পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ१० بہم" میں۔ পাদ্রী-সাহেব পকেট হইতে দুইটা টাকা বাহির করিল। টিকিট-কালেক্টর একটু ভ্যাবাচাকা খাইয়া গেল। কিছু নী বলিয়া পকেট হইতে একটা রসিদ-বহি বাহির করিল, একটা রসিদ লিখিল, তাহার পর সাহেবের একটা টাকা টানিয়া লইয়া ও রসিদটা ছিড়িয়া দিয়া রাগত-ভাবে গঢ় গট্‌ করিয়া চলিয়া গেল । পাদ্রী-সাহেব ভৈরবকে জিজ্ঞাসা করিল, “কি করিয়া টাকো ?” ভৈরব বাক্যটার অর্থগ্রহণ করিতে ন পারিয়া পাত্রীর মুখের পানে ই করিয়া চাহিয়া রহিল। একজন ভদ্রলোক বলিল, “কি করিস্ রে ব্যাটা বলুনা তাই ।” ভৈরব বলিল, “কিছুই করি না এখন।" সাহেব প্রশ্ন করিল, “আমার চাপূরাণী হইবে ?” ভৈরব ঘাড় নাড়িয়া সম্মতি জ্ঞাপন করিল। সাহেব হস্তস্থিত একটা ভারী ব্যাগ বাড়াইয়া ধরিল। ভৈরব উঠিল এবং সেইট। হাতে লইয়া সাহেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল । সাহেবের চাপরাশী হইয়। সে সাহেবের কাছে রহিল । কাজ এমন কিছু বেশি নয়—ভৈরব প্রায় বসিয়াই থাকিত। এই বসিয়াই থাকা তাহার জীবনকে দুবই করিয়া তুলিল । প্রিয়নাথ ও তাহার মধ্যে ব্যবধানটা যেমন বৰ্দ্ধিত হইয়া পড়িল, তাহার অন্তরট টানের বেদনায় ততই টনটন করিতে লাগিল। বসিয়া বন্ধুি ভাবিবার যথেষ্ট সময় পায় —সেই সময়টাতে ঐ একটি মাত্র চিন্তাকে পরিস্ফুট করে । যেটুকু সময় সে কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকে সেটুকুও বড় অন্যমনস্ক হইতে পারে না । মনে হয় ডাক্তার-দাদার সমর্পিত তাহার জীবনের বাধা কৰ্ম্মে পাত্রী-সাহেবের কার্য্যগুলা কেবলই অনধিকার প্রবেশ করিতেছে ; সকালে বিকালে সন্ধ্যায় একটা ফরমাস তামিল করিতে গেলেই মনে পড়িয়া যায় এ-সময় ডাক্তার-দাদার জন্য কি কাৰ্য্য করিতে হুইত । পাত্রী-সাহেব সন্ধাঁর সময় ভৈরবকে লইয়া একটু বসিত। প্রথম প্রসঙ্গক্রমে যিশুর কথা আনিয়া ফেলিতে লাগিল, ক্রমে অপ্রাসঙ্গিকতাবে বাইবেল আওড়ান মুরু প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিয়া দিল । ভৈরবের মনটা সাহেবের গল্পে কতটা স বন্ধ থার্কিত বলা যায় না ; কারণ মাস দেড়েক পরে একদিন জমাট গল্পের মাঝেই সে হঠাৎ বলিয়া বসিল, “বাবা, আমার আর মন লাগৃছে না, ভাবছি যাব।” পাত্রী-সাহেব বিরক্ত হইয়া জি জ্ঞাসা করিল “কোটায় ? ভৈরব বলিল, “আমার মনিবের কাছে, ডাক্তার-দাদার কাছে।” পাত্ৰী বলিল, “যাইবে যাও, আমি ভয় করি না ; স্নডু টোমীর জন্য ভাবি—সে টোমায় অfর ষ্টান ডেবে ?” “সে আমি ঠিক করেছি। ডাক্তার-দাদা এদিন ক্রীশ্চান হয়েছে নিশ্চয় ; আর ৪ ৫ দিনের মধ্যেই বিলেত যাবে। তাকে একবার দেখিগে ; যদিন না ফিরে আসেন, রয়-সাহেবদের বাড়ী থাকবোখন বাবা। আমায়ও তুমি মস্তর পড়িয়ে নেও—আর তুচ্ছ ধর্শ্বের জন্যে ডাক্তারদাকে ছেড়ে থাকৃতে পারিনে ; ডাক্তারদা ভিন্ন আমার আর এ সংসারে কেউ নেই, বাব! —" পাত্রী সাহেবের পা জড়াইয় ভৈরব হাউ হাউ করিয়া কাদিতে লাগিল। 肇 米 轉 * তিন দিন পরের কথা । সন্ধ্যা হব-হব। কাজকৰ্ম্ম সারিয়া প্রিয়নাথ বাড়ীর সাম্নে ঘাসের উপর আরাম-কেদারায় দেহ ছড়াইয়া হামাবিষয়ক এক গান লইয়া গুনগুন করিতেছিল। পাদ্রীর দেওয়া ঢিলা-ঢালা কোট-প্যাণ্টালুন পরিয়া ভৈরব-সামনে আসিয়া দাড় ইল । প্রিয়নাথ প্রথমট তাহাকে চিনিতে পরিল না, জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” ভৈরব কাদিতেছিল, ভাঙা গলায় উত্তর করিল, “আমি, ডাক্তারদা, আবার ফিরে এসেছি।” বিস্মিতভাবে প্রিয়নাথ জিজ্ঞাসা করিল, “তা ত বুঝলুম, কিন্তু এ-বেশ কেন ?” ভৈরবের বুকটা একটা অনিশ্চিত আশঙ্কায় ধকৃধক করিতে লাগিল। প্রিয়নাথের মুখের উপর কোটরগত বড় বড় চক্ষু দুটি রাখিয়া প্রশ্ন করিল, “মিস্ রয়ের সঙ্গে বে —ইয়ে—তোমার বিলেত যাওয়ার কি হ’ল ডাক্তারদা ?” প্রিয়নাথ তাচ্ছিল্যের সহিত বলিয়া ফাইতে লাগিল, “আবে মারো ঝাড়ু ওসব দিকে আবার মানুষে যায়! আর