পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१6 অবহেলা করবার নয়—যা থাকলে মাহুষ আপনি নিজে থেকে এসে তার কাছে ধরা দিয়ে ফেলে । সন্ত্রমে, ভক্তিতে, ভালবাসায় তার কাছে—র্তার পায়ের তলায়—আপনাকে লুটিয়ে দিয়ে নিজেকে কৃতাৰ্থ বোধ করে । তার পর তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, বললেন— আমার নাম রমেশচন্দ্র বোস। তুমি আমাকে জ্যাঠামশায় বলে’ ডেকে । আমরা এখানে চাকরি-সুত্রে অনেক পুরুষ ধরে বাস করছি। বাড়ী এখান থেকে বেশী দূর নয়। তুমি চলো বাড়ীট চিনে আসবে। গল্প করতে করতে আমরা বাইরে এসে পড়লাম। বাইরে গাড়ী দাড়িয়ে ছিল । রমেশ-বাবু আমার হাত ধরে গাড়ীতে তুলে নিয়ে পাশে বসিয়ে কত কি গল্প করতে লাগলেন । আমার কিন্তু তখন গল্প করবার মত অবস্থা ছিল না । আমি তখন ভাবছিলাম--এমন মানুষও থাকে যে মানুষকে এক মুহূৰ্ত্তে তার শত্রু করে তুলতে পারে, আবার এমনও থাকে যে তার যত অপরিচিতই হোক না কেন তাকে আপনার করে নিতে পারে। রমেশ-বাবুর সঙ্গে আমার জানাশোনা কিছুই ছিল না, তবুও তিনি এক মুহূর্তের ভিতর তার নিজের কাছে টেনে এনে আমাকে তার আপনার করে নিয়েছেন । গাড়ী তার বাড়ীর দোরের কাছে এসে থামূল । তিনি আমায় সঙ্গে করে' ভিতরে নিয়ে গিয়ে বস্তে বলে’ ডাকূলেন-যুখী । o যাই মামাবাবু-বলে একটি বালিকা দৌড়ে ঘরে ঢুকেই আমাকে দেখেই লজ্জা-রক্তিম হয়ে থম্কে দাড়িয়ে গেল। রমেশ-বাবু একটু হেসে বললেন—এটি আমার মা। বালিকা তার পাশে এসে মুখ লুকিয়ে দাড়াল। রমেশ-বাবু তার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন—যুখী, তোমার দাদাকে প্রণাম কর। বালিকা আমায় প্রণাম ক'রে দাড়াতেই রমেশ-বাৰু বললেন—ঙত্র। আর অজিতকে ডেকে নিয়ে এস ত মী। তারা কোথায় ? দিদি আর অজিত ঘরে গল্প করছে, ডেকে আনছি – প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩e AMM AA MAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASS SAA MM MA AA MM MM MMMMAMMMMAMAMAMAAAA [ ৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ്കു് বলে’ই বালিকা যেমনভাবে এসেছিল তেমনি দৌড়ে চলে’ গেল। * বালিক। চলে’ যেতেই রমেশ-বাবু একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন মাকে আমার এতটুকু বেলা থেকে মাহব করছি। লেখা-পড়া শিখিয়েছি তার বয়সের চেয়ে ঢের বেশী। তার পর একটু মান হাসি হেসে বললেন—ওর এইটুকু বয়সের উপর দিয়ে কম ঝড়ঝাপটা যায় নি। আমার বাবা মা যখন পোনের দিনের ভিতর মারা গেলেন, তথন আমি আর আমার ছোট বোন অমলা ভিন্ন সংসারে পরস্পরকে দেখবার আর কেউ ছিল না। মা-বাবার শোকটা সামূলেছিলাম আমলাকে বুকে করে । সেই অমলার মেয়ে যুথিকা । অমলার স্বামী ছিল গোড়া হিন্দু। যুথিকা যখন সাত বছরের তখনই তার বিয়ে দিয়ে দেয় তার বাপ । আমি বারণ করেছিলাম, কিন্তু শোনে নি । তার পর একবছর যেতে না যেতেই মা আমার ঘরে ফিরে এলো সিথির সিদুর মুছে । ওর বাপমাও একে একে ওকে একলা ফেলে পর পর চলে গেল । সেই থেকেই ও এখানে আছে । আমিই ওকে মানুষ করছি, লেখাপড়া শেখাচ্ছি । আমি বাবা সেকেলে মাকুষ হ’লেও মেয়েদের বেশী বয়সে বিয়ে দেওয়া অার লেখা-পড়া শেখানোর পক্ষপাতী। আমার মেয়ে ভদ্রাকে ও সেইজন্যে এখনো লেখা-পড়া শেখাচ্ছি আর তার এখনো বিয়ে দিই নি যদিও সে যুথিকার চেয়ে বড়। আমার মতে বিয়ে করা সম্বন্ধে মেয়েদেরও একটা স্বাধীন মত আছে, তাতে আঘাত করা কিছুতেই উচিত নয়। রমেশ-বাবুর কথা শুনে তাহার প্রতি আমার শ্রদ্ধাউন্মুখ মন শ্রদ্ধায় ভরে উঠতে লাগল। রমেশ-বাবুর কথা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই একটি তরুণীর হাত ধরে টানতে টানতে ঘরে ঢুক্ল যুথিকা, তাদের পেছনে একটি বালক । যুথিকা ছাপাতে স্থাপাতে বললে— মামা-বাবু, দিদি কিছুতেই আসবে না, জোর করে ধরে’ নিয়ে এসেছি –বলে’ই হেসে উঠল । ভঞ্জার মুখ লজ্জায় রাঙা হ’য়ে উঠল। আমিও কম অগ্রস্তুত হ’য়ে পড়লাম না। রমেশ-বাবু ভয়াকে