পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9३.२ কলেজের প্রিন্সিপাল ও অধ্যাপক ও স্কুলের শিক্ষকদের দ্বার নির্বাচিত হওয়া উচিত। শতকরা ১০ জনের বেশী গবর্ণমেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হওয়া छैfछेष्ठ अग्रं । । বর্তমান সময়ে সিণ্ডিকেটের অধিকাংশ সভ্য একের অমুগত। পেষ্টগ্রাজুয়েট বিভাগের সমস্ত সভাই একের অজ্ঞাবহ । স্বতরাং এক যাহা বলেন, সমষ্টি তাঁহাই মঞ্জুর করেন। সুতরাং আর্থিক অসচ্ছলতা কিছুতেই দূর হইতেছে না। একের রাজত্ব দূর করিতে পারিলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কট দূর হইতে পারে । গবর্ণমেণ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করিবার জন্ত এক আইনের খসড়া প্রস্তুত করিয়াছিলেন। সে খসড়া আমরা দেখি নাই, জনসাধারণের অবগতির জন্ত তাহ প্রকাশ করা হয় নাই। কিন্তু ভারত-গবর্ণমেণ্ট, নাকি তাহ নামঞ্জুর করিয়াছেন ; শুনা যায়, ভারত-গবর্ণমেণ্ট, নুতন এক খসূড় তৈয়ার করিয়াছেন । সেই খসড়ার দোষগুণ আলোচনার জঙ্ক শিক্ষামন্ত্ৰী মিঃ প্রভাসচন্দ্র মিত্র এক মন্ত্রশাসভ অtহান করার প্রস্তাব করেন। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন, ব্যবস্থাপক সভার কয়েকজন এবং শিক্ষামন্ত্রী ও র্তাহার সেক্রেটারী মিঃ জৈ, এন, রায় উপস্থিত থাকিবেন, এইরূপ প্রস্তাব করা হয় । সিণ্ডিকেট শিক্ষামন্ত্রীর পত্রোত্তরে লিপিয়াছেন, বৰ্ত্তমান ব্যবস্থাপক সভার আয়ু শীঘ্ৰ শেষ হইলে ; এই ব্যবস্থাপক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন জালোচিত হইতে পারে না । বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার বোঝা সহজ নহে। উহার আদাপ্ত বুঝিতে অনেক সময় লাগিবে, অতএব বর্তমান ব্যবস্থাপক সভায় আইনের আলোচনা হইতে পারে ন! । মন্ত্রী মহাশয় যে মন্ত্রণাসম্ভ করিতে চাহিয়াছেন তাহতে সিণ্ডিকেটের কোন আপত্তি নাই, কিন্তু সিণ্ডিকেটকে আগে জনাইতে হইবে, গবর্ণমেণ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে কত টাকা দিবেন । তাহ ন জানিলে সিণ্ডিকেট মন্ত্রণাসম্ভীর আলোচনায় ভাল করিয়া যোগ দিতে পরিবেন না। গবর্ণমেণ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের কিরূপ পরিবর্তন করিতে চীন, তাহাও জানাইতে হুইবে । মন্ত্রণাসম্ভীর সভাপতিপদে একজন নিরপেক্ষ লোককে নিযুক্ত করিতে হুইবে, নতুব সভার কার্য্য নিয়মিতরূপে হইতে পরিবে না । সিনেট হাউস বা ব্যবস্থাপক সভাগৃহে মন্ত্রণাসভার অধিবেশন হওয়া উচিত । সিণ্ডিকেটের চিঠিতে সার আশুতোষ প্রকট হইয়াছেন । মনেৰে বেtধ কুর জানেন না যে সার আশুতোষ সিণ্ডিকেটের সভ্য হুইয়াছেন । কিরূপে তিনি সিণ্ডিকেটের সভ্য হুইয়াছেন, তাহার ইতিহাস চমৎকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডাক্তার ভাণ্ডারকর সিণ্ডিকেটের সভ্য ছিলেন । তিনি উত্তরবঙ্গের এক্ষ বৌদ্ধস্ত প দেখিতে মাঝে মাঝে গমন করেন । এই হেতুতে তাহাকে সিণ্ডিকেটের সদস্যপদ ত্যাগ করিতে বলা হয়। ভুঞ্জিার ভাণ্ডারকর যে ফ্যাকাল্টির প্রতিনিধিরূপে সভ্য ছিলেন সার আশুতোষ ছিলেন তাহীর সভাপতি ; স্বতরাং তিনি আপনাকে ডাক্তার ভাণ্ডারকরের স্থলে সিণ্ডিকেটের সভ্য নিযুক্ত করিলেন। সুতরাং সার আশুতোষই পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের-কৰ্ত্ত হইয়াছেন । তাহীর মতানুসারেই সিণ্ডিকেট লিখিয়াছেন, বৰ্ত্তমান ব্যবস্থাপক সভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হইতে পারে না । গবর্ণমেণ্ট কত টাকা দিবে, তাহা না জানিলে গিণ্ডিকেটের সভ্যগণ মন্ত্রণাসভার নিমন্ত্রণ গ্রাহ করিতে পাব্লিবে না ; যদি মন্ত্রণাসম্ভ হয়, তাহার সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী হইতে পাপ্লিবেন না ; মন্ত্রণাসভার অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর কার্য্যালয়ে হইতে পরিবে না, উন্থ হয় সার আশুতোষের কার্য্যালয়ে না হয় ব্যবস্থাপক সভায় হইবে। শিক্ষামন্ত্ৰী সিণ্ডিকেটের পত্রেীক্তরে লিথিয়াছেন, গবর্ণমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ দিতে পারিলেন গবর্ণমেণ্টের সেরূপ অবস্থ নয়। সাড়ঙ্গার কমিশনের মতানুসারে বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হইলে ঘণ্ড টাকার প্রবাসী-গবাঢ়, HÓ2G0 { ২৩শ ভাগ; ১ম খণ্ড প্রয়োজন, তত টাকা গণমেন্ট দিতে পরিবেন মা। গবৰ্ণমেন্ট সিণ্ডিকেটের সভু্যদের সহিত পরামর্শ করিয়া নুতন আইম প্রণয়ন করিতে ইচ্ছা করেন, সেই উদ্দেন্তেই মন্ত্রণাসভা আহ্বান করার প্রস্তাৰ হইয়াছে। শিক্ষামন্ত্রীর পত্র আলোচনা করিবার জগু ৮ই জুন সিণ্ডিকেটের ও ৯ই সিনেটের অধিবেশন হইবে । সভায় যে গরম গরম বক্তত হইবে তাহার কোন সন্দেহ नाङ्के । पञांहेन शांझांtठ व6भांन बा६ न हड्रेष्ठ *ांएग्न छांशंब्र अछ यङ প্রকার আয়োজন সম্ভব তাহাই করা হইবে। আসল কথা, কোন কাজ হইবে না । কেবল ঝগড়ার স্বষ্টি হইবে । বাবু ভূপেন্দ্রনাথ বন্ধ মহাশয় মিটমাটের জন্ত দারঞ্জিলিং গিয়াছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈবেদ্যের মস্তকে বসিয়া আছেন বটে, কিন্তু আতপান্নগুলি উtহার অধীন নহে । সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে লে দ্বন্দ্ব চলিতেছে, তাহার মীমাংসার আশা নাই । বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাদে বাঙ্গালার শিক্ষিত সমাজ ছোট হইয় গেল। পরস্পরের নিন্দাবাদে মানুষের মনে হিংসা- ও বিদ্বেষ-ধঞ্জি জাগিয়া উঠিতেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানোন্নতির স্থান ন হইয়া স্বচ্ছকোলাহুলের কেন্দ্র হইয়া উঠিতেছে । আচার্য্য রায়ের কংগ্রেসে যোগদান স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায় খুলনায় জেলা কন্‌ফারেন্সের সভাপতিত্ব করিতে গিয়া কংগ্রেসের দলে প্রকাপ্তভাবে যোগ দিয়াছেন। তিনি বরাবরই “গরম" দলের লোক ছিলেন । এখন স্বরাজপ্রচেষ্টাকে বিজ্ঞানচর্চার উপর স্থান দিয়। তিনি প্রকাশ্য ভাবে নিজের মত ঘোষণা করিলেন । কংগ্রেস একজন বড় কৰ্ম্মী পাইলেন । মধ্যপ্রদেশে পতাকার সংগ্রাম আমাদিগকে দেশের জন্য কোন রাজনিগ্রহ সহ করিতে হয় নাই, ত্যাগও আমরা কিছু করি নাই। এই কারণে, যাহারা দেশের জন্ত কষ্ট স্বীকার করিতেছেন ও সাহস দেখাইতেছেন, র্তাহাদিগকে কখন দ্রাস্ত মনে করিলেও আমরা বিচারকের আসনে বসিয়া তাহাদিগকে বিদ্ধপ বা অবজ্ঞা করিতে পারি না । কিন্তু শ্রদ্ধার সহিত আমাদের ৰক্তব্য না বলিলে কৰ্ত্তব্যের ক্রটি হইবে বলিয়া বলিতেছি । সাহস, উৎসাহ, আত্মোৎসর্গ ও স্বার্থত্যাগের ক্ষমতা এবং কষ্টসহিষ্ণুতা, এসব ভগবানের দান। এই-সকল গুণের ব্যবহার এমনভাবে করা উচিত, যাহাতে উপযুক্তরূপ স্থায়ী ফল পাওয়া যায়। যোগ্য ও দক্ষ সেনাপতি ও সৈনিকগণ কেবল সাহস দেখাইবার জন্ত মৃত্যুকে বরণ করেন না ; তাহার কখন কখন, যেখানে