পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

698 প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৪ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMASAS A SAS SSAS SSASAS AAA AAAA AAAA AJAMMAA SAMS AAAAAS নিজের হাতে কেটেছে, আর রুমাল বোন হয়েছে মাণিকতলা ষ্ট্রীটে আমার নিজের তীতে ।” সুমিত্রা সবিস্ময়ে কহিল, “এমন মিহি স্বতে আপনার বোন কেটেছেন ? অাশ্চর্ধ্য ত!” : তখন রুমালের উপর আবার নূতন করিয়া সকলের মনোযোগ পড়িল। এবার তিনথান রুমালই বাহির হইয়া সকলের হাতে হাতে ঘুরিতে লাগিল। প্রমদাচরণ, বিমান, স্বরম, এমন কি জয়ন্তী পৰ্যন্ত রুমালগুলির ও তৎসহিত মাধবী ও স্বরেশ্বরের প্রভূত প্রশংসা করিলেন । স্বরেশ্বরকে কোনো প্রকারে আয়ত্ত করিতে না পারিয়া এবং কয়েক প্রকারে তাহার নিকট অপদস্থ হইয়৷ সজনীকান্ত মনে মনে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল। হঠাৎ একটা কথা মনে হওয়ায় সে কতকটা প্রতিশোধ লইবার পথ পাইল,—কহিল,“এ উপহারটি কিন্তু খুব ভাল হয়নি বাপু । মেয়েমানুষে রুমাল ব্যবহার করবে এটা কি তুমি নন্‌কেঅপারেটার হ’য়ে পছন্দ কর ?” - স্বরেশ্বরকে কোনো উত্তর দিবার সময় না দিয়া স্বমিত্র তাড়াতাড়ি বলিল, “উনি জানেন যে আমি রুমাল ব্যবহার করি—তাই রুমাল দিয়েছেন।” “ত জানেন, কিন্তু অন্য জিনিস ত দিতে পারতেন।” বলিয়া সজনী হাসিতে লাগিল । স্বমিত্রার মুখ রঞ্জিত হইয়া উঠিল। সে একবার স্বরেশ্বরের মুখের দিকে নিমেষের জন্য চাহিল, তাহার পর শান্ত অথচ দৃঢ়স্বরে কহিল, “আমি কিন্তু রুমালেই খুব খুলী হয়েছি।” স্বরেশ্বর প্রফুল্লনেত্রে স্থমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিল। ( ক্রমশ: ) ' শ্ৰী উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় মনসা “জরৎকারুর জগদ্‌গৌরী মনসা সিদ্ধযোগিনী । বৈষ্ণবী নাগভগিনী শৈবী নাগেশ্বরী তথা ॥ জরৎকারু-প্রিয়াস্তীকমাত বিষইরেতি চ । মহাজ্ঞানযুতা চৈব সা দেবী বিশ্বপূজিত ॥” (ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত:পুরাণ, প্রকৃতি খণ্ড ) "ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণে” বর্ণিত আছে—“মনসা দেবী কশ্বপ ঋষির মন হইতে উৎপন্ন । * * আত্মারাম বৈষ্ণবী মনসাদেবী তিন যুগ পরমাত্ম শ্ৰীকৃষ্ণের তপস্যা স্বারা যোগবলে সিদ্ধ হইয়াছিলেন । * * মনসাদেবী শিবশিষ্য, অতএব শৈবী নামে খ্যাত হইয়াছেন । মহাদেবেব নিকট সিদ্ধ-যোগ লাভ করাধ সিদ্ধযোগিনী, এবং তাহার উংকৃষ্ট জ্ঞান অতিশয় গোপ্য ও তিনি মৃত মমুৱ্যকে জীবিত করিতে পারেন, এই নিমিত্ত মহাজ্ঞানযুত।” মনসার দ্বাদশটি নাম—জরৎকারু, জগদ্‌গৌরী, মনসা, সিদ্ধযোগিনী, বৈষ্ণবী, নাগ-ভগিনী, শৈৰী, নাগেশ্বরী, জরৎকারু-প্রিয়া, আস্তীকমাত, বিষহর এবং মগঞ্জান-যুত । ( প্রকৃতি খণ্ড, পঞ্চচত্বারিংশ অধ্যায় ) “পূৰ্ব্বে পৃথিবী-মধ্যে অতিশয় সৰ্পভয় উপস্থিত হইয়াছিল। যাহাকে একবার সৰ্পে দংশন করে, সে তৎক্ষণাৎ কাল-কবলে পতিত হয়। কস্যপ মুনি ভীত হইয়া প্রজাহিতের নিমিত্ত প্রজাপতি ব্ৰহ্মার আদেশে বেদোক্ত বীজানুসারে মন্ত্র স্বষ্টি করিলেন। মস্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসা ধ্যানকালে কশুপ-মুনির মন হইতে উৎপন্ন হওয়ায় মনসা নামে প্রসিদ্ধা হইলেন। কুমারী মনসাদেবী উৎপন্ন৷ হইয়া মহাদেবের সমীপে গমন করিলেন, এবং কৈলাস পৰ্ব্বতে ভক্তিপূর্বক আরাধনা করতঃ স্তব করিলেন । সেই স্তবে আশুতোষ মহাদেব তাহার প্রতি তুষ্ট হইলেন, * * র্তাহাকে দিব্যজ্ঞান প্রদানপূর্বক বেদ অধ্যয়ন করাইলেন এবং কল্পতরুস্বরূপ অষ্টাক্ষর কৃষ্ণ-মন্ত্র প্রদান করিলেন *