পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAJJJMMMeAMAM AMMMMMM MMM AM AMAMJAMMMM eeAM MMMAMMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA S AA AAS বিজয়-যাত্রায় বেরিয়েছে । পারস্যের যে বণিকের কাছে তক্ষশিলায় প্রতিবৎসর মোতি কিন্তুম, তার সঙ্গে চন্দ্রভাগার তীরে দেখা হ'ল ; তার মুখে শুল্লুম্ এই অলীকস্বন্দর পারস্য-ভূমিকে শ্মশানে পরিণত করেছে। রাজপ্রাসাদ শুধু কেড়ে নিয়েই তৃপ্ত হয় নি, বৰ্ব্বরের মতন অগ্নিসাৎ ভস্মসাৎ করেছে । পারস্যের ধৰ্ম্মগ্রন্থের পুথি টুকরো টুকরো ক’রে ছিড়ে আবর্জনার স্তুপে নিক্ষেপ করেছে ।" “এই অমানুষ ভারতে এসেছে ?” *ই্য, এসেছে । গান্ধীর, কপিশা, কঙ্গাপপুর, হস্তিদুর্গ আজ তার পদানত ৷ তক্ষশিলার পরশ্ৰীকাতর রাজা বিতস্তা-মগুলের মহাপৌরবকে জন্ম করবার অভিপ্রায়ে এর সঙ্গে মিতালি করেছেন, ভেট পাঠিয়েছেন। হিন্দু প্রজার এই যবন-প্রীতির আতিশয্যে সমস্ত পঞ্চনদ আজ মহাপূষণের বৈরী। তক্ষশিলার সৈনিকের তলোয়ার ফেলে দিয়ে অন্ত রাজার কাছে চাকুরী নিতে চলেছে । ব্রাহ্মণের টোল বন্ধ করে ছাত্র পুত্র নিয়ে দেশান্তরী হচ্ছে। বণিকেরা তলে তলে নিজেদের ধন-সম্পত্তি স্থানান্তরিত করছে। পঞ্চনদের সমস্ত লোকের দৃষ্টিই এখন মগধের দিকে । সকলের গতিই প্রাচ্যের অভিমুগে..ব্যাপার দেখে আমীকেও দেশের দিকে ফিরতে হ’ল । কপিশায় গিয়ে আপনার জন্যে দ্রাক্ষায়-তৈরী কপিশায়ন মুরা আর আনা হ’ল না ...ফিরতি-বেলায় শুনলুম্‌ তক্ষশিলার কাছে স্থলুক সন্ধান পেয়ে যোন-মণ্ডলের এই বিশ্ব-দস্থ্য পাণ্ডুকুলের চূড়ামণি জন্মে জয়ের বংশধর মহাকৌরবকে নাকি পরাজিত করেছে।--ভারতবর্ষের দুর্ভাগ্য স্মরণ ক'রে ধিক্কারে মন ভরে উঠল।” এই পৰ্য্যন্ত বলে আম্বশঙ্কর একটু থামৃতেই সকলে বলে উঠল, “তার পর কি হ’ল ? তারপর ?” “তার পর বৈশালীর দিকে ফিরে আসছিলুম, পথে শুনলুম্ মগধের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ বেধেছে। বাঘের মুখ থেকে কুমীরের কবলে গিয়ে পড়লুম। পাচ শো বয়েল-গাড়ীর ধুরে ঘুরিয়ে শত্রুর হুন্দোর বাইরে দিয়ে সরে পড়বার চেষ্টায় ছিলুম, কিন্তু হ'ল না, মগধের এক বণিকূ-চরের ছলনায় ভুলে মগধের ঘাটিতেই গিয়ে পড়লুম। শত্রুর হাতে সৰ্ব্বস্ব সমর্পণ করতে বাধ্য হ’য়ে নজরবন্দী হলুম। পাগড়ীর ভিতর শুকপার্থীর কণ্ঠ-রোমের মতন কতকগুলো সুন্দর পান্না লুকোনো ছিল, সেগুলো পৰ্য্যন্ত গেল।” “তার পর ?” "তার পর আর কি ? বৈশালীর দ্বারগ্রামে এলে স্ত্রীপুত্রের মুখ না দেখে থাক। বড়ই অসহ বোধ হ’ল । তাই, ক'দিন ধরেই নগর-প্রবেশের সুযোগ খুঁজছিলুম। শেষে সুযোগও পাওয়া গেল। আমার কাছ থেকে কেড়েনেওয়া ‘প্রসন্না’ মদ অধিকমাত্রায় পান ক’রে কাল রাত্রে আমার প্রহরী একটু অতিরিক্ত প্রসন্ন হয়েছিল। সেই অবসরে রাত্রের অন্ধকারে স’রে পড়লুম। আমি জানতুম্ শূৰ্পগ্রামের দিক্কার পরিখায় কুমীর নেই, তা ছাড়া ওদিকে শ্মশান ব'লে বেতালের ভয়ে দুঃসাহসী তীক্ষ্ণ সৈনিকেরাও রাতে ওদিক্কার পথ বড়-একটা মাড়ায় না, তাই গুড়ি মেরে এক-রকম নগ্ন অবস্থায় চৈত্য-কুঞ্জের ধার দিয়ে দিযে পরিখার জলে নেমে পড়লুম। তার পর অতিকষ্টে প্রাচীর বেয়ে উঠে বৈশালীর বিশ্বস্ত প্রহরীদের বিনিদ্র সতর্কতার গুণে ধরা পড়ে গ্রহারের চোটে সংজ্ঞা হারালুম । যখন জ্ঞান হ’ল, সৰ্ব্বাঙ্গে ব্যথা, জিজ্ঞাসায় জানলুম্ আমি সেবা-ঘরে । যিনি আমার শিয়রে দাড়িয়ে ছিলেন, সংজ্ঞা ফেরবার পূৰ্ব্বেই তিনি আমায় এক-রকম চিনে ফেলেছিলেন, পরে দু’চার কথায় সমস্তই পরিষ্কার হয়ে গেল । সেবা-ঘরের আমার সেই বন্ধুটি হচ্ছেন আমাদের সেনানায়ক বল গুপ্ত * আম্বশঙ্করের কথা শেষ হ’লে মহাসম্মত ধনুগ্রহ জিজ্ঞাসা করলেন, “মগধের শিবিরে আপনি ছিলেন ক'দিন ?”

  • তিন দিন ।”

“ভাব-গতিক কিরূপ?" “সৈন্য-ভোজ্যের কোনো অভাবই নেই, সুতরাং ছাউনী নাড়বার কোনো তাড়াও নেই ...যোজনাস্তর স্থানীয় দুর্গ বসিয়েছে। এই-সব থানা সৈনিকে পরিপূর্ণ। সুতরাং মগধ থেকে সৈন্ত-ভোজ্য আসবারও কোনে! বিঘ্ন ঘটবে বলে বোধ হয় না। বুনো বা পাহাড়ীর দাত ফোটাতে পারবে ন৷ ”