পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৭২ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAAAS AAASASASS কোনো বাধা পায় তখনই সে বিদ্রোহী হয়ে উঠে। তখন সে আর কিছুতেই নীতি বা নিয়মের গণ্ডীর ভিতর আসতে চায় না, যত বাধা পায় ততই বাধা ঠেলে চলতে চেষ্ট৷ করে । • * কিন্তু যুথিকা এই গোটানার মধ্যে পড়ে কোন দিকে যাবে কার কথা শুনবে কিছুতেই ঠিক করতে পাবৃত না। যখন যে-দিকে টান বেশী হ’ত তপন সেই দিকেই ঝুকে পড়ত। এই রকমে তার জীবনটা ক্রমশঃ লক্ষ্যহীন অনির্দিষ্ট পথে চলতে আরম্ভ করেছিল। সকলেই নিজের মতাবলম্বী করবার জন্যে তাকে এমন অবস্থায় এনে ফেলেছিল যে, সে সব সময় বুঝতে পারত না যে তার নিজের কোনো একটা সত্তা আছে বা স্বাধীন মত আছে । সন্ধ্যাবেল। চন্দ্রদেব তার হাসিটুকু জ্যোংস্কারূপে সারা পৃথিবীর বুকের উপর ছড়িয়ে দিয়েছেন। কোথাও এতটুকু রূপণত করেন নি। বাগান থেকে বাতাস হাস্মুহানার গন্ধ চুরি করে' এনে নিজের জন্যে কিছু মাত্র না রেখে সবটাই চারি দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছিল । অজিত পাশে বসে পড়ছিল, আমি জানলার ফাক দিয়ে অনন্ত শূন্তের দিকে চেয়ে এই জ্যোংস্কার প্লাবন দেখছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে মনটাও এই প্লাবনের মধ্যে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল তা’ বলতে পারি না । অজিতকে পড়ানোর দিকে আমার তত মন ছিল না। হঠাৎ চমক ভাঙল যুথিকার ডাকে। ফিরে দেখি যুথিকা একরাশ জ্যোৎস্নার মত ঘরে ঢুকে : আমার পিঠের কাছে দাড়িয়ে আছে। খোলা জানলা দিয়ে পাগলা জ্যোৎস্না তার সর্বাঙ্গে পড়ে তাকে আরো স্বন্দর করে তুলেছে। ভদ্রা একটু দূরে দাড়িয়ে আছে। আমি মুখ ফেরাতেই যুথিকা উচ্ছসিত হ’য়ে হেসে উঠে বললে—উঃ! আপনি এমন অন্যমনস্ক হ’য়ে বসে’ ছিলেন যে আমরা এক ঘণ্টা ঘরে এসে দাড়িয়ে আছি তবু আপনার সাড়াই নেই। কি ভাবছিলেন বলুন ত? আমার উত্তর দেবার আগেই সে আবার ঠিক প্রতিধ্বনির মত বলে উঠল—এমন জ্যোৎস্নাটা কি বৃথা যেতে দেওয়া ভাল হয়, তাই বোধ হয় ভাবছেন। কিন্তু একূল৷ প্রবাসী-গ্ৰাবণ, ১৩৩e ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAASAASAASAAMM AeM M SAASAASAASAA AAAS همه محیه مهمات حمیریه حماسه میرسیم رسمی বসে বসে ভাবার চেয়ে আমাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লে বোধ হয় সেট আরো ভাল হয় । কি বলো দিদি ? ভজা বললে—যা, তুই আমার সব কথাই ত বলে’ ফেল্লি, বাকিটাও বল।—বলে’ সম্মিতমুখে যুথিকার দিকে চাইলে । আজ আমরা এই জ্যোৎস্নাভিযানের সার্থী করতে চাই আপনাকে । আপনি বোধ হয় এতে অমত করবেন না । আমরা মনে করেছি যমুনার পুলের উপর বেড়াতে যাবো । আপনাকে নিয়ে যেতে হবে।- বলেই যুথিকা আমার হাতটা খপ্‌ করে ধরেই টানতে লাগল। বাবা মত দিয়েছেন । মারও অনেক করে’. মত নিয়েছি, কিন্তু তিনি কিছুতেই যুথিকাকে নিয়ে যেতে মত করলেন না। ওকে লুকিয়ে নিয়ে যেতে হবে । তার পর যা হয় হবে । কেমন রাজী ত ?—বলে’ ভদ্র। আমার মুখের দিকে জিজ্ঞাস্থ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল । আমিও বেড়াতে যাবার এমন স্থযোগ উপেক্ষা করতে পারলাম না । বললাম—বেশ যাবে, কিন্তু মা যদি জানতে পারেন যে যুথী তার অমতে গেছে, তা হ’লে কিন্তু ভারী রাগ করবেন। সে ভাবনা আমার। আয় যুর্থী, কাপড়গুলো বদলে নিই গে।—বলে’ ভদ্র যুথিকার হাত ধরে একটু রাগত ভাবে-আমার প্রতিবাদ করার দরুণ—ঘর হতে চলে’ গেল । যুথিক যাবার সময় একবার মিনতিপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে যেন বলে গেল আমি তাকে নিয়ে যেতে যেন অমত না করি । আমি সব চিন্তা ত্যাগ করে উঠে পড়লাম। আর না উঠলেও এই তরুণীদের হাত হতে উদ্ধার পাবার রাস্ত ছিল না। বিশেষতঃ যুথিকার হাত থেকে। সে মাছোড়-বান্দা হ’য়ে হয় ত হাতে ধরে টানতে টানতেই নিয়ে চলে যাবে। যুথিকাকে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত কি অমুচিত তা’ বিচার করবার সময় পৰ্য্যন্তও দিলে না ५9ु ! আমি বাইরে এসে দাড়াবা-মাত্র যুথিকা চঞ্চল হরিণীর মত ছুটতে ছুটতে এসে আমার হাত ধরে টানতে টানতে