পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা"], ,ുഹ০১:০১, ১১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)TarunnoBot (আলাপ) ০১:০১, ১১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) —সত্যি, কলকাতায় জহুখের সময় এত ভয় হয়েছিল, মনে হয়েছিল আমি আর বঁচিব না। ওটা ছিড়ে ফেল, দাও আমায় । । - FI || - - - ছুইজনে হাতে হাত দিয়া স্তন্ধ হইয়া বরিয়া রহিল। এ যেন কোন পবিত্র মুহূৰ্ত্ত, মনের সব কথা ভাষা খুজিয়া না পাইয়া নীরবতার অতল সাগরে হারাইয়া গিয়াছে। চিঠিখানি রমলা কলিকাতায় রোগশয্যায় লিখিয়াছিল। লিখিয়াছিল – “আমি যদি মরি, তুমি খুব কষ্ট পাবে জানি । কিন্তু খুব দুঃখ কোরো না, তা হ’লে আমি পরলোকে গিয়ে শান্তি পাব না । তোমার মত স্বামী পেয়েও যদি মরি, সে আমার পরম দুর্ভাগ্য, আর তোমার কোলে মাথা রেখে মরুব এমন সৌভাগ্য আর কি আছে। মরার পর মানুষ বেঁচে থাকে কি না জানি না, আমার বোধহয় থাকে, আমার আত্মা তোমার ভালবাসা পরজন্মে গিয়েও ভুলবে না। জানি তোমার খুব কষ্ট হবে, কিন্তু যিনি প্রেমের দেবতা, আমাদের মিলন ঘটিয়েছেন, তিনি তার শান্তিমঙ্গলময় কোলে টেনে নেবেন, তোমার কোল ছেড়ে আমি তার কোলেও যেতে চাই না, কিন্তু জীবনে ত আমাদের ইচ্ছা পূর্ণ হয় না । “তুমি থোকাকে শুধু দেখে, আর মাধবী যদি খুঁকীকে মামু্য করতে চায়, তাকে দিয়ে দি ৪, ও তার godmother হ’তে চেয়েছিল। ও আমাদের খুবই ভালবাসে । এবার ও বদলে যাবে, ও সত্যি খুব ভাল মেয়ে। কিন্তু জীবন ওকে ব্যঙ্গ করেছে বলে ও জগৎকে ব্যঙ্গ করতে চায় ; ভাগ্য ওকে কাদিয়েছে বলে ও ভাগ্যের সঙ্গে তাল ঠুকে হাসতে গেছে, কিন্তু এবার ও সত্যি ভাল হবে। . “দেখ, আমার সব গয়না খোকার বউকে দিয়ে গেলুম, আর সব জামাকাপড় খুকীকে ; শুধু মুক্তার হারছড়া তুমি গলিতের বউয়ের জন্তু রেখ। ললিতকে আমার ফাউনটেন পেন্টা, কাজীকে আমার হাতীর-জাতের বান্ধটা স্বার হাফেজের বইখানা, যতীনবাবুকে আমার দোলানো চারটা আর মাধবীকে আমার পিয়ানো আর ভেলভেটেধান খাতাটা দিও g +গৰ জিনিষ ভূমি রাখলে,”

  • ծIl

లి) ബ میباجی خاصمستحکمیته রোজ দেখে তোমার কষ্ট হবে। আমার নামে জমানে যা টাকা আছে, তা কোন বালিক-ইস্কুলে মামাবাবুর নামে দান কোরো । “তোমাকে ত আমি আমার দেহ-মন সমস্ত জীবনই দিয়েছি, মৃত্যুর পর তোমারই থাকব। তোমাকে প্রথম দিন দেখেই আমার দেহ-মন ফুলের মত ফুটে উঠেছিল, আজ তোমারই পায়ের তলায় সে ঝরে পড়ছে। তোমার প্রেম পেয়ে আমার জীবন সার্থক হয়েছে, যিনি গ্রেমের দেবতা, জন্মমৃত্যুর নিয়ন্ত, তাকে বার বার প্রণাম করে’ খোকাখুকীদের তোমার কাছে রেখে আমি স্থখে মক্কুছি, জন্ম-জন্মান্তরের প্রিয়তম তুমি।” এই চিঠিখানি রজত কতবার চোখের জলে ভিজাইয়া পড়িয়াছে। ধীরে চিঠিখানি পকেটে রাখিয়া স্বার-গিজের নীল-পাহাড়ের-দিকে-চাওয়া রমলার মুখখানির দিকে চাহিয়া বলিয়া উঠিল,—কি সুন্দর ! মৃদু হাসিয়া রমলা বলিল-কি ? —তুমি, বলিয় রজত তাহার গালে তিলের উপর চুমে থাইল । রমলা ধীরে বলিল,—আচ্ছা, দেখ, এই পাহাড়টা, খুব বেশী দূর ? নদী পেরলেই পৌছান যাবে ? → তোমার যেতে ইচ্ছে করছে ? —ভারি ইচ্ছে করে পাঙ্গড়ের শালবনে গিয়ে ঘুরতে । —আচ্ছ। সেরে ওঠ । —ব, বেশ ত সেরেছি। আচ্ছা, মাধবীর চিঠিখানা কি তোমায় দেগিয়েছি ? =দেখেছি। & —দিব্যি আছে তারা জঙ্গলে । লিখেছে, তাদের নতুন জীবন আরম্ভ হয়েছে। আহ, দেখ, কি স্বন্দর কচি ঘাস ! চেয়ার হইতে নামিয় রমলা রঙ্গতের পাশে বসিয়া ঘাসগুলির উপর হাত বুলাইতে ‘ লাগিল, যেন তাহার কোমল স্বকুমার শিশুর দল । রসহীন রুক্ষ রুজ প্রাস্তরে শুক ভূমি ভেদ করিয়া জীবনের জয়ধ্বনির মত এই সবুজ শিশুগুলি আলোর দিকে মাথা তুলিয়া চাহিয়া আছে, সবাইকার পায়ের তলার পেৰণে-পেষণেই তাহাদের যাত্রা ;