পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՀՆ ബു. বিরুদ্ধে অনেক কথা পড়িয়াছি । আর-একটা আকস্মিক মিল এই, যে, স্থপ্রীম কোর্টের জজেরা যাহার মুখ দিয়া নিজেদের রায় প্রকাশ করেন, জর্জ সাদারল্যাণ্ড নামক সেই দলের জজ নিজে ইংরেজ, ইংলেণ্ডে তাহার জন্ম, আমেরিকায় বসবাস করিয়া আমেরিকান হইয়াছেন। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ইংরেজ-স্থলভ বিদ্বেষ তাহার থাকা অসম্ভব নহে । কয়েকজন ভারতীয় ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন সম্বন্ধে আমেরিকায় অনেক সত্য কথা প্রচার করায় ইংলণ্ড, অস্থবিধা বোধ করিতেছেন। ভারতবর্ষের পয়সায় ইংলণ্ড, আমেরিকায় এই ভারতীয়দের কথার প্রতিবাদ করিবার জন্ত লোক রাখিয়াছেন। অতএব, কোন ভারতীয় যাহাতে আমেরিকার প্রজ হইয়া তথায় স্থায়ী বসবাস করিতে না পারে, সে চেষ্টা করা ব্রিটিশ রাজদূতবৃন্দের পক্ষে অসম্ভব নহে, বরং স্বাভাবিক । আমেরিকার শ্রমজীবীরাই জাপানী ও ভারতীয় লোকদের আমেরিকান হওয়ার দারুণ বিরোধী ; কারণ— প্রতিযোগিতা ও ঈর্ষ্য । আফ্রিকায় ভারতীয় শ্বেতকায় লোকদের অনেক শক্তি ও গুণ আছে । কিন্তু সাধারণত: শ্বেতকায় জাতিদের ( অবশ্য প্রত্যেক শ্বেতকায় ব্যক্তির নহে ) কতকগুলি ঘৃণ্য দোষ আছে । ভণ্ডামি তাহার একটি । তাহারা যে দেশেই যাক, এবং, দম্য বণিক বিজেতা শাসক মিশনারী, যাহা হইয়াই যাক, তোমাকে মানিতেই হইবে, যে কেবলমাত্র সেই দেশের লোকদের কল্যাণের জন্য সেখানে তাহার। গিয়াছে, অন্ত কোন উদ্দেশ্যে নহে । আফ্রিকায় বহু সুবিস্তৃত দেশের সমুদয় জমি হইতে তথাকার আদিমনিবাসীরা বঞ্চিত হইয়াছে, অনেক দেশের লোককে দাসের মত জোর করিয়া খাটান হয়, অনেক জাতি প্রায় নিৰ্ম্মল হইয়াছে – সবই তাহীদের মঙ্গলের জন্য । কিন্তু ভারতীয়র। কোথাও গেলেই অমনি তারস্বরে চীৎকার উঠিবে, তোমরা ত এদেশের লোকদের মঙ্গলের জন্য আইস নাই, তোমরা বাহির হও । পুৰ্ব্ব আফ্রিকায় ভারতীয়ের ইংরেজদের বহুশতাব্দী আগে হইতে প্রবাসী-আধtছ, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড جیسےھے۔ যাতায়াত ব্যবসাবাণিজ্য করিতেছে ; তখন ভারতে ইংরেজ প্রভু হয় নাই। ভারতীয়দের দ্বারাই উহা সভ্য মাছুষের বাসের যোগ্য হইয়াছে ; ভারতীয় মজুর ও মূলধনী সেখানে না গেলে তথাকার রেল ও ব্যবসাবাণিজ্য নিৰ্ম্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হইত না ; ভারতীয় সৈন্ত ব্যতীত উহা ইংরেজদের হস্তগত হইত না। কিন্তু এখন কাজ হাসিল হইয়া গিয়াছে, এখন নিকালো । আফ্রিকার সব জায়গা হইতে ভারতীয়দিগকে নানা কৌশলে তাড়াইবার চেষ্ট হইতেছে। কারণ আর কিছুই নয়—ইংরেজ দোকানদারদের ঈর্ষ। আমরা স্বদেশে কর্তা না হইলে অন্য কোথাও মানবোচিত অধিকার পাইব না। অতএব আত্মকর্তৃত্ব লাভের চেষ্টাকে এখানে সৰ্ব্বপ্রযত্নে জয়যুক্ত করিতে হইবে। সেই অর্থে ইহা খুবই সত্য, যে, আর সব কিছু অপেক্ষা করিতে পারে, স্বরাজ পারে না । কিন্তু স্বরাজলাভের জন্যই যে অন্যদিকেও অগ্রসর হওয়া দরকার। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার র্যাহার করিয়াছেন, তাহারা বিশ্বদরবারে আমাদের জায়গা করিয়া দিয়াছেন । হয়ত বা পরোক্ষভাবে তাহাতে স্বরাজলাভের কিঞ্চিৎ সুবিধা হইতেও পারে । তা ছাড়া, রাসায়নী বিছাট বাণিজ্যিক ও অন্তবিধ চেষ্টা দ্বারা স্বরাজলাভে কি কিছুই কাজে লাগে না ? স্তার প্রফুল্লচন্দ্র রায় কি বলেন ? মাসের শেষ শনিবার ব্যয়-সংক্ষেপ কমিটির প্রস্তাব-অনুসারে সরকারী আফিসে কেরানীদের মাসের শেষ শনিবারের ছুটি বন্ধ হইল। বড় বড় ব্যয়-সংক্ষেপের প্রস্তাবগুলার কি হইল ? ডিবিজন্তাল কমিশনারদের অকেজো পদগুলা উঠাইয়া দিবার এবং এইরূপ আরো কয়েকটা মোট মাহিনীর অকেজো পদগুল ছাটিয়া ফেলিবার প্রস্তাব কি শিকায় তুলিয় রাখা হইল ? একটা খাম একাধিকবার ব্যবহার, প্রভৃতি ছোট ছোট উপায়েও কিঞ্চিৎ ব্যয়-সংক্ষেপের বিরোধী আমরা নহি ; কিন্তু তাহাতে কত টাকা বাচিবে ? কলিকাতার হাইকোর্ট অবশ্য বাংলা গবৰ্ণমেণ্টের