পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মস্তিষ্ক চালনাও করিতে হয় । কিন্তু নকল করার কাজে বেশী বুদ্ধি খাটাইতে হয় না। কলম নামক যন্ত্ৰ দিয়৷ লিপিতে লিখিতে যেমন হাতে ব্যথা ধরে, তেমনি ছুতারের কোন যন্ত্র চালাইতে চালাইতেও হাতে ব্যথা ধরে, এবং ছুতারের কাজেও কাজের প্রকৃতি অনুসারে অধিক বা অল্প মাথা ঘামাইতে হয়। বৰ্ত্তমানে ভাল নকলনবীস অপেক্ষ ভাল ছুতার পাওয়া কঠিন, এবং তাহার বেতনও বেশী । অথচ নক নবীসের কাজ ভদ্রলোকের কাজ বলিয়। বিবেচিত হয়, ছুতারের কাজ ভদ্রলোকের কাজ বিবেচিত হয় না। বহু বৎসর ধরিয়া তর্ক চলিয়া আসিতেছে, যে, তাজমহলের নক্স কে আঁকিয়াছিল এবং কে উহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। কয়েকদিন আগেও দৈনিক কাগজে এই তর্ক উঠিয়ছিল এবং একজন আমর্শনী লেখক লিখিয়াছিলেন, যে, উহা আমর্শনী স্থপতির কীৰ্ত্তি । এত তর্কবিতর্কের কারণ কি ? কারণ এক্ট, যে, তাজ নিৰ্ম্মাণ এমন একটি অমর কীৰ্ত্তি যে নানা জাতির লোকে উহা নিজেদের বলিয়া ক্ষাড়াকড়ি করিতেছে। ইউরোপীয়ের। উহা ভারতীয়দের বলিয়া স্বীকার করিতে চাহিতেছে না । কেন না, স্থাপত্যের এই আশ্চৰ্য্য নমুনা যাহাদের প্রতিভা প্রস্থত, তাহাদিগকে নিক্লষ্ট জাতি বলিয়া অবঞ্জ করা চলে না । স্থাপত্য সংস্কৃত কথা, শুনায় বেশ ভদ্রগোছের । কিন্তু উহার সোজ। বাংল। রাজমিস্ত্রীর কাজ—তখন উহা আর “ভদ্র’ থাকে না ! সংস্কার এমনই প্রবল ! ছবি আঁকা পটুয়ার কাজ। অথচ ইউরোপের সেকালের এক এক পটুয়ার আঁকা এক একখানা ছবি লাখ লাখ টাকায় বিক্ৰী হয় । ভাগ্যে আমাদের বাংলায় দ্বারকানাপ ঠাকুরের প্রপৌত্রের ছবি আঁকিতে আরম্ভ করেন, তাই লোকে “চিত্রশিল্পী"র কাজটাকে অবজ্ঞা করিতে পারেন নাই। পরে “প্রবাসী” চিত্র ক্ষর কথাটাও ভদ্র সমাজে চাঙ্গাইয়াছে। যখন পটুয়া কথাটি চালাইবে, তখন আর যিনি যাহাই মনে করুন, ইহা নিশ্চিত, মে, রসিক অবনীন্দ্রনাথ খুসি হইবেন । মানুষের যা কিছু আছে, সবই ভগবানের দেওয়া । বিবিধ প্রসঙ্গ - বেকার-সমস্যা SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAAA AAAAM SAS A SAS SSAS SSAS 8ృరీ SSAS SSAS SSAS S S AAAA S AAA S AAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS তাহার মধ্যে দে ইটাকে খাটাইলে তাহা হইবে “ছোট লোকের” কাজ ( কিন্তু দেহের অংশ হাতের দ্বারা মসীযস্থ চালাইলে নহে ), আর মনটাকে খাটাইলে তাহ ছোটলোকের কাজ হইবে না। ; এমন কি যদি কোন রাজনৈতিক, ব্যবহারাজীব, বা বণিক মস্তিষ্কের সাহায্যে মিথ্যাচরণ করেন, তাহাও ছোটলোকের কাজ হইবে না ! কেবল যে আমাদের দেশেই মধ্যবিত্ত লোকেরা দৈহিক শ্রমকে “ভদ্র” বিবেচনা করেন না, তা নয় ; বিলাতেও এরূপ মনে করিবার লোক আছে, আমেরিকাতেও আছে—যদিও আমাদের দেশের মত এত বেশী নয় । আমেরিকার মধ্যবিত্ত লোকদের কোর-সমস্যার কতক সমাপান কি প্রকারে হইয়াছিল, তাহার দৃষ্টান্তস্বরূপ ক্যাথলিক হেরাল্ড অব ইণ্ডিয়া কাগজ নিউইয়র্কের সরকারী শ্রমিক বিভাগ ( New York labour Department ) ogo offers রিপোর্ট হইতে মিজের মন্তব্য সহ কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়াছেন । In this tlie New York | lepartment has recently issued a very instruc "| respect, Labour tive and liopeful report. It declares that “unemployment for those who labour with their hands is now practically non-existent. Everywhere a shortage of workers is increasingly «liseerıni ble. “This gratifying condition, so strikingly in contrast with the state of affairs in Europe, is leading to a curious social revolution. The male clerk. alaluloning his old-fashioned notions of respectalility, is discarding ‘the badge of the white collar' and lonning in its stead overalls. After generations of well-clothed indigence, he has discovered that a manual occupation offers him a life infinitely more care-free and decidedly more prosperous than a seat at an office desk. “'The emancipation of the clerk is due to two factors the restriction of immigration and the competition offered by legions of capable girl stenographers and typists. It is evidenced by the sudden appearliace, in New York and other large cities. of numerous Schools of training organized