পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] আর এটাকে নিজের ভিতর চেপে রাখতে পারছি না । আমারও দরকার হয়ে পড়েছে কারো কাছে বলে’ মনটাকে একটু হালকা করে নেবার । তোমাদের কাছে এতদিন বলি নি কেবল তোমরা কষ্ট পাবে বলে’ – বলে’ সে বাইরের দিকে চেয়ে ধীরে ধীরে তার জীবনের কাহিনী—যা” আমরা অনেক দিন অনেক সাধ্য সাধনা করেও কেবল মান হালিটুকু ছাড়া আর কিছুই জানতে পারি নি,--বলতে আরম্ভ করলে— অল্পসংস্থানের জন্যে এদিকে কোথাও চাকুরি না পেয়ে পশ্চিমে এলাহাবাদে চাকুরি নিতে হয়েছিল । সেখানে গিয়ে প্রথমে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম । কোথায় থাকৃব তার ঠিক না করে রওনা হয়েছিলাম বলেই এই অস্থবিধা ভোগ করতে হয়েছিল । শেষে অনেক চেষ্টা করে’ এক মেসে স্থান পেলাম। মেসে থেকেই চাকুরি চলতে লাগল । সেদিন বিকেল বেল। আফিস থেকে এসে খস্রুবাগে বেড়াতে গিয়েছিলাম । সেখানে বেড়াতে কি জানি কেন আমার খুব ভাল লাগত। রোজই সেখানে বেড়াতে বেতাম । সমস্ত দিনের ভ্রমণ-ক্লাস্ত সূৰ্য্যদেব তখন সন্ধ্যার ঘনক্লষ্ণ অন্ধকার যবনিকার অন্তরালে বিশ্রামের জন্যে ধীর মস্তর গতিতে অগ্রসর হচ্ছিলেন। সন্ধ্যাদেবী তার শাস্তিদায়িনী হাত বিস্তার করে তাকে সাদর সম্ভাষণ করবার জন্তে এগিয়ে আসছিলেন। শাহজাদ খস্রুর সমাধির একটি চাতালের উপর বসে’ এই দিগন্তের কোলে হারাতে-চলা স্বৰ্য্যকে দেখতে দেখতে কখন যে সেই পুরাকালের ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে’ মনের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল ও আমাকে সেই চিন্তাতেই তন্ময় করে” ফেলেছিল তা ঠিক আমিও বলতে পারি না। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল সেই অতীত কালের কোলে প্রায় হারিয়ে যাওয়া নবাবী আমলের ছবি । মনে হ’ল—আজ র্যার সমাধির উপর ব'সে আছি তার দোদণ্ড প্রতাপের কথ। । একদিন র্তার একটু সেবা করবার জন্যে বা মুখের একটি মাত্র স্বরের রেশ AMAMAMAMMA AA MMMAMAA AMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SMMMMSMMM MMAeMMeee MMSMMSMSMSMMAMMAMAMMAMAMAM AMAAA SAAAAASA SAASAASAASAAAS 8&Ꮌ কথা শুনে নিজেকে চরিতার্থ করবার জন্যে লোকে কতই না ব্যাকুল হত। কি বিলাসেই না তিনি কাটিয়ে গেছেন তার সমস্ত জীবনটা । কিন্তু আজ ! হঠাৎ মনে হ’ল আমি যেন সেই নবাবপুরীতে ঢুকে পড়েছি। শাহজাদা নিজে যেন এসে আমায় আদর করে’ ভিতরে নিয়ে যাচ্ছেন। যেন বলছেন—এ-সব মুখ বেশী দিন থাকবে না । দুদিন পরেই সব মিলিয়ে যাবে স্বপ্নের মত –বলে’ আদব করে পিঠে হাত বোলাতে লাগলেন। চমক ভেঙে গেল । কখন যে সন্ধ্যার অন্ধকার চারিদিক ছেয়ে ফেলেছে কিছুই বুঝতে পারি নি। তখনো বোধ হচ্ছে সেই সমাধির প্রতি ইটখানি হ’তে আরম্ভ করে তার প্রতি ক্ষুদ্রতম অংশটুকু পৰ্য্যস্ত কানের কাছে ফিসফিস করে ডেকে বলছে—আয়, আয়, ওরে হতভাগ্য, আমাদের এই জীবনের দুঃখগুলোর বোঝা তুই শুনে একটু হালকা করে দিবি আয়ু ! হঠাৎ মনে হ’ল কে যেন পিঠে হাত দিয়ে বলছে— বাবা, কি ভাবছ অত করে’ ? কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে, বাড়ী যাও । ফিরে দেখি আমার পাশে বসে এক সৌম্য-মূৰ্ত্তি বৃদ্ধ আমাকে এই কথা বলছেন। তাকে দেখেই কি জানি কি একটা সন্ত্রমে শ্রদ্ধায় আমার মনটা ভরে উঠল। আমি খুব নত হয়ে তাকে নমস্কার করলাম। তিনি আমার হাত ধ’রে সস্নেহে বললেন—বাবা, তোমার কাছে আমি বোধ হয় এক ঘণ্ট বসে’ আছি ; কি ভাবছিলে এত ? তার পর তিনি একটু একটু করে আমার সমস্ত পরিচয়টুকু জেনে নিয়েছিলেন, আমি তার কাছে কিছুই লুকোতে পারি নি । তখনই মানুষ ধরা পড়ে যখন সে এমন লোকের সাম্নে পড়ে যার কাছে নিজেকে লুকোতে গেলে আরো বেশী করে’ নিজেকে তার কাছে ধরা দিয়ে ফেলে। তখনই তার স্বরূপ ফুটে বেরোয় । সে আর নিজেকে সামূলে রাখতে পারে মা । | বুদ্ধের মধ্যে এমন একটা জিনিষ ছিল যা"