পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ७ष५ श्ब्रभां, शभिज्ञां ७द९ दिभांन चनरूहे इहेग्रां পরস্পরের প্রতি অর্থপূর্ণ দৃষ্টিপাত করিল। ক্ষণকাল পরে স্বরেশ্বর কক্ষে প্রবেশ করিল এবং সকলকে অভিবাদন করিয়া একটা চেয়ারে উপবেশম করিল । তাহার হস্তে . লীল-ফিত-বাধা একটা কাগজের বাকুস । সজনীকাস্তকে নির্দেশ করিয়া সুমিত্রা কহিল, “সুরেশ্বরবাবু, ইনি আমার ছোটমামা, পরশু এসেছেন।” তাহার পর সজনীকান্তর দিকে চাহিয়া কহিল, "এর পরিচয় ত তুমি আগেই পেয়েছ মামাবাবু।” বিশেষরূপে পরিচয়লাভের পর স্বরেশ্বর পুনরায় যুক্তকরে সজনীকান্তকে অভিবাদন করিল। তদুত্তরে কোনপ্রকার প্রত্যভিবাদনের লক্ষণ প্রকাশ না করিয়া উপেক্ষতরলকণ্ঠে সজনীকান্ত কহিল, “তোমার কখা সব শুনেছি । সেদিনকার ব্যাপারটা ছোট করে লিখে দিয়ে ত, আমাদের দেশের কাগজে ছাপিয়ে দোবো। সম্পাদক আমাকে খুব খাতির করে, বুঝেছ কি না, নিশ্চয় ছাপাবে !” এই নিঃসঙ্কোচ নিরধিকার তুমি সম্বোধনে সকলেই, এমন কি জয়ন্তী পৰ্য্যন্ত, বিস্মিত হইয়া গেল। দলের মধ্যে একমাত্র বৃদ্ধ প্রমদাচরণ ভিন্ন সকলেই এ পর্যন্ত সুরেশ্বরকে আপনি বলিয়া সম্বোধন করিয়া আসিয়াছে । প্রমদাচরণের তুমি সম্বোধনের মধ্যে বয়সের অধিকার এবং স্নেহশ্রদ্ধার সরসতা ছিল । সদ্যপরিচিত সজনীকাস্তের মধ্যে তাহার কোনো সংক্রুব না থাকায় এই মকারণ তুমি সম্বোধনের সহিত অযাচিত অনুগ্রহ রিবার ইচ্ছা-প্রকাশ সকলের কর্ণে অতিশয় অশিষ্ট এবং বসদৃশ স্বরে বাজিল । সুরেশ্বর মৃদু হাসিয়া শান্তভাবে কহিল, “এ সামান্য fাপার খবরের কাগজে বার করে কি হবে ?” বিস্ময়-বিস্ফারিত নেত্রে সুরেশ্বরের প্রতি দৃষ্টিপাত রিয়া সজনীকান্ত বলিল, “তোমার নাম হবে হে ! এই ইন যখন নিয়েছ, নামটা বেরুন চাই ত?” এবার স্বরম, স্থমিত্রা এবং বিমান তিনজনে একগৈ হাসিয়া উঠিল। স্বরম বলিল, “তা হলেই স্বরেশ্বর বাবু লিখে দিয়েছেন! তুমি হরেশ্বর-বাবুকে জান ন, মামবাবু, নামটাকেই তিনি সব জিনিসের চেয়ে বেশী অপছন্দ করেন।” * g শাস্তনেত্রে সুরমার দিকে চাহিয়া স্বরেশ্বর কহিল, “নাম অপছন্দ করি এত বড় দম্ভ করতে পারিনে, কিন্তু ফাকি দিয়ে নাম নেওয়া কেউ ত পছন্দ করে না।” স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া সজনীকান্ত উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিল । হাসির শেষে পাছে কোন অসমীচীন মন্তব্যের দ্বারা সে সুরেশ্বরকে আহত করে এই আশঙ্কায় স্বমিত্রা সহসা সে প্রসঙ্গ ত্যাগ করিয়া স্বরেশ্বরকে প্রশ্ন করিল, “আপনার হাতে ও বাক্সটা কি স্বরেশ্বর-বাৰু ?” স্বরেশ্বর মৃদু হাসিয়া হাত বাড়াইয়া বাক্সটা স্থমিত্রার হস্তে দিয়া নম্রস্বরে বলিল, “এট। আজ আপনার জন্মদিনে উপহার,—যদিও নিতান্ত সামান্ত জিনিস।” শুনিয়া স্থমিত্রার মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল, কিন্তু পরক্ষণেই “ও তাই নাকি ? ধন্যবাদ !” বলিয়া সে ধীরে ধীরে ফিতাটা খুলিতে লাগিল । সম্ভবতঃ দিনের বিষয়ে সুরেশ্বরের ভুল হইয়াছে এই ভাবিয়া বিমান সহাস্যমুপে একটু ইতস্তত করিয়া কহিল, “স্থমিত্রার জন্মদিন কবে বলুন ত স্বরেশ্বর-বাৰু ?” শান্ত-স্মিত-মুখে অতিশয় সহজভাবে স্বরেশ্বর কহিল, “আজ ।” বিমানের প্রশ্নের উত্তরে স্বরেশ্বর কি বলে শুনিবার জন্য সকলেই সৌৎস্থক্যে অপেক্ষা করিতেছিল ; স্বরেশ্বরের উত্তরে একটা মৃদু হাসির হিল্লোল বহিয়া গেল । বিমান সহাস্তে কহিল, “আপনার কথা থেকেই বুঝেছিলাম যে আপনি একটু ভুল করেছেন। জন্মদিন আজ নয়, কাল।” জয়ন্তী স্মিত-মুখে সাত্বনার স্বরে কহিলেন, “তাতে আর হয়েছে কি ? একদিন না হয় ভুলই হয়েছে।” জয়ন্তীর কথার উত্তর না দিয়া বিমানের দিকে চাহিয়া স্বরেশ্বর তেমনি সহজ ভাবে কহিল, “আমি একটুও ভুল করছিলে বিমান-বাৰু, আজই ওঁর জন্মদিন। ২১শে আশ্বিন আজ । কাল নয়।” স্বরেশ্বরের এই অবিচল শাস্ত ভাবে সকলেরই মধ্যে