পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সহায়তা করিয়াছিলেন র্তাহীদের নাম ভীষ্ম ভট্ট, নানা পাঠক, মণিরাম পাঠক, মণিরাম ভট, শিব, অনস্তরাম ভট্ট, রুপারাম, বিষ্ণহরি, কৃষ্ণচন্দ্র, রামেক্স, গোবিন্দরাম, হরিকুষ্ণ ভট্ট, কালিদাস । শেষোক্ত তিন ব্যক্তি আদলতের নিযুক্ত পণ্ডিত ছিলেন। পণ্ডিতগণ হোমাদি ক্রিয়া ও গণেশের পূজা সমাপনপূর্বক আমাকে উপস্থিত হইবার নিমিত্ত অনুরোধ করিয়া পাঠাইলে আমি দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের দারোগাদ্বয় সহরকতোয়াল এবং আদালতের কৰ্ম্মচারী ও বেনারসের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ সমভিব্যাহারে বিচার-স্থলে পৌছিয়| তখনও রামদয়ালকে বলিলাম, ‘তুমি এরূপ বিচারে সম্মত হইও না ; কারণ যদি তোমার হস্ত দগ্ধ হয়, তাহা হইলে ফরিয়াদি যে-সমস্ত দ্রব্যাদি অপহৃত হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করিয়াছে, তৎসমুদায়ের মূল্য তোমাকে দিতে হইবে ; সঙ্গে সঙ্গে সকল সমাজেই তোমার অখ্যাতি প্রচার হইবে।” রামদয়াল আমার কথা শুনিল না, কিন্তু তৈল-পরীক্ষার নিমিত্ত প্রস্তুত হইয়া উত্তপ্ত ভৈলে হস্ত নিমজ্জিত করা মাত্র তাহার হস্ত দগ্ধ হইল। তখন সমাগত পণ্ডিত-মণ্ডলীর মতামত জিজ্ঞস করা হইলে তাহারা একবাক্যে বলিলেন, ‘আসামীর অপরাধ সাব্যস্ত হইয়াছে, স্থতরাং অপহৃত দ্রব্যাদির মূল্য ফরিয়াদিকে দিতে সে বাধ্য। উক্ত মূল্য যদি পাচশত আশ রফির অধিক হয়, তাহা হইলে শাস্কের বচন-অনুসারে তাহার হস্ত ছেদন করা বিধেয় । পণ্ডিতেরা এইরূপ মত প্রকাশ করিলে আমি রামদয়ালকে অপহৃত দ্রব্যের মূল্যস্বরূপ ফরিয়াদিকে সাত শত টাকা দিবার আদেশ করিলাম। কিন্তু আসামীকে অন্য কোন প্রকার শাস্তি দেওয়া হইল না।” এই দুইটি মোকদ্দমার কাগজপত্র কলিকাতায় কর্তৃপক্ষগণের নিকটে প্রেরিত হইলে, তাহারা সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। গবর্ণর জেনেরল ওয়ারেন হেষ্টিংস সেইসমস্ত কাগজপত্র দৃষ্টি করিয়া যে যে প্রশ্ন করিয়াছিলেন, আলি ইব্রাহিম খার উত্তর সহ তৎসমুদয় নিম্নে প্রদত্ত হইল ঃ– ඌද් ! উত্তর। “হোম” শব্দের অর্থ কি ? দেবতাগণকে প্রসন্ন করিবার নিমিত্ত 4 b-8 ভারতের প্রাচীন বিচারপদ্ধতি 8¢ዓ SAeeAeAMMAMAMA MAMAMAeMMMeAMAS AMAMAeS eeSAMAM eeAM MA AAAASAAAA র্তাহাদিগকে যে-সমস্ত উপহার দেওয়া হয় তৎসমুদ্রয়ের নাম “হোম”। এই উপহার ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হইয়া থাকে । অগ্নি-হোম করিতে হইলে পলাশ, গদির, রক্তচন্দন ও পিপল কাঠ, কুশর, ক্লষ্ণতিল, ঘব, তণ্ডুল, ইক্ষু, স্কৃত, খর্জুর এবং অন্যান্য দ্রব্য অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। প্রশ্ন । হোম কত প্রকারের হইয়া থাকে ? উত্তর । ভিন্ন ভিন্ন উপলক্ষে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হোম করিতে হয়, কিন্তু উত্তপ্ত লৌহ এবং ভৈল পরীক্ষায় একই প্রকারের হোম হইয়া থাকে। প্রশ্ন। "মন্ত্র” শব্দের অর্থ কি ? উত্তর । পণ্ডিতেরা ঐ রূপ তিনটি শব্দ প্রয়োগ করিয়া থাকেন,—মন্ত্র, যন্ত্র, তন্ত্র । মন্ত্র অর্থে কতিপয় দেবতার নাম-সম্বলিত বেদ হইতে উদ্ধৃত শ্লোক। যন্ত্র অর্থে অভিলষিত বস্তু প্রাপ্ত হইবার নিমিত্ত কতকগুলি অঙ্কের প্রয়োগ । তন্ত্র শব্দের অর্থ একপ্রকারের ঔষধ, যাহা শরীরের কোন স্থলে প্রয়োগ করিলে সে স্থলে কোনরূপ আঘাত লাগিতে পারে না । এইরূপ শুনা যায় যে এই ঔষধ হস্তে মাথিয় সেই হস্ত দ্বারা উত্তপ্ত লৌহ-বৰ্ত্তল ধরিলে হস্ত দগ্ধ হয় না । প্রশ্ন। যে আসামীর বিচার উত্তপ্ত লৌহ বৰ্ত্তলের সাহায্যে হইয়াছিল, তাহার হস্তে কতগুলি যব দধিতে ভিঞ্জাইয় দেওয়া হইয়াছিল ? উত্তর । নয়টি মাত্র । প্রশ্ন । তৎকালে সে ব্যক্তির মানসিক অবস্থা কিরূপ ছিল ? উত্তর । তাহর সম্পূর্ণ জ্ঞান ও বিবেচনা-শক্তি ছিল ; কিন্তু সে একটু ও উদ্বিগ্ন হুইয়াছিল বলিয়া বেধি হয় না । প্রশ্ন। যে ব্যক্তির মোকদ্দমায়ু তৈল-পরীক্ষা হইয়াছিল, তাহার মানসিক অবস্থ। কিরূপ ছিল ? উত্তর । সে প্রথমে ভীত হইয়াছিল, কিন্তু তৈলপরীক্ষায় তাহার হস্ত দগ্ধ হওয়ার পরেও সে পুনঃ পুনঃ বলিয়াছিল “আমি নির্দোষী।” কিন্তু পরীক্ষার পূর্বে সে চুক্তি করিয়াছিল যে যদি তাহার হস্ত দগ্ধ হয়, তাহা