পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&ტა SAMMeeeMMMMM MMMMMMMMMMAMAMMMMMMMMMMMAMMM নাম আর তারিখ এই রকমে লেখা হবে ।” હજલ્લાના નાનક অতুলের হস্তে দিল । অতুল নিবিষ্টমনে সেই লেখ ও স্থত। পর্য্যবেক্ষণ করিয়| কহিল, “ত হবে ।" তাছার পূব প্রসন্ন দীপ্ত মুখ সুরেশ্বরের দিকে ফিরাইয়। স্মিতমুখে কহিল, “আমি জানি বলে তাই বুঝতে পারলাম এ স্থতে। দিদিমণির কাট। ; আর কেউ দেখলে বলত বিলিতি স্ততে ।” সুরেশ্বর মুছ হাসিয়া কহিল, “ষ্ট্য। স্থতোট। ভারি চমৎকার কাটা হয়েছে।" অতুল নিৰ্ব্বাচনের জন্য করেশ্বরের হস্তে দিল । বলিয়া কয়েক প্রকারের তসরের " আলিয়। তন্মধ্যে সেট। সৰ্ব্বাপেক্ষ ঘোর রঙের সেইট। বাছিয়। দিয়া সুরেশ্বল কহিল, “এইটে হ’লেষ্ট বেশ চলবে ।” অতুল নিৰ্ব্বাচিত স্থত র গোছটি 8রেশ্বর কর্তৃক আনীত সাদা তার সহিত রাপিয। মুতুম্বরে কহিল, “মন্দ হবে না। তবে বাজার থেকে খানিকট বাদানী রঙের জাপান সিন্ধ কিনে এনে পাড় করলে খাস দেখতে হ’ত । অতুলের কথা শুনিব বেশ্বর সবিস্ময়ে কহিল, “জাপানী সিল্ক কি বল্‌ছ অতুল ? বিল ক্ৰী শিল্প চলবে ন, আর জাপানী সিধ চলবে এ কথা তোমাকে কে বললে ? আশ্চয্য ! এ কথাটা তোমাদের কিছুতেই বুঝিযে উঠতে পারলাম না যে জাপানী জিনিস ব্যবহার করা আরও অন্যায় আমাদের পক্ষে । বিলাত্ৰী জিনিস ব লহার করব ন! এ ত আমাদের পণু নয় ; আমাদের পণ হচ্ছে বিদেশী জিনিস ব্যবহার જરૂરી | | রাজীব নামে আর-একজন তাতী দূর হইতে এই আলোচন শুনিতেছিল ; সে নিকটে আসিয় প্রণাম করিয়া নমস্বরে বলিল, “দি স্থ বলি জাপানের সঙ্গে ত আমাদের কোন ঝগড় লেই ৷’’ ફાલવા ત્રાલૌન જિન મિલિયા કિન, ”ડા ફ'નકે বুঝতে পারছি এ ব্যাপারটা আমাদেব ঝগড়ার নয়, এ এবে বারে পরোপুরি ভালবাসাব ব্যাপাব । দেশকে ভালবাসি ভাই দেশেপ জিনিস ব্যস্তাব করব । দেশ দরিদ্র তাই বিদেশেব জিনিস ব্যবহার করে দেশকে আরও দরিদ্র কবুল ন; ৷ এক্ট ত সহজ কথা ।” প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড এ সহজ কথা অতুল ও রাজীব কতদূর বুঝিল তাহা ভগবানই জানেন । কিন্তু মুখে তাহারা তা বটে’ বলিয়া পরস্পরের দিকে নিরাপত্তি ভরে চাহিয়া রাহিল । [ a শুক্রবার প্রাতে চ পীনের পর প্রমদাচরণের ড্রয়িংরুমে সকলে সমবেত হইয়াছিল। যথারীতি বিমানবিহারী ত ছিলই, তদুপরি দলের মধ্যে আজ একজন নুতন ব্যক্তি উপস্থিত ছিল । ইহার নাম সজনীকান্ত মিত্র, বয়স আঠুমানিক চল্লিশ বৎসর। ইনি গুহকত্রী জয়ন্তী দেবীর কনিষ্ঠ সহোদর, সেই হেতু প্রমদাচরণের আ-ভূত্য বিমান পৰ্য্যস্ত সকলেরই মামাবাবু। যশোহরের সব জজের অফিসে ইনি বিশেষ এক দায়িত্বপূর্ণ কৰ্ম্মে অধিষ্ঠিত। গৃহমধ্যে প্রচার, সমগ্র জেলার স্থা বর ও অস্থাবর সম্পত্তি, ঘাহা আদালতের অধিকারভুক্ত হয় বা হইতে পারে, ইহারই হস্তে ন্যস্ত ; ইনি অভিলাষ করিলে যথেচ্ছ বিক্রয় বা বিক্রয় হইতে বক্ষা করিতে পারেন । মাসিক বেতন ইনি কত পান তাহ কেহ ঠিক অবগত নহে, তবে এমন একটা কথা সকলেরই শুন আছে যে মাহিন নামে যে টাকাট ইনি মাসে মাসে সরকার বাহাদুরের নিকট হইতে সেলামি পান গৃহে আসিবার পথে তাহার সবটা দান করিয়া আসিলেও ঠগর পক্ষে বিশেষ লোকসান ইয় না । পূজার ছুটির দীর্ঘ অবকাশ ভগ্নীর গৃহে অতিবাহিত কবিবার অভিপ্রায়ে ইনি দুইদিন হইল কলিকাতায় আসিয়াছেন। আসিবার সময়ে যশোহর হইতে দুই টাকার ছানাবড়া লইয়া আসিয়াছিলেন যাহ। একদিনেই নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে, কিন্তু তাহার আলোচনা কিছুতেই শেষ হইতে চাহে না । কথা হইতেছিল কলিকাতার রসগোল্লা ও শোহরের ছানবিড়া এতই ভয়ের মধ্যে কোনটি অধিকতর স্বাছ । আলোচকবর্গের মধ্যে কলিকাতার রসগোল্লার আস্বাদ সকলেরই পরিচিত ; যশোহরের ছানাবড়ার আস্বাদ,—অভিজ্ঞতা ও অঙ্গসন্ধানের দ্বার,~—তাহারা যেরূপ পাইযাছিলেন মান্য অতিথিকে শ্যালক এবং