পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وئ،ه 8ي. ہ۔بی۔ بہمہ مہیہ حصہ سمصدھr= কলেজের ব্যয় হইয়াছিল ৬,৭৮,৫৩৭ টাকা এবং কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজের ব্যয় হইয়াছিল ১,৬৮,৯১৮ টাকা । সরকারী মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে খরচ হইয়াছিল ৭.৩৭,১৭৭ টাকা ; কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে খরচ হইয়াছিল ১,২০,৬৪২ টাকা । অতএব, দেখা যাইতেছে, যে, সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মোট খরচ হইয়াছিল ১৪, ৫,৭ ৪, কারমাইকেল কলেজ ও হাসপাতালের ২,২৯,৫৬০ । শেষোক্ত কলেজের খরচ এত কম হইবার প্রধান কারণ ইহার অধ্যাপক ও অন্যান্ত কৰ্ম্মচারীদের স্বাৰ্থত্যাগ । এই কলেজে গবর্ণমেণ্টের আরও অনেক টাকা দেওয়া উচিত তাহাতে সন্দেহ নাই। সৰ্ব্বসাধারণেরও বেশী করিয়া দান করা কৰ্ত্তব্য। রিপোর্টে দুটি প্রধান দানের উল্লেখ দেখিলাম । রায় বাহাদুর দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক দিয়াছেন এক লক্ষের উপর টাকা, স্বৰ্গীয়া মুক্তামাল৷ দাসীর উইলের এক্সিকিউটরগণ দিয়াছেন সত্তর হাজার টাকা । কিন্তু নিশ্চয়ই কিছু কিছু টাকা দিতে সমর্থ লোক দেশে আরও प्रां८छ्न्र । সরকারী মেডিক্যাল কলেজে যত ছাত্র ভক্তি হইতে চায়, তাহাদের মধ্যে শতকরা আট দশজন আন্দাজ স্থান পায় । কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজেরও অবস্থা ঐরূপ । রিপোর্টে দেখিতেছি, ০৮৩ জন ছাত্র গত বংসর ভৰ্ত্তি হইতে চাহিয়াছিল, কিন্তু কৰ্তৃপক্ষ কেবল ১১০ জনকে লইতে পারিয়াছেন । চিকিৎসকের অভাব খুবই আছে। কলেজ আরও বেশী ছাত্ৰ লইতে পারিলে বড় ভাল হয়। কিন্তু তাহ পার দূরে থাক, হয় ত বা এখন যত ছাত্র ল ওয়া হয়, কতৃপক্ষ ভবিষ্যতে লইতে অসমর্থ হইতে পারেন । কারণ, ছাত্রদিগকে কাৰ্য্যতঃ শিক্ষণ দিতে হইলে হাসপাতালে অনেক রোগী থাকা দরকার ; কিন্তু এখন যতগুলি শয্য আছে তাঁহার ব্যয়নিৰ্ব্বাহ করা কঠিন হইয়া উঠিয়াছে। স্বতরাং, হয় রোগীদের নিকট হইতে টাকা লইতে হইবে, এবং তাহা হইলে গরীব রোগীরা চিকিৎসা হইতে বঞ্চিত হইবে ; নতুবা কোন কোন ওয়ার্ড বন্ধ করিয়া রোগীর দেশে でtを「9 ংখ্যা ব মাইতে হইবে, ও তাই হইলে ছাত্রও কম লইতে । প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩• جمعیتی معیسی مسی [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড --സഫഎഫ് হইবে । একটি নূতন প্রস্থতি-ইাসপাতাল আবশুক । তাহা নিৰ্ম্মিত না হইলেও ছাত্রের সংখ্যা কমাইতে হইবে । এই-সকল কারণে সৰ্ব্বসাধারণের এবং গবর্ণ মেন্টের কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে বেশী বেশী করিয়া টাকা দেওয়া উচিত । های مomeoneع মালকান রাজপুতদের “শুদ্ধি” প্রধানতঃ আগ্রা জেলার কতকগুলি গ্রামে মালকানা নামক এক শ্রেণীর রাজপুতদের বাস, যাহাদিগকে ঠিক হিন্দুও বলা যায় না, ঠিক্‌ মুসলমানও বলা যায় না। কথিত আছে, যে, খিলজী ও মোগল রাজত্বকালে ইহাদের পূর্বপুরুষগণকে মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত করা হইয়াছিল ; কিন্তু ইহারা তাহা সত্ত্বেও অন্য মুসলমানদের সঙ্গে ঔদ্বাহিক আদান-প্রদান না করায় স্বতন্ত্রই রহিয়া গিয়াছে। কিছু দিন হইতে ইহুদিগকে হিন্দুসমাজে পুনগ্ৰহণ-চেষ্টায় হোমাদি দ্বারা ইহাদিগকে "শুদ্ধ” করা হইতেছে। তাহাতে পশ্চিমের মুসলমানসমাজে উত্তেজনার সঞ্চার হইয়াছে। মোপল বিদ্রোহ, মূলতানের দাঙ্গাহাঙ্গামা, প্রভৃতি কারণে আগে হইতেই হিন্দুমুসলমানের মধ্যে মন-কশা কশি ছিল ; তাহার উপর এই “শুদ্ধি" কাৰ্য্য আরম্ভ হওয়ায় জাতীয় একতা উৎপাদনে ব্যাঘাত হইতেছে বলিয়া অনেকে মনে করেন । এবং তাহারা বলেন, যে, এখন এই “শুদ্ধি” কায্যটা এই কারণে স্থগিত রাপা উচিত। আমরা এরূপ যুক্তির সারবত্ত উপলব্ধি করিতে অসমর্থ। প্রতি বৎসর হাজার হাজার হিন্দুকে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করা হইতেছে, হাজার হাজার হিন্দুকে মুসলমান করা হইতেছে ; তাহাতে ত কাহারও “উত্তেজনা।” হয় না। এক্ষণে যদি সনাতনী হিন্দুরা কিম্বা আধ্যসমাজী সংস্কারক হিন্দুরা এমন কতকগুলি লোককে স্বসমাজে আবার লইতে চান যাহাদের পূৰ্ব্বপুরুষের হিন্দু ছিলেন, তাহাতে উত্তেজনা হওয়া উচিত নহে। অবশ্য একথা সত্য, উত্তেজনা জিনিষটা যুক্তি তর্ক মানে না ; কিন্তু প্রত্যেক সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকদের যুক্তিতর্ক মানা উচিত, এবং নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের অযৌক্তি ক উত্তেজন প্রশমিত করিবার চেষ্টা বরা