পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ودون في r SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS বলিয়াছিল, “এই সামান্য জ্বরে ভৈরবে এতটা দিন ভুগলে ! কে দেখছিল ছলে-বউ ?” তাহার এই আত্মপ্রসাদে সাহস পাইয়া ভৈরব তাহার বহুদিনের পোষিত একটি কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “তোমার চাকরীর জায়গায় আমায় নিয়ে যাবে, বামুনদ) ?” সে জবাব পাইয়াছিল, "একটু রোস, সেখানে জমিয়ে বসি আগে ।” ( & ) যাইবার দিন ষ্টেশনে প্রিয়নাথ দু’একবার ভৈরবকে দেখিতে পাইল—যেন একটু গা ঢাকা দিয়া বেড়াইতেছে। বিশেষ তাড়াতাড়ি বলিয়া কিছু জিজ্ঞাসা করিতে পারিল নী । গন্তব্য ষ্টেশনে নামিয়া প্রিয়নাথ কুলি ডাকিতেছে, এমন সময় পিছন হইতে ভৈরব আসিয়া ট্রাঙ্ক টার নিকট ইেটমুখে দাড়াইল, বলিল, “কুলি আর ডাকৃতে হবে না, বামুনদা।” প্রিয়নাথ একেবারে থ হইয়া গেল ; জিজ্ঞাসা করিল, “তুই এখানে ?” ভৈরব শুধু স্নেহাবেগের টানে ঘুরিতেছে, তাহার একটা অলীক জবাব গড়িয়া রাখা হয় নাই। কিছু উত্তর দিতে পারিল মা, মূঢ়ের মত নতমস্তকে দাড়াইয়া রহিল। প্রিয়নাথ আবার জিজ্ঞাসা করিল, “কি রে ভৈরবে ?" ভৈরব একবার চক্ষু তুলিয়া কাতরভাবে বলিল, “তুমি একৃলা রয়েছ, বামুনদ, বিদেশ বিভূই—“ প্রিয়নাথ হাসিয়া ফেলি, বলিল, “তাই বুঝি তুই আগলাতে এসেছিস্ ?—মন্তবড় পালোয়ান! এখন নে, তোল ; পরের কথ। পরে হবে । তোর মাকে বলে’ এসেছিস্ তো ? তোর গুণে ঘাট নেই।" ভৈরব কিছু উত্তর দিল না, ট্রাঙ্কটা তুলিয়া লইল । দুই জনে বাসার দিকে চলিল । পন্থছিয়া বোঝামাথায় উঠানের মাঝখানে দাড়াইয়া ভৈরব একবার চারিদিকে চাহিয়া দেখিল–গতিক দেখিয়া বেশ উৎসাহ বোধ হইল না । দেওয়াল দিয়া ঘেরা প্রকাণ্ড হাতার মধ্যে হাসপাতাল ও কয়েকখানা বাসাবাড়ী, সযত্বরক্ষিত ফুলের বাগান ও কয়েকট কুয়া । তীরভাঙা নদী, বড় বড় পুকুব, আগাছায় ৮৭ বড় বড় বাগান প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩০ AMAMAM MAMASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড حاص اہمے ہسے اہم حبیبر প্রভৃতি যে-সব ক্ষেত্রে যে-ভৈরব প্রিয়নাথের দক্ষিণ হস্ত ছিল, এখানে তাহার যেন কোন কাজ নাই বলিয়া বোধ হইল, এই নূতন পারিপাশ্বিকের মধ্যে তাহার প্রথম মনে হইল—বামুনদাদ ও তাহার মধ্যে অনেকট ব্যবধান আসিয়া পড়িয়াছে । এই সময় ময়লা-কাপড়-পরা একটা হিন্দুস্থানী চাকর আসিয়া তাহার মাথা হইতে ট্রাঙ্কট নামাইয়া বাড়ীর ভিতর লইয়া গেল । ভৈরবের চক্ষের সামনে হইতে ঝ। করিয়া আর-একট। পবৃদ সরিয়া গেল—ও সে যে বাগদী, অস্পৃশ্য ; বাড়ীর বারান্দায় উঠিবার তাহার অধিকার নাই যে ! আসিবার সময় এই কথা গুলা সে ভূলিল কিরূপে ? প্রিয়নাথ জামা জুতা ছাড়িয়া বাহিরে আসিল । ভৈরবকে মৌনভাবে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া বলিল, “ওপরে উঠে আয়ন রে, এখানে অত বিচার নেই ।” ভৈরবের মনটা একটু হালকা হইল বটে ; কিন্তু জাতিগত সংস্কার ঠেলিয়া আর সে-সময় সে দাওয়ায় উঠিতে পারিল না । প্রিয়নাথের এই কথাটুকুতে বেশ পরিতৃপ্ত হইয়া সিড়ির নীচে বসিয়া এ-কথা সে-কথার পর, তাঙ্গার বামুন-দাদার সেপাই হইবার বহুদিন-পোষিত ইচ্ছ। ও বৰ্ত্তমানে কত বাধা এড়াইয়া এখানে ভালয় ভালয় আসিয়া পহু ছান প্রভৃতি বিষয় লইয়া সে গল্প জুড়িয়া দিল । হাজরী দিবার জন্য প্রিয়নাথ হাসপাতালে চলিয়া গেল ভৈরব হিন্দুস্থানী চাকরটার সহিত বাঙ্গলাভাষায় বলিয়। ও হিন্দি ভাষায় শুনিয়া যতটা ধৈর্য্য রহিল গল্প করিল এবং তাহার পর বেল বাড়িয়া যাওয়াতে ও মার কথা মনে পড়িয়া যাওয়ায় মৌন হুইয়া বসিয়া রহিল । প্রিয়নাথ বাড়ী আসিয় ভৈরবকে সেই একই ভাবে বসিয়া থাকিতে দেখিয় একটু রাগিয়া বলিল, “হয়েচে । তোর নিজের শরীরেরই খবর নেই, তুই আবার আমায় আগ্লাবি ! এতক্ষণ নেয়ে ধুয়ে নিতে পারতিস নি ?" দাওয়ার এককোণে একটা ছোট কামরার তালা খুলিয়া দিয়া প্রিয়নাথ কহিল, “নে উঠে আয়; এই ঘরটাতে থাকবি তুই ।” bાન ઝિન দিলে একবাব চাচিধা সঙ্গোচ-পী ি৮ ৯