পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ! -০১:৩৮, ১১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)TarunnoBot (আলাপ)^^^^^^ శా^^^ পিছন দিয়ে ঘুরিয়ে এনে নিজের ডান হাত ধরে ফেলুন। (২য় ছবি) । তার পর নিজের শরীরের ভর ও হাতের জোরে গুণ্ডাকে কাত করে ফেলুন। (৩য় ছবি ) । ভাল করে’ চাপ দিলে তার হাত ভেঙে যাবে। একজন বন্ধুর সঙ্গে এগুলি অভ্যাস করা দরকার। ছোরার বদলে এক টুকরা কাঠ ব্যবহার করা যেতে পারে। অ, চ. । জলকষ্ট প্রতি বৎসরই বাংলাদেশে ভীষণ জলকষ্ট হয়। আগেকার কৃত্রিম জলাশয়গুলির কতক রাজাদের খনিত, কতক দেশের ধনী লোকদের খনিত। এখন যে জলকষ্টে লোকের ক্লেশ পায়, এবং নানাপ্রকার রোগ ভোগ করে, তাহার সমস্ত দোষটা দেশের লোকদের নহে, গবর্ণমেণ্টেরও নহে। আগেকার রাজার যে বড় বড় হ্রদ, পুষ্করিণী, “বাধ” খনন ও মিৰ্ম্মাণ করাইতেন, তাহার দৃষ্টান্ত ভারতবর্ষের সব প্রদেশে দেখিতে পাওয়া যায়। বৰ্ত্তমান সময়েও হায়দরাবাদের নিজাম, মৈস্তরের মহারাজা প্রভূতি নৃপতির রাজব্যয়ে সুবিশাল জলাশয নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন । বাংলা দেশের কোথাও কোথাও আগেকার স্বাধীন নৃপতিদের খনিত জলাশয় দেখা যায়। বাকুড়া জেলায় প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুরে যে “বাধ" নামক জলাশয়গুলি আছে, তাহ রাজাদের কীৰ্ত্তি । কালক্রমে বুজিয়া যাওয়া সত্বেও ইহার অনেকগুলি দ্বারা এখনও বিষ্ণুপুরবাসীদের জলাভাব দূর হয়। প্রাচীন ও আধুনিক ভারতীয় নৃপতিদের দৃষ্টান্ত অনুসারে ভারতীয় ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট ও জলকষ্ট দূর করিতে বাধ্য । এ বিষয়ে তাহাদের দায়িত্ব যতট, তাহা তাহার কাজের দ্বার স্বীকার করেন না । ডিট্রিক্ট বোর্ড, লোকাল বোর্ড এবং মিউনিসিপ্যালিটিসমূহ এ বিষয়ে নিজেদের কৰ্ত্তব্য সম্যকৃরূপে পালনের চেষ্টা করেন না । জাপানের সাধারণ মন্ত্রীরা বৎসরে বার হাজার টাকা বেতন পান ; বঙ্গের মন্ত্রীরা পান চৌষটি হাজার। তাহারা বার হাজারে কাজ করিলে বাকী ৫২০০০এ বৎসরে ১৩টি করিয়া ছোট পুকুর হইত। তাহা হইলে তাহার বিবিধ প্রসঙ্গ–ওলাউঠার প্রাচুর্ভাব AeS eAeeMSAMSMAeeAeMA AMAM 8 Y ^^^^^^^ * * سههایی هیتیهیستویه خیبر তিন জনে তিন বৎসরে ১১৭টি পুকুর দিয়া দেশের হিত করিতে পারিতেন । আগে দেশের সম্পন্ন লোকের পুকুর দেওয়া একটি পুণ্যকৰ্ম্ম মনে করিতেন। ইহা কুসংস্কার নহে ; পুকুর দেওয়া লোকহিতকর বলিয়া সত্যসত্যই পুণ্যের কাজ । ংলা দেশের জমীদারেরা এখন আর পুকুর দেন না ( ২৪ জন হয় ত দেন), পূৰ্ব্বপুরুষদের পুকুরের পক্ষোদ্ধার করান না, এমন কি প্রজারা পুকুর দিতে চাহিলে তাহাতেও আপত্তি ! তাহারা অনেকে এখন কলিকাতার আরামই বেশী পছন্দ করেন। ভূমি সম্বন্ধে মৃতন যে সংশোধিত আইন হইতেছে, তাহাতে এ বিষয়ে প্রজার অধিকার স্বীকার করিবার চেষ্টা হওয়ায় জমীদারদের পক্ষ হইতে আপত্তি হইয়াছে। সত্য বটে, যে, জমীদাররা অনেকে ঋণগ্রস্ত ; কিন্তু তাহার জন্য দোষী প্রধানতঃ তাহারাই । বোম্বাই অঞ্চলে যেমন খুব ধনী বণিক অনেক আছেন, বঙ্গে তাহ না থাকিলেও সঙ্গতিপন্ন ব্যবসায়ী, ব্যারিষ্টার, উকীল, চিকিৎসক প্রভৃতি আছেন। র্তাহারা নিজ নিজ পিতৃগ্রামে জলাশয় খনন ও রক্ষা করিলে লোকের জলকষ্ট কিয়ৎ পরিমাণে দূর হয়। গ্রামবাসীরা নিজেও দলবদ্ধ হইয়া পুকুর খনন ও পঙ্কোদ্ধার করিতে পারেন । কৃষি ও স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যৌথ চেষ্টা করিবার উপায় একটি সরকারী আইন অনুসারে করা যায়। এরূপ চেষ্টা বাঁকুড়া জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট যুক্ত গুরুসদয় দত্ত মহাশয়ের উদ্যোগে इ३एउाछ । ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব অনেক জেলায় ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব হইয়াছে । জলের অভাবে ইহা অারও বাড়িতে পারে। শীঘ্রই বর্ষা নামিবে, তাহার লক্ষণ দেখা গিয়াছে । তাহাতে লোকে আশান্বিত হুইবে । জলাশয়সকলের ব্যবহার সম্বন্ধে সৰ্ব্বসাধারণ, অজ্ঞতা বা অন্য যে কারণেই হউক, বড় অসাবধান। কুয়া হইতে জল তুলিবার জন্য যে পাত্র ও দড়ি ব্যবহৃত হয়, তাহা