয়া ফেলিয়াছে এবং পরে কলিকাতা হইতে ডাক্তারী পড়িয়া সম্প্রতি চাকরী লইয়া বিদেশে বাহির হইয়া পড়িয়াছে। ভৈরবের বিশেষ কোন পরিবর্তন হয় নাই। এই যে কতকগুলা বৎসর তাহার উপর দিয়া বহিয়া গিয়াছে তাহার দাগ, ন তাহার রোগপাণ্ডুর দেহে না তাহার চিরবিষণ্ণ মনে—কোনখানেই অঙ্কিত হয় নাই । প্রিয়নাথ ছুটি পাইলেই অসিত, ভৈরব খবর পাইত ; ভাল থাকিলে দেখা করিতে আসিত—অর্থাং বাড়ীর আশেপাশে ঘুরিয়া নজরে পড়িবার চেষ্টা করিয়া ফিরিত ; অসুখে পড়িয়া থাকিলে এটুকুও অদৃষ্টে ঘটিয়া উঠিত না—অদর্শনের ব্যথাটা বুকে চাপিয়া পড়িয়া থাকিত ; “বামুনদাদা’ তো আর বাড়ী আসিয়া দেখা দিয়া যাইতে পারে না । দেখা হইলে, প্রিয়নাথের মনটা যদি প্রসন্ন থাকিত, সে মুরুবির মত দু’একটা কথা জিজ্ঞাসা করিত, নচেৎ শুধু “কি রে, ভৈরবে নাকি ?” বলিয়াই ক্ষাস্ত হইত। ভৈরব যে ইহাতেই পরিতৃপ্ত হইত এরূপ বলা যায় না, তবে ইহার বেশি পাইবার উচ্চাশাও তাহার মনে ছিল না। SBBtBBBSBBBBB BBBB BBB BBB BBB BHHC প্রথম পহু তিল, অনিৰ্ব্বচনীয় এক হৃদয়াবেগের বশে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া সে তাহার বাড়ী যাইয়া উপস্থিত হইল । কোট-প্যান্ট পরিয়া ঔষধের বাক্স হাতে তাহাকে কেমন দেখায় তাহ দেখিতে হুইবে তো ?—ক্ষণমাত্র বিলম্ব করা আর চলে না। প্রিয়নাথ ইহার পূৰ্ব্বেই চাকরী-স্থানে চলিয়া গিয়াছে, কুতরাং হতাশ হুইয়া ভৈরবকে ফিরিয়া আসিতে হইল। জরটা ২/৩ দিন একটু প্রবল হইল। মতন বাসার জন্য কয়েকট। জিনিষপত্ৰ লইতে প্রিয়নাথ বাড়ী আসিল । ভৈরবের মা আসিয়া জানাইল ভৈরবের অস্থখট একটু বাড়িয়াছে, আর সে প্রিয়নাথ ভিন্ন কাহারও কাছে চিকিৎসা করাইতে নারাজ । নূতন ডাক্তার ইহাতে একটু গৰ্ব্ব অঙ্গভব করিল। হাতে কাজ না থাকিলেও বৈকালের পূৰ্ব্বে তাহার "অবসর” হইয়া উঠিল না। নূতন-কেনা ফুট পরিয়া পকেটে অৰ্দ্ধেক বাহির করিয়া ষ্টেথোস্কোপ ও হাতে একটা ব্যাগ লইয়া যখন সে ভৈরবের কুটীরে উপস্থিত হইল, তখন ভৈরব বিছান হইতে তাড়াতাড়ি নামিয়া ঢিপ করিয়| একটা প্রণাম করিল। গম্ভীরভাবে রোগটিকে নাড়াচাড়া করিয়া প্রিয়নাথ তাঙ্গর ঠাসপাতালের একটা ‘ফর্ম’ বাহির করিয়া তাহাতে রোগীর নাম, ঔষধ ও তাঁহার সেবনবিধি ও অবশেষে নিজের দস্তথংটি পর্য্যস্থ ঘথাপদ্ধতি লিখিলে, পথ্যনির্ণয় করিয়৷ দিল এবং রোগীর ঘরটির সমস্ত দোষগুলি নিদেশ করিয়া ও আদর্শ রোগীনিবাস সম্বন্ধে খানিকটা উপদেশ দিয়া চলিয়। গেল। সেই সময় পরীক্ষা করিলে জানা যাইত ভৈরবের জর এইটুকু সময়ের মধ্যেই অনেকটা কমিয়া গিয়াছে। সে মাকে বলিল, “হ্যাদা, বামুনদ ডাক্তার হ গুয়ায় যেন বঁচা গেল, না ?” কৰ্ম্মস্থানে যাইবার পূৰ্ব্বে প্রিয়নাথ আর-একবার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া ভৈরবকে দেখিতে আসিয়াছিল এবং নিজের BBgB BS BBBBSBBS gggK BBBggSKgSggS