পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8తిషి প্রবালী—আষাঢ়, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA SAAAAAM MMMAAA AAAA AAAAeeA AMM MA AMMAAASAASAASAASSAAAAAAS AAAAA AAAAMMAA ASASASAeM MMMAAAMMAMASAMAMMAeeAAMMMMMMMSMMMMMAAMMAAJJSAAAAAAAS করিলাম। পথে মাঝে মাঝে চাষার আমাদের গাড়ীর মিছিলের দিকে কৌতুহলপূর্ণ দৃষ্টি দিবার জন্ত থমকিয় দাড়ায়। শীঘ্রই আমরা উদ্যান-বাটিকার নিকটবর্তী হইয়। সান্ত্রীদের মধ্য দিয়া অগ্রসর হইলাম। এই প্রহরীরা কৃষ্ণসাগরের উপকুলবাসী স্বেচ্ছাসেবক—প্রত্যেকের খাস পুরুষোচিত চেহারা, এবং প্রত্যেকেই আপাদমস্তক রণবেশে সজ্জিত । “আমাদের কোচ ম্যান সেনাপতির ( কমাল পাশার ) বাড়ী দেখাইল—তুৰ্কী স্থাপত্যরীতিতে শৈলরাশির উপর নিৰ্মিত বেশ বড় বাড়ী । মেজর ও এডিকং মামুদ বে আমাদিগকে দ্বারদেশে স্বন্দর রকম প্রত্যুদগমন করিলেন, এবং আমরা একটি বৃহদায়তন প্রাচ্য বৈঠকখানায় প্রবেশ করিলাম—তাহfর মধ্যে একটি সরোবর। একটি দরজা খুলিল এবং আমরা পাশা মহাশয়ের খাস্ কাম্রায় প্রবেশ করিলাম। সেখানে তাহার পত্নী লতিফ থাকুম এবং প্রধান মন্ত্রী রেীফ, বে ছিলেন। রেীফ, বে ইংরেজ ও আমেরিকান সাংবাদিকদিগের জন্য দ্বিভাষীর কাজ করিবেন। “সেনাপতির কথাবার্তা এমন, যে, তাহাতে মন ডুবিয়া যায় । তিনি শাস্ত ও গম্ভীরভাবে, প্রত্যেকটি কথা ও , ন করিয়া, কথা বলিতেছিলেন, এবং নূতন তুরস্ক ও র্তাহার আশা সম্বন্ধে কথা কহিতেছিলেন। ইস্মেং পাশা আসিয়া পড়ায় আমাদের কথোপকথনে বাধা পৃড়িল । কিন্তু লতিফ খাছম খুব দ্রুত ইংরেজী ও ফরাসী বলিতে পারেন ; তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলিতে কুরু করিলেন, এবং তুরস্ক সম্বন্ধে, বিশেষতঃ তুৰ্কী নারীদের সম্বন্ধে, তাহার অনেক হৃদগত কথা বলতে লাগিলেন । পাচটার সময় ভোজন-কক্ষে চ দেওয়া হইল। বাড়ীর কত্রী স্বয়ং চ ঢালিয়া দিয়া, এটা ওটা খাইতে অনুরোধ করিয়া, আদর আপ্যায়ন করিলেন, এবং কেমন করিয়া কমাল পাশার সহিত ঔপন্যাসিকভাবে তাহার বিবাহ ঘটিয়াছিল, তাহাও বলিলেন । [ তাহ নিম্নলিখিতরূপ । ] “স্মার্ণার চারিদিকের পাহাড়ে তুর্কদের কামান-গৰ্জ্জন শোনা যাইতেছিল। গ্ৰীক সৈন্যদল পলায়নপর হইয়াছিল —বিজয়ী সৈন্তদলের আগে আগে মুস্তাফ কমাল পাশা অগ্রসর হইতেছিলেন। র্তাহার পথরোধ করে, তাহার সাম্নে দাড়ায়, কাহার সাধ্য ? একদিন প্রাতে তুর্ক ঘোড়সওয়ার সৈন্যদল স্মার্ণ প্রবেশ করিল। লতিফ খাতুম স্মার্ণার একজন সম্লান্ত ব্যক্তির কন্যা, প্রকৃত স্বদেশপ্রেমিকের মত মহানুভব সেনাপতির স্মার্ণ। আগমনের জন্ত উদগ্রীব হইয়াছিলেন। তিনি নিজের পিতাকে বলিয়া রাখিয়াছিলেন, যে, সেনাপতি মহাশয়কে যেন তাহীদের বাড়ীতে আতিথ্য স্বীকার করিতে অনুরোধ করা হয়। লতিফা খাতুম স্বয়ং তঁহিীকে নিমন্ত্রণ-পত্র দিতে গিয়াছিলেন । তিনি ভয়ে ভয়ে অথচ প্রশংসমান হৃদয়ে নিমন্ত্রণ-পত্র দিলেন ; কমাল পাশা তাহা গ্রহণ করিলেন । কয়েক সপ্তাহ পরে সেনাপতি র্তাহার পাণিপ্রার্থী হইলেন। “জয়লাভের পর দেশের সকল অঞ্চল হইতে সেনাপতি যে সব চমৎকার উপহার পাইয়াছেন, উদ্যানবাটিকা হইতে চলিয়া আসিবার পূৰ্ব্বে, তাহার উপর তাড়াতাড়ি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া লইলাম—স্বন্দর স্বন্দর গালিচ, মূল্যবান রত্নখচিত সোনার বঁাটযুক্ত ভাল ভাল তলোয়ার, ইত্যাদি। তথন সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। সেনাপতি মহাশয় স্বয়ং দ্বারদেশ পৰ্য্যন্ত আসিয়া আমাদিগকে বিদায় দিলেন।” ২১১ নং কর্ণওয়ালিস্ ট্রীট ব্রাক্ষমিশন প্রেল হইতে শ্ৰীঅবিনাশচন্দ্র সরকার দ্বারা মুদ্রিত ও প্রকাশিত। সম্পাদক শ্রীরামানন্দ চট্টোপাধ্যায়। প্রবাসীর অগ্রিম বার্ষিক মূল্য ৬• । প্রতি সংখ্যা ॥• । ২১-৩/১ কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা ।